Showing posts with label Info. Show all posts
Showing posts with label Info. Show all posts

বিশ্বকাপ উন্মাদনায় গুগল মাতোয়ারা

গোওওওওওওওওলবিশ্বকাপ ফুটবল শুরু হতে আর মাত্র তিনদিন বাকী আছে। ফুটবল উন্মাদনা আগামী এক মাস সারা পৃথিবীকে যে পাগল করে রাখবে, সে কথা বলাই বাহুল্য। ফুটবল জ্বরে পৃথিবীর অধিকাংশ মানুষ যখন কাতর হয়ে আছে, তখন গুগল কি আর সে প্রভাবের বাইরে থাকবে? মোটেও না।

গুগল.কম সাইটে যান এবং World Cup লিখে সার্চ করে দেখুন, ফলাফল কি দাঁড়ায়?গুগল.কম.বিডিতে ওয়ার্ল্ড কাপ সার্চ রেজাল্টপ্রথমেই ১১ ও ১২ জুনের খেলার খবরের সাথে রয়েছে বিশ্বকাপে খেলতে যাওয়া দেশগুলোর পতাকার ছবি। আর একেবারে নিচে গুগলের ডিফল্ট লোগোটি পাল্টে গেছে একেবারে ভিন্নভাবে।

সাধারণত আরও ফলাফল দেখানোর সার্চ রেজাল্ট পেজের তালিকার উপরে লেখা থাকে
Goooooooooogle
কিন্তু বিশ্বকাপ উন্মাদনার ফাঁদে পরে গুগল লেখাটি পাল্টে ফেলেছে। এখন লেখা আছে
Gooooooooooal!
www.banglahacks.com
যদি গুগল তার সার্চ রেজাল্ট বাংলায় দেখাতো তাহলে বোধহয় লেখা থাকতোঃ
গোওওওওওওওওওওল
তাইনা? আপনার কি মনে হয়?

গুগল ক্রোমিয়াম ছাগলগুলোকে অজানার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দিচ্ছে

বিভিন্ন সফটওয়ারের মাঝে লুকিয়ে থাকা ইস্টার এগ আবিষ্কার করতে মজাই লাগে, তাই না? আজ আমরা গুগলের ক্রোমিয়াম ব্রাউজারের একটি মজার ইস্টার এগ দেখবো। তবে এটা শুধুমাত্র ক্রোমিয়ামের লিনাক্স ভার্সনে কাজ করে। উইন্ডোজের করে না বলেই জানি। তবে উইন্ডোজের জন্য তৈরি করা নতুন ভার্সনে এই ইস্টার এগ আছে কি না, তা পরীক্ষা করে দেখা হয়নি।

ক্রোমিয়ামের টাস্ক ম্যানেজারের কার্যক্রম পরীক্ষা করতে গেলে দেখতে পারবেন যে, অনেক অনেক ছাগলকে ক্রোমিয়াম কোথায় যেন পাঠিয়ে দিচ্ছে। হ্যাঁ, বিশ্বাস হচ্ছে না? তাহলে নিচের কাজগুলো ধাপে ধাপে করুন। নিজেই ছাগলগুলোকে কোথাও পাঠিয়ে দেয়ার পরিসংখ্যান দেখে অবাক হয়ে যাবেন।
  • গুগল ক্রোম ব্রাউজার ওপেন করে দুএকটা ব্লাঙ্ক ট্যাব খুলুন।
  • এবার Shift+Esc চাপুন। টাস্ক ম্যানেজার ওপেন হবে।
  • ক্রোমিয়াম টাস্ক ম্যানেজারটাস্ক ম্যানেজারে দেখানো যে কোন একটা প্রসেসিং এর উপর মাউজের রাইট বাটন ক্লিক করুন।
  • খুলে যাওয়া ড্রপ ডাউন মেনুর একেবারে নিচে দেখতে পারবেন লেখা রয়েছে Goats Teleported
  • এটাকে সিলেক্ট করুন।
  • গুগল ক্রেমিয়াম ব্রাউজারের ইস্টার এগএবার টাস্ক ম্যানেজারের মধ্যেই ছাগলগুলোকে অজানার উদ্দেশ্যে পাঠিয়ে দেয়ার একটি তালিকা দেখতে পারবেন। http://www.banglahacks.com
  • এতগুলো ছাগলকে গুগল কোথায় পাঠিয়ে দিচ্ছে, তা আপনার জানা আছে কি?

অনলাইনে সর্বোচ্চ ভিজিট হওয়া ১০০০ ওয়েবসাইটের তালিকা

অনলাইনের কোটি কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে সবচাইতে বেশি ভিজিট হয় কোন সাইটগুলোতে। জানার আগ্রহ আমাদের সবার আছে। আর আমাদের এই কৌতুহল মেটাবার ব্যবস্থা করেছে গুগল। তাই গুগল এবার তৈরি করেছে অনলাইনে সর্বোচ্চ ভিজিট হওয়া ১০০০ ওয়েবসাইটের তালিকা। গুগলের Adwords এর অফিসিয়াল ব্লগে এই সম্পর্কিত একটি খবর সারা অনলাইনে ঝড় তুলেছে। সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে এরা জানিয়েছে যে, বিজ্ঞাপনদাতাদের কথা ভেবে কিছু নতুন সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে। ফলে বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের বিজ্ঞাপন প্রদানের আগে বাজার যাচাই এবং বিভিন্ন প্লান তৈরি করার জন্য অতিরিক্ত কিছু সুবিধা পাবেন। অনলাইনে থাকা সাইটগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ভিজিট হওয়া ১০০০ ওয়েবসাইটের এই তালিকাটি তৈরির সময় মূলত বিজ্ঞাপনদাতাদের সুবিধার কথাই মাথায় রাখা হয়েছে।
গুগলের তৈরি সবচাইতে বেশি ভিজিট হওয়া ওয়েবসাইটের তালিকাযারা নিজেদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেন, তারা সবসময় চাইবেন যেন আসল ব্যক্তি, সত্যিকারের ক্রেতা তাদের বিজ্ঞাপনটি দেখে। গুগলের এডসেন্সে দেয়া বিজ্ঞাপনগুলোর যেন অপব্যবহার না হয়। যেন কেউ বিজ্ঞাপনগুলি নিয়ে অযথা ব্যবসা করতে না পারে, তার জন্য গুগলের এই তালিকাটি অনেকটাই সহায়কের কাজ করবে।

অনলাইনে কোটি কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে সবচাইতে বেশি ভিজিট হয় এমন ওয়েবসাইটের তালিকা তৈরির সময় গুগল কয়েকটি বিষয়কে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে। বিষয়গুলি হলঃ
  • Category
  • Unique Visitors (users)
  • Reach
  • Page Views
  • Has Advertising
তালিকার প্রথম দশটি সাইট হলঃ
  1. facebook.com
  2. yahoo.com
  3. live.com
  4. wikipedia.org
  5. msn.com
  6. microsoft.com
  7. blogspot.com
  8. baidu.com
  9. qq.com
  10. mozilla.com
সর্বোচ্চ ভিজিট হওয়া ১০০০টি ওয়েবসাইটের তালিকাটির লিঙ্ক

আপনার ব্লগার প্রোফাইল সম্পাদনা ও শেয়ার করুন

ব্লগার প্রোফাইল নিয়ে আমরা অনেকেই ঠিক ততোটা সচেতন নই। কিন্তু নিজেকে অনলাইন কমিউনিটির সাথে পরিচিত করে তুলতে ব্লগার.কম এর এই সুবিধাটার ভূমিকা কোন অংশে কম নয়। আমি লক্ষ্য করেছি যে, অনেকেই নিজেদের ব্লগার.কম প্রোফাইলটিকে অন্যদের সাথে শেয়ার করে রাখেননি। কিংবা তেমন কোন তথ্য দিয়ে দেননি। যারা ছদ্মনামে ব্লগিং করেন, তাঁদের কথা আলাদা; কিন্তু আপনি যদি স্বনামে ব্লগিং করেন, অন্যদের কাছে নিজের পরিচয়কে আড়াল করতে না চান, তাহলে ব্লগারের এই সুবিধাটা কেন ব্যবহার করবেন না?

ব্লগার.কম প্রোফাইলকে প্রয়োজনীয় তথ্যসম্ভারে পূর্ণ করে তোলার জন্য ব্লগার.কম এ লগইন করুন। ড্যাশবোর্ডের বামপাশে নিচের ছবিটির মতো অংশ দেখতে পারবেন।

এখানে Edit Profile লেখা লিংকে ক্লিক করুন।
edit blogger.com profileনিচের ছবির মতো আর একটি পেজ খুলে যাবে। এখানেই আপনার ব্লগার.কম প্রোফাইলকে সম্পাদনা করতে হবে।
edit blogger.com profileআপনার ব্লগার প্রোফাইলে যে সব তথ্য দিতে পারবেন, সেগুলো একটি প্রধান শিরোনামের অন্তর্গত করে রয়েছে। কোন কোনটির পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে এনাবল করতে হবে। কোন কোনটিতে তথ্য টাইপ করে লিখে দিতে হবে। এক এক করে সবগুলো আলোচনা করছি:
  • Privacy - এটা প্রধান শিরোনাম। এই শিরোনামের অন্তর্গত অংশে আপনার ব্যক্তিগত তথ্যাদি শেয়ার করার জন্য যোগ করতে হবে।

  • Share my profile - পাশে টিক চিহ্ন দিয়ে দিলে আপনার প্রোফাইল অন্যরা দেখতে পারবে।
  • Show my real name - পাশে টিক দিয়ে দিলে আপনার সম্পূর্ণ নাম সবাই দেখতে পারবে।
  • Show my email address - টিক চিহ্ন দিয়ে রাখলে আপনার ইমেইল আইডি সবাই দেখতে পারবে। আমি এটাকে সাধারণত ডিস্যাবল করে রাখি। আপনার আপত্তি না থাকলে এখানে টিক চিহ্ন দিয়ে দিতে পারেন।
  • Show my blogs- এখানে ক্লিক করলে আর একটি পাতায় চলে যাবেন। আপনি একই গুগল আইডি দ্বারা যতগুলো ব্লগ খুলবেন, সবগুলোর নাম এখানে লেখা থাকবে। যেসব ব্লগ ঠিকানা আপনি অন্যদেরকে সরাসরি জানাতে চান না, সেগুলোর নামের পাশে থাকা টিকচিহ্নটি উঠিয়ে দিন। যদি আপনার আপত্তি না থাকে, অর্থাৎ আপনি সবগুলো ব্লগঠিকানা সবাইকে জানাতে চান, তাহলেসবগুলো ব্লগের নামের পাশের চেকবক্সে টিকচিহ্ন দিয়ে দিন।
  • Show sites I follow - এখানে টিকচিহ্ন দিয়ে দিলে যেসব ব্লগ আপনি ফলো করছেন, সেগুলো দেখা যাবে।

  • Identity - এটা প্রধান শিরোনাম। এই শিরোনামের অন্তর্গত বিভিন্ন অংশে প্রয়োজনীয় তথ্য লিখে দিতে হবে।

  • Username - আপনার নাম। এটা পরিবর্তনযোগ্য নয়।
  • Email Address - ইমেইল ঠিকানা।
  • Display Name - আপনি যে নামটি সবাইকে দেখাতে চান, তা এখানে লিখুন।
  • First Name - আপনার নামের প্রথম অংশ।
  • Last Name - নামের শেষ অংশ।

  • Photograph - এটা প্রধান শিরোনাম। এই জায়গায় আপনার একটা ছবি বা অবতার সরাসরি আপলোড করতে পারেন।

  • Photo URL - অনলাইনে থাকা কোন ছবির ডাইরেক্ট লিংক এখানে দিয়ে দিতে পারেন।

  • Audio Clip - এটা প্রধান শিরোনাম। কোন গান বা মিউজিক ফাইল এখানে দিতে হবে।

  • Audio Clip URL - অনলাইনে থাকা কোন গানের ডাইরেক্ট লিংক এখানে দিয়ে দিন। আপনার প্রোফাইল ভিজিট করাকালীন ভিজিটর গানটি বাজিয়ে শুনতে পারবেন।

  • General - এটা প্রধান শিরোনাম। সাধারণ কিছু তথ্য এখানে লিখে দিন।

  • Gender - আপনি পুরুষ নাকি নারী তা এখানে উল্লেখ করে দিন।
  • Birthday - আপনার জন্মতারিখ এখানে উল্লেখ করুন। আপনি ইচ্ছে করলে সাল উল্লেখ নাও করতে পারেন। জন্মতারিখ লেখার জায়গার ঠিক নিচে লেখা রয়েছে 'Show astrological signs' আপনি কি আপনার রাশি অন্যদেরকে জানাতে চান? তাহলে এই অংশের পাশের চেক বক্সে টিক চিহ্ন দিয়ে দিন।
  • Homepage URL - আপনার মূল ওয়েবসাইট বা ব্লগের ঠিকানা এখানে লিখে দিন।
  • Wishlist URL - আপনার যেসব পণ্য কিনতে চান, সেই ইচ্ছাতালিকার লিংক এখানে দিতে পারেন। যদি কোন লিংকপেজ তৈরি করা না থাকে, তাহলে 'Create a wishlist' লেখাতে ক্লিক করে একটি Shopping List তৈরি করতে পারেন।
  • IM Username - ইনস্ট্যান্ট মেসেঞ্জারে যে নাম ব্যবহার করেন, তা এখানে লিখে দিন।

  • Location - এটা প্রধান শিরোনাম। আপনার অবস্থান এখানে লিখে দিতে হবে।

  • City/Town - আপনার শহরের নাম এখানে লিখুন।
  • Region/State - কোন এলাকায় আপনার বাস।
  • Country - কোন দেশে আপনার বসবাস, তা এখানে ড্রপডাউন মেনু থেকে বাছাই করুন।

  • Work - এটা প্রধান শিরোনাম। এখানে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো টাইপ করে লিখে দিতে হবে।

  • Industry - আপনার কাজের কর্মক্ষেত্র কি, তা এখানে লিখুন।
  • Occupation - আপনি কোন পদে কাজ করছেন, আপনার পদমর্যাদা কি তা এখানে লিখতে হবে।

  • Extended Info - এটা প্রধান শিরোনাম। কিছু অতিরিক্ত তথ্য এখানে লিখতে পারেন।

  • Interests - আপনার আগ্রহের বিষয়গুলো এখান লিখে দিন।
  • About Me - নিজের সম্পর্কে দু'এক ছত্র লিখুন।
  • Favorite Movies - প্রিয় সিনেমা কি কি, তা লিখতে পারেন।
  • Favorite Music - পছন্দের গান কোনগুলো, তার প্রথম লাইন এখানে লিখে দিন। সিনেমা ও গানের নাম একাধিক লিখতে পারবেন।
  • Favorite Books - প্রিয় বই কি কি? কোন কোন বই আপনি পড়তে পছন্দ করেন, কোন বইগুলো বারবার পড়তে ইচ্ছে করে, কোন বইগুলো আপনি পড়তে চান সেগুলোর নাম এখানে লিখে দিন।
  • Random Question - এলোমেলো প্রশ্ন। এই বিষয়টির সঠিক ব্যাখ্যা আমার জানা নেই। আপনার জানা আছে কি? মন্তব্য আকারে শেয়ার করুন।
প্রোফাইল ব্যবহারের সুবিধাঃ
  • নিজের সম্পর্কে একটা বিস্তারিত তথ্য অন্যদেরকে জানাতে পারছেন।
  • নিজের তথ্যগুলো লিংক হিসেবে কাজ করবে। ফলে ব্লগারে থাকা অন্য ব্যবহারকারীদের মধ্যে যাদের সাথে আপনার পছন্দ মিলে যাবে, তারা একই তালিকাভুক্ত হয়ে যাবে।
  • Extended info তে নিজের পছন্দের সিনেমা, গান, বই অন্য আর কারও পছন্দের কিনা, তা তাৎক্ষণিকভাবে জানা যাবে। ফলে বন্ধু বাছাই করতে খুব একটা কষ্ট হবে না।
আমার ব্লগার প্রোফাইলের লিংক

মেটাট্যাগ কি এবং ব্লগার.কম ব্লগে লাগানোর পদ্ধতি

'বাংলা হ্যাকস' ব্লগের একজন পাঠক জানতে চেয়েছেন ব্লগার.কম এর ব্লগে কিভাবে মেটা ট্যাগ বসাতে হয়। তার আগ্রহের প্রেক্ষিতে এই পোস্টটি লিখছি।

মেটা ট্যাগ হল বর্ণনামূলক কিছু শব্দ যার মাধ্যমে গুগল বা যে কোন সার্চ ইঞ্জিনকে সাইটটি সম্পর্কে কিছু বিশেষ ধরণের তথ্য দেয়া হয়। সার্চ ইঞ্জিনকে বিশেষ ধরণের কিছু নির্দেশনাও দেয়া যায় মেটা ট্যাগ দিয়ে।

বস্তুতঃ meta tags হল এমন একটি HTML অথবা XHTML যার মাধ্যমে ওয়েবসাইটটি সম্পর্কে কিছু মেটাডাটা সার্চ ইঞ্জিনের কাছে তুলে ধরা হয়। সাইটের <head> সেকশনের মধ্যেই মেটা ট্যাগ লিখে দিতে হয়। অর্থাৎ থেকে এর মধ্যে মেটা ট্যাগকে থাকতেই হবে। এর বাইরে থাকলে তা কোন কাজে লাগবে না।

৯০ এর দশকের প্রথমদিকে মেটা ট্যাগের ব্যবহার শুরু হয়। কোন একটি ওয়েবপেজের বৈশিষ্ট্যকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্যে মেটাট্যাগ ব্যবহার করা শুরু করে ওয়েবমাস্টাররা। সার্চ ইঞ্জিনের কাছে ওয়েবপেজকে পরিচিত করে তুলতে তথা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন সম্পর্কিত কাজে মেটা ট্যাগের জনপ্রিয়তা আকাশচুম্বী। অনলাইন মার্কেটিং প্লানকে সঠিকভাবে প্রয়োগ করা সম্ভব মেটা ট্যাগ ব্যবহারের মাধ্যমে।

মেটাট্যাগের অনৈতিক ও অনাকাঙক্ষিত ব্যবহার এত বেশি হয়ে গেছে যে, বর্তমানকালের সার্চইঞ্জিনরা এখন আর মেটাট্যাগকে অতটা গুরুত্ব দেয় না। গুগলের ডাইরেক্টর Monika Henziger ২০০২ সালে বলেছেন: "ইদানীং আমরা আর মেটাডাটাকে এর অপব্যবহারের কারণে আর বিশ্বাস করিনা। " ফলে আধুনিক সার্চ ইঞ্জিনরা মেটাট্যাগের বেশ কিছু এলিমেন্ট এড়িয়ে চলে। ওয়েবসাইটের মৌলিক লেখা, ভাল মানের লেখার পরিমাণ, পেজভিউ এবং ইউনিক ভিজিটর, ভিজিটররা কতক্ষণ সাইটে অবস্থান করছে, পুনরায় ভিজিটের পরিমাণ, সাইটের বিভিন্ন লেখা পড়ার পরিমাণ, বিভিন্ন টেকনিক্যাল ও ব্যবহারবান্ধব ফিচার, সাইটের নামের সাথে সংশ্লিষ্ট লেখা, ভৌগলিক অবস্থান ইত্যাদি দিয়ে এখন সার্চ ইঞ্জিনগুলো কোন ওয়েবসাইটকে র্যাঙ্কিং করে। ফলে শুধুমাত্র মেটাট্যাগের উপর নির্ভর করে সার্চইঞ্জিনের কাছে নিজের সাইটের গুরুত্ব বাড়ানোর আশা করাটা কিঞ্চিত বোকামীই হবে।

ব্লগার.কম ব্লগে কিভাবে মেটাট্যাগ বসাতে হয়?
  • গুগল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে ব্লগার.কম লগইন করুন।
  • Layout > HTML ট্যাবে যান।
  • সেখানে <head> থেকে </head> এর মধ্যে প্রয়োজনীয় মেটাট্যাগ বসিয়ে SAVE TEMPLATE ক্লিক করুন।
  • মনে রাখুন যে একই জায়গায় 'google-site-verification' মেটাট্যাগটিও বসাতে হয়।
মেটা ট্যাগ কয়েক প্রকারের হতে পারে। তবে সবচাইতে বহুল ব্যবহৃত তিনপ্রকারের মেটা এলিমেন্ট নিয়ে আজ আলোচনা করবো।

একঃ
প্রথমেই আসে Kewords মেটাএলিমেন্টের কথা।
আপনার ওয়েবসাইটের কীওয়ার্ড কি কি অর্থাৎ আপনার সাইটের মূল বিষয় কি কি, তা এই কীওয়ার্ড মেটাট্যাগের মাধ্যমে আপনি সার্চইঞ্জিনকে জানাতে পারেন। <head> থেকে </head> এর মধ্যে কীওয়ার্ড মেটাএলিমেন্ট বসিয়ে দিন। এর কোড নিম্নরূপঃ
<meta content='ব্লগের কীওয়ার্ড' name='keywords'/>
উল্লেখ্য যে অপ্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড এত বেশি ওয়েবসাইটে ব্যবহার করা হয়ে গেছে যে এখন সার্চ ইঞ্জিনগুলোর কাছে কীওয়ার্ডের মূল্য একেবারেই নেই। বিশেষ করে গুগলের সার্চরোবট ওয়েবসাইটের Keyword এড়িয়ে চলে। ইয়াহু এবং কিছু অপ্রধান সার্চইঞ্জিন এখনও কীওয়ার্ড দিয়ে সাইটের বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা নেয়। কিন্তু এখন তারাও খুব সতর্ক হয়ে গেছে। অতএব Keywords মেটা ট্যাগ ব্যবহার করুন নিজ দায়িত্বে। এর কাছ থেকে বেশি কিছু আশা করা অনুচিত হবে।

দুইঃ
দ্বিতীয় ভাগে আসে একটি প্রধান Meta Tag এর নাম। এটা হল 'Content' এই মেটাএলিমেন্টের মাধ্যমে আপনার ব্লগের বৈশিস্ট্য, শ্লোগান, সাধারণ বর্ণনা সংক্ষেপে এই মেটাট্যাগের মধ্যে লিখে দিতে হয়। এর কোড
<meta content='ব্লগের বর্ণনা' name='description'/>
গুগলের সার্চ রেজাল্টে পোস্ট বা সাইটটাইটেলের পরে এই বর্ণনাগুলির উল্লেখ থাকে। অতএব ভেবেচিন্তে বর্ণনা লিখুন।

তিনঃ
এরপর বলি একটি গুরুত্বপূর্ণ মেটাট্যাগের কথা। এর নাম ROBOTS মেটা ট্যাগ। এটার কোড
<meta content='INDEX, FOLLOW' name='ROBOTS'/>
এই মেটার মাধ্যমে আপনার ব্লগটি সার্চইঞ্জিন ইনডেক্স করবে কি না তা জানাতে হয়। এছাড়াও ব্লগে থাকা অন্য সাইটের বা নিজ সাইটের লিংকগুলো ফলো করবে কি না তা সার্চ ইঞ্জিনগুলোর রোবট এই মেটট্যাগের মাধ্যমে জেনে নেয়। আপনি ইচ্ছে করলে এখানে 'noindex' এবং 'nofollow' ব্যবহার করতে পারেন। যদি 'noindex' ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ব্লগটির কোন Cache সার্চ ইঞ্জিনের ডাটাবেসে থাকবে না। যদি 'nofollow' ব্যবহার করেন, তাহলে আপনার ব্লগের বিভিন্ন পোস্টে থাকা অন্য সাইটের লিংকগুলো অভিমূখে সার্চইঞ্জিন রওনা হবে না। কিন্তু পাশাপাশি যদি আপনি আপনার ব্লগেরই অন্য কোন পোস্টে লিংক করেন, তাহলে সেটাও সার্চইঞ্জিনের গতিপথের বাইরে থেকে যাবে।

মেটাট্যাগের মধ্যে আপনি নিজের নাম বা এলাকার নাম, জিপকোড বসিয়ে দিতে পারেন। এর মাধ্যমে আপনার পরিচিতি সার্চইঞ্জিনগুলোর কাছে জানা থেকে যাবে।
এর কোড এরকমঃ
<meta content='Aero River' name='author'/>
<meta content='000000' name='zipcode' />

আর একটি বিশেষ মেটাট্যাগ আছে, যার নাম Refresh
যদি আপনি পুরনো ঠিকানা বাদ দিয়ে নতুন ঠিকানায় ব্লগ লেখা শুরু করেন, তাহলে এই ট্যাগটি ব্যবহার করতে পারেন। এ বিষয়ে পড়ুন কিভাবে ব্লগার.কম এর ব্লগকে রিডাইরেক্ট করা যায় শীর্ষক পোস্টটি।

এছাড়াও সার্চরেজাল্টে আপনার ব্লগের পোস্টটিকে সঠিকভাবে তুলে ধরার জন্য টাইটেলকে সার্চইঞ্জিনের উপযোগী করে তুলতে হয়। এর পদ্ধতি জানার জন্য পড়ুন "সার্চ ইঞ্জিন উপযোগী পোস্ট টাইটেল প্রদর্শন করুন" নামক পোস্টটি।

কয়েকটি ওপেন সোর্স লাইসেন্সের পরিচিতি

Open source Initiative. Approved Licenseনিজেদের কাজকে ওপেন সোর্স হিসেবে প্রকাশ করতে চায়, এমন ডেভেলপারের সংখ্যা দিনে দিনে অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ হয়তো এর ব্যতিক্রম। কিন্তু উন্নত বিশ্বের ডেভেলপার, প্রোগ্রামারদের মানসিকতা উন্নতই হয়ে থাকে। ওপেন সোর্সের পক্ষের প্রোগ্রামাররা আশা করে তাদের কাজকে ভিত্তি ধরে অন্যরা আরও কাজ করুক এবং নিজেদের কাজকেও অন্যদের কাছে মুক্ত করে দিক। তারা চায় স্বত্বাধিকারের বিষয়টিকে আরও সহজবোধ্য করে ফেলা। বর্তমান পৃথিবীতে প্রতিদিন কাজে লাগে এমন সবধরণের প্রোগ্রাম, এপ্লিকেশন ওপেন সোর্সের আওতায় প্রকাশিত হচ্ছে। এপ্লিকেশন থেকে শুরু করে ওয়েব সাইট তৈরির CMS সবকিছুই এখন আর মানুষের হাতের নাগালের বাইরে নেই। যে কেউ যে কোন সফটওয়ারের সোর্সকোড থেকে নিজের মনের মতো করে সবকিছু নতুন করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে পারে। তৈরি করে নিতে পারে নিজস্ব কাস্টমাইজ এপ্লিকেশন। প্রচলিত লাইসেন্স এই ওপেনসোর্সের চাহিদাকে পূরণ করতে পারেনা। তাই জন্ম দেয়া হয়েছে বেশ ওপেনসোর্সের নিজস্ব লাইসেন্স। এই লাইসেন্সের নানারকম প্রকারভেদের মধ্যে বিভিন্ন বৈচিত্র্য আছে।

আমরা অনেকেই জানিনা ওপেন সোর্স লাইসেন্স বলতে আসলে কি বোঝায়? ডেভেলপারদের মধ্যেও এ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। তারা নিজেরাও অনেক সময় নিশ্চিত হতে পারে না যে ওপেন সোর্স লাইসেন্সগুলোর মধ্যে ঠিক কি কি অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। আর কোন কোন অধিকার রাখা হয়েছে মুক্ত। ফলে নিজেদের কাজের স্বত্ত্ব কিভাবে ধরে রাখা যায়, বা কাজটির উপরে প্রয়োগ করা যায়, সে নিয়ে তারা অনেক সময় বিভ্রান্তিতে ভোগেন।
Discussions on some open source license and similar licenses.
ওপেন সোর্স লাইসেন্স কি?
আসলে ওপেন সোর্স লাইসেন্স বলতে এমন কোন অধিকারকে বোঝায় না, যে আপনি আপনার মেধার সঠিক মূল্যায়ন পাবেন না। এই লাইসেন্সের অধীনে আপনি যদি আপনার কাজটির কোন প্যাটেন্ট করেন, তাহলে তার স্বত্ত্বাধিকার (কপিরাইট) আপনারই থাকবে। মূল কাজের সম্পূর্ণ মালিক আপনিই থেকে যাবেন। অন্য কেউ কাজটিকে নিজের কৃতিত্ব বলে দাবী করতে পারবে না।

ওপেন সোর্স লাইসেন্স আসলে নির্দিষ্ট কিছু কাজের অধিকার অন্যকে দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে আপনার কাজটি আপনারই থাকছে, কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আপনি আর নিজের হাতে রাখলেন না, অন্যকে দিয়ে দিলেন। এতে বিভিন্ন দিক দিয়ে সুবিধা পাওয়া যায়।

সর্বসাধারণের সামনে আপনার কাজটি উন্মুক্ত করে দিয়ে এবং নির্দিষ্ট প্রকারের লাইসেন্সের অধীনে রাখার মাধ্যমে আপনি অন্যকে কাজটি ব্যবহার বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে সতর্ক করে দিতে পারেন। এতে সুবিধা হল, আপনাকে বারবার নির্দিষ্ট কোন প্রকারের অনুমতি বা ডিজাইন পরিবর্তন অথবা ডেভেলপের জন্য বেশি বা অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হল না। আপনি প্রধান ডেভেলপার থেকে যাচ্ছেন, বাকী কাজটুকু অন্যরা করতে পারছে। ওপেন সোর্স লাইসেন্স থাকার মাধ্যমে বরং আপনি অন্যকে আপনার কাজে সহায়ক হিসেবে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দিয়ে দিলেন। আর এর ফলে আপনি নুন্যতম সম্মানটুকু অন্তত পেতে পারেন। এছাড়াও ওপেন সোর্স লাইসেন্স অন্য কাউকে আপনার কষ্ট করে করা কাজটিকে নিজের বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টায় বাধা দিবে।

সংক্ষেপে এই হল ওপেন সোর্স লাইসেন্স। এর কয়েক রকমের প্রকারভেদ আছে। আসুন আমরা একে একে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

GNU General Public License
বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্রোজেক্টগুলোতে GNU General Public License (GPL) সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত হয়। ওপেন সোর্স প্রোজেক্টে অংশ নেয়া ডেভেলপারদের কাজে এই GPL একটু বেশি অধিকার ও সম্মান দিয়ে থাকে। সংক্ষেপে GPL অন্যকে আইনগতভাবে কপি, বিতরণ এবং উন্নয়ন করার অধিকার দেয়। এগুলো আর একটু বিস্তারিতভাবে যেভাবে রয়েছে তা হলঃ

অনুলিপি তৈরি করাঃ নিজস্ব সার্ভারে, গ্রাহক (ক্লায়েন্ট) এর সার্ভারে, নিজের কম্পিউটারে অর্থাৎ যে কোন জায়গায় আপনি মূল সফটওয়ারটির অনুলিপি তৈরি বা কপি করতে পারবেন। কত সংখ্যক কপি করতে পারবেন তার কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই।
বিতরণঃ নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগে ডাউনলোড লিংক রাখা। পেনড্রাইভ বা সিডিতে কপি করে যতগুলো খুশি যাকে খুশি আপনি বিতরণ করতে পারবেন। সফটওয়ারের সোর্স কোড কাগজে প্রিন্ট করে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিন না কেন, তাতে কারও কোন যায় আসবে না।
টাকা নেয়াঃ আপনি ক্লায়েন্টকে GPL লাইসেন্সযুক্ত সফটওয়ারটি দিতে টাকা নিতে পারেন। কিন্তু আপনি যে কোনভাবেই বা যে কোন উদ্দেশ্যেই টাকা নিননা কেন, তার নির্দিষ্ট কারণ ও সফটওয়ারের GPL লাইসেন্সটি ক্লায়েন্টকে জানাতে হবে। ক্লায়েন্টকে জানাতে হবে যে তিনি ইচ্ছা করলে এই প্রোগ্রামটি বিনে পয়সাতেও পেতে পারতেন।
পরিবর্তন- পরিমার্জনঃ আপনার যেমন খুশি তেমনভাবে সফটওয়ারটির পরিবর্তন করতে পারবেন। ইচ্ছে করলে নতুন কিছু যোগ করতে পারবেন, কিংবা আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হওয়া কোন অংশ বাদ দিতে পারবেন। যদি কাজটির কোন অংশ অন্য কোন প্রোজেক্ট তৈরিতে বা উন্নয়নে ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই সেটা GPL এর অধীনে প্রকাশ করতে হবে।

GNU Lesser General Public License
এই লাইসেন্স GPL থেকেই আসা। কিন্তু এটা নিয়ে কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে। কারণ GNU বিপরীতে Lesser General Public License (LGPL) খুব অল্প পরিমাণ অধিকার অন্যের জন্য উন্মুক্ত রাখে। এই লাইসেন্স non-GPL এবং non open source উৎস থেকে ব্যবহার করা লাইব্রেরি ফাইলের জন্য উপযুক্ত। কারণ GPL আশা করে এর কোন অংশ নিয়ে তৈরি করা নতুন সফটওয়ারটিও GPL এর অধীনে প্রকাশিত হবে। কিন্তু যেসব কাজ টাকার বিনিময়ে তৈরি করা হয়, সেগুলো তো নিশ্চয় GPL এর অধীনে প্রকাশ করা হবে না। সেইসব ক্ষেত্রে LGPL একই রকমের লাইসেন্সযুক্ত কাজের অংশকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে।

BSD License
এই লাইসেন্স ফ্রি সফটওয়ার লাইসেন্সের মতোই অনেক রকমের অধিকার অন্যের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। এটা অনেকটা GNU General Public License এর মতোই। এই লাইসেন্সের দুইটি প্রকারভেদ আছে।
১। New BSD License/Modified BSD License, এবং
২। Simplified BSD License/FreeBSD License,
দুটোই GPL এর মতো মুক্ত সফটওয়ারের লাইসেন্স হিসেবে ওপেন সোর্স সমাজে ওপেন সোর্স লাইসেন্স হিসেবে সাদরে সমাদৃত হয়েছে।

নতুন BSD License (”3-clause license”) যতদিন এই লাইসেন্সটি অক্ষুন্ন থাকবে ততদিন সফটওয়ারের অনির্দিষ্ট সংখ্যক বিতরণকে প্রশ্রয় দেয়। তবে প্রত্যেকটি অনুলিপিতে এই লাইসেন্স এবং তার ব্যথর্তা স্বীকার বার্তাটি সংযুক্ত রাখতে হবে। অবশ্য মূল কাজটি থেকে নতুনভাবে তৈরি করা বা পরিবর্তিত কাজের জন্য মূল ডেভেলপারের স্বত্বাধিকারকে বিশেষ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করতে এই লাইসেন্স বাধা দেয়। নতুন BSD License এবং Simplified BSD এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য ঠিক এইখানে। স্বত্বাধিকারকে লিখে রাখার বিষয়কে Simplified BSD লাইসেন্স বাদ দিয়ে দিয়েছে।

MIT License
জনপ্রিয় ওপেন সোর্স লাইসেন্সের মধ্যে এই MIT লাইসেন্স হল সবচাইতে সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যাপক আকারের। অন্য সব লাইসেন্সের মধ্যে এই লাইসেন্সের শর্তগুলো খুবই দুর্বল এবং সহজে অনুমতি দিয়ে দেয় এমন। লাইসেন্সের শেষ প্যারাগ্রাফে থাকা গ্যারান্টি না থাকা বিষয়ক অংশটুকু বাদ দিলে এর প্রধান দিকগুলো হলঃ
Permission is hereby granted, free of charge, to any person obtaining a copy of this software and associated documentation files (the “Software”), to deal in the Software without restriction, including without limitation the rights to use, copy, modify, merge, publish, distribute, sublicense, and/or sell copies of the Software, and to permit persons to whom the Software is furnished to do so, subject to the following conditions:

The above copyright notice and this permission notice shall be included in all copies or substantial portions of the Software.
এর অর্থ অনেকটা এরকমঃ
আপনি সফটওয়ারটি নিয়ে যেমন খুশি তেমনভাবে ব্যবহার, অনুলিপি তৈরি এবং উন্নয়ন করতে পারবেন। কোন প্রোজেক্টে ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কেউ বাধা দিবে না। আপনি যতবার চান, ততবার কপি করতে পারবেন। যে কোন ফরমেটে আপনি এটা কপি করে বিতরণ করতে পারবেন। আপনি যেভাবে খুশি সেভাবে সফটওয়ার বা কাজটিকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
আপনি সফটওয়ারটি বিনেপয়সায় দিতে পারবেন কিংবা বিক্রিও করতে পারবেন। আপনি কিভাবে বিতরণ করবেন, তা নিয়ে কোন বাধানিষেধ নেই।
শুধু এটুকু মেনে চলতে হবে যে এই লাইসেন্সটি সফটওয়ারটির সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে।
আসলে MIT লাইসেন্স খুবই কম বিধিনিষেধযুক্ত একটি লাইসেন্স। এই লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশ করা কাজ নিয়ে এটা যে কাউকে যা খুশি তাই করার অধিকার দিয়ে থাকে। এই অধিকারের মেয়াদ থাকবে ততদিন, যতদিন এই লাইসেন্সটি কাজের সাথে সংযুক্ত থাকবে।

Apache License
আর একটি লাইসেন্স হল Apache License, Version 2.0, এই লাইসেন্সটিও ব্যবহারকারীকে অনেক রকমের অধিকার প্রদান করে। এটা কপিরাইট এবং প্যাটেন্ট উভয়ক্ষেত্রে কাজ করে। এই অংশটুকু বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ বেশিরভাগ লাইসেন্স প্যাটেন্ট এর ক্ষেত্রে কাজ করে না। কেউ যদি প্যাটেন্ট করার ক্ষেত্রে কোন উন্মুক্ত লাইসেন্সের খোঁজ করে তাহলে এই Apache License তাকে সহায়তা করতে পারে।

অ্যাপাচি লাইসেন্সের কিছু বিশেষ দিকঃ

অধিকার চিরস্থায়ী
একবার এই লাইসেন্স গৃহিত হলে, তা চিরকালের জন্য প্রযোজ্য হবে।
অধিকার বিশ্বময়
যদি এই লাইসেন্স কোন একটি দেশ থেকে নেয়া হয়, তাহলে তা সারা পৃথিবীর সবকটি দেশের জন্য প্রয়োগযোগ্য হবে। এর অর্থ যদি বাংলাদেশ থেকে এই লাইসেন্স নেয়া হয়, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রতেও কার্যকরী হবে।
রয়্যালটি বা ফি ছাড়া অধিকার
এই লাইসেন্স ব্যবহারকারীর অধিকারকে কোনরকম টাকার বিনিময়ে প্রদান করে না। শুধুমাত্র একক ব্যবহার নয়, সমষ্টিগত ব্যবহারের জন্যও কোনরকম অর্থ চাওয়া যাবে না।
অধিকার সার্বজনীন
শুধুমাত্র আপনি একাই নয়, সকলে এই লাইসেন্সের অধীনে সফটওয়ারটিকে ব্যবহার করতে পারবে।
অধিকার অপ্রত্যাহারযোগ্য
একবার গৃহিত হলে কেউ এই লাইসেন্সকে প্রত্যাহার করতে পারবে না। অবশ্য মূল কাজের কোন অংশ যদি প্যাটেন্ট করা হয়, অথবা লাইসেন্স কর্তৃক দেয়া কোন অধিকার বা কোন অংশকে কেউ সামান্যতম পরিবর্তন করে, তাহলে এই লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।

তবে, যদি কোন ডেভেলপারকে কেউ কৃতিত্ব দিতে চায়, তাহলে তা সে এই লাইসেন্সে প্রদত্ত অধিকারকে অক্ষুন্ন রেখে তা করতে পারে। সেক্ষেত্রে লাইসেন্সের মূল অধিকারের চেতনাকে কোন ভাবেই খর্ব করা যাবে না।

Creative Commons
এই ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সটি ঠিক ওপেন সোর্স লাইসেন্স নয়। কিন্তু Creative Commons (CC) লাইসেন্সের ব্যবহার কোন প্রোজেক্টকে ডিজাইন করার কাজে উল্লেখ করা হয়। স্রষ্টার মানসিকতা অনুযায়ী বিভিন্নরকম Creative Commons লাইসেন্স আছে। এর প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট কিছু প্রকারের স্বত্ত্বকে সংরক্ষণ করে। একটি Creative Commons লাইসেন্সের ৪টি প্রধান অংশ আছে। এগুলো আলাদাভাবে বা একইসাথে প্রয়োগযোগ্য।

সংক্ষেপে বিষয়গুলো নিম্নরূপঃ

স্বীকৃতি
মূল লেখকের নামকে অবশ্যই কাজের তৈরিকারক বা স্রষ্টা বা মূল স্বত্ত্বাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। তার নাম স্বীকার করে কাজটি পরিবর্তন, বিতরণ, কপি করা বা যা খুশি তাই করা যাবে।
ছড়িয়ে দেয়া
একই CC লাইসেন্সের অধীনে কাজটিকে উন্নয়ন এবং বিতরণ করা যাবে।
অবাণিজ্যিক
কাজটির পরিবর্তন, পরিমার্জন বিতরণ এবং এই জাতীয় যেমন মন চায়, তা করা যাবে, তবে তা করতে হবে সম্পূর্ণ অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। বাণিজ্যিক বলতে কি বোঝায়, তা উল্লেখ করে দিতে হবে। কারণ এর অর্থ একেকজনের কাছে একেকরকম। কেউ মনে করতে পারে যে, এর অর্থা কাজটি বিক্রি করা যাবে না, কেউ ভাবতে পারে যে বিজ্ঞাপনযুক্ত কোন সাইটে এটা রাখা যাবে না আবার কেউ হয়তো ভাবতে পারে যে এটা তখনই বাণিজ্যিক হবে যখন এটা লাভজনক বলে বিবেচিত হবে। তাই আপনি যদি CC লাইসেন্সের অধীনে কোন কাজকে সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেন, তাহলে আপনাকে 'বাণিজ্যিক' শব্দটির একটি পরিষ্কার অর্থ প্রকাশ করতে হবে।
অপরিবর্তনীয়
এর অর্থ আপনি কাজটি কপি এবং বিতরণ করতে পারবেন, কিন্তু কোন রকম পরিবর্তন বা পরিমার্জন বা উন্নয়ন করতে পারবেন না। এমনকি মূল কাজের উপর ভিত্তি করে কোন নতুন কাজ করতে পারবেন না।

আসলে যেমনটা আগেই বলেছি, CC লাইসেন্সের অংশগুলো আলাদাভাবে বা একইসাথে সংযুক্ত অবস্থায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এদের মধ্যে সবচাইতে প্রধানতম অংশগুলো হল 'স্বীকৃত', 'অবাণিজ্যিক' এবং 'অপরিবর্তনীয়'। এর মানে বোঝায় যে আপনি বিনেপয়সায় কাজটি বিতরণ এবং কপি করতে পারেন, কিন্তু তার কোনরকম পরিবর্তন করতে পারবেন না। এবং আপনাকে অবশ্যই কাজটির স্রষ্টাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। এই লাইসেন্সটি বেশ ভাল, তবে, আসলে কোন কাজকে কিভাবে ব্যবহার করা হবে, তার উপর আপনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রদান করে না। এদের মধ্যে সবচাইতে কম নিয়ন্ত্রণ থাকবে 'স্বীকৃতি' লাইসেন্সটিতে। কারণ যতদিন আপনার নামকে স্বীকার করা হবে, ততদিন কাজটি নিয়ে যা খুশি তাই করা যাবে।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশে 'সিসি' লাইসেন্স নিয়ে একটি কাজ শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশের পৃক্ষাপটে "ক্রিয়েটিভ কমন্স" লাইসেন্স কিরকমের হতে পারে, কি কি অধিকার উন্মুক্ত করা যেতে পারে, এর আইনী ভিত্তি কেমন হবে, ভাষা কেমন হবে, কি কি টার্ম থাকবে, ইত্যাদি নিয়ে কিছু পদক্ষেপ আমার চোখে পড়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর অগ্রযাত্রা কতটুকু সাধন হয়েছিল, তার কোন খবর পাওয়া যায় নি। সম্ভবত, বাংলাদেশের জন্য নিজস্ব 'ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স' তৈরির কাজটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এ বিষয়ে কর্মতৎপরতা বাড়ুক সেই প্রত্যাশা করি।

ওপেন সোর্স লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের সাইটগুলো ভ্রমণ করতে পারেন।
লেখাটি তৈরিতে A short guide to open source and similar license লেখার সাহায্য নেয়া হয়েছে।

মার্চ ২০১০ মাসের কয়েকটি বিশেষ পোস্ট

মার্চ মাসে কয়েকটি প্রয়োজনীয় পোস্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই পোস্টগুলি আপনাদের ব্লগিং অভিজ্ঞতাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দেবে বলে প্রত্যাশা করি। এই মাসে 'গুগলসাইটস' সম্পর্কে নতুন টিউটোরিয়াল লেখা যেমন শুরু করেছি। তেমনি মেনুবার নিয়েও আলোচনার অবতারণা করা হয়েছে। আগামীতে আরও সুন্দর সুন্দর আকর্ষণীয় ও কাজের মেনু নিয়ে হাজির হব বলে প্রত্যাশা করি। এছাড়াও ব্লগার.কম এ খোলা ব্লগকে কিভাবে কাস্টমাইজ করা যায়, সে সম্পর্কিত একাধিক পোস্ট এই মাসে লেখা হয়েছে। আগামীতেও ব্লগের টেমপ্লেট ডিজাইন নিয়ে আরও পোস্ট লিখব বলে আশা করি। মাউসের লেজকে আকর্ষণীয় রূপ দেয়ার পদ্ধতি নিয়ে এই মাসে দুইটি পোস্ট প্রকাশিত হয়েছে। উবুন্টু লিনাক্স (১০.০৪) লুসিড লিঙ্কস প্রকাশিত হবে এপ্রিল মাসে। তার আগেই এই রিলিজটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জায়গা করে নিয়েছে। কারণ এটা হবে লং টার্ম সাপোর্ট রিলিজ। তাই মানুষ এই রিলিজের কাছে প্রত্যাশা করে অনেক বেশি। আধুনিক জীবনে টেকনোলজি বিষয়টি নিয়ে পোস্টের পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে ব্লগারের ব্লগে আমাজন বিজ্ঞাপন কিভাবে লাগানো যায়, তার বিস্তারিত বর্ণনা।
এরকম বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় পোস্ট মার্চ ২০১০ মাসে আপনাদেরকে উপহার দেবার চেষ্টা করেছি। আপনাদের কাজে লাগলে বা আপনারা সন্তুষ্ট হলে "বাংলা হ্যাকস" ব্লগের নিয়মিত প্রকাশনা সার্থক হবে।

নিচে বাছাইকৃত কয়েকটি পোস্টের লিংক আপনাদের জন্য পুনরায় প্রকাশ করা হলঃ
  1. গুগল সাইটস ব্যবহার করে ফাইল শেয়ার করা
  2. 'বিস্তারিত পড়ুন' লিংককে ডানপাশে নিয়ে আসার পদ্ধতি
  3. ব্লগের নিচে অতিরিক্ত কলাম তৈরি করার পদ্ধতি
  4. মন্তব্য ঘরে মন্তব্যকারীর অবতার দেখানোর পদ্ধতি
  5. আরেকটি সাইডবার তৈরি করার পদ্ধতি
  6. ভাসমান স্থির সাইডমেনু ব্লগার.কম ব্লগে তৈরি করার পদ্ধতি
  7. বাংলাদেশ ১৯৭১ এর ইতিহাস নিয়ে ওয়েবসাইট
  8. গুগলসাইটস দিয়ে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট খোলার পদ্ধতি
  9. উবুন্টু টুইক করার নতুন সফটওয়ার Ailurus
  10. মাউসের ঘুরন্ত লেজ তৈরি করার পদ্ধতি
  11. উবুন্টু আর মিন্ট লিনাক্সকে প্রচার করুন
  12. উবুন্টুতে ফোল্ডার আইকন সহজে পরিবর্তন করার পদ্ধতি
  13. iGoogle এবং Gmail এ ব্লগার পোস্ট গেজেট
  14. চার কলাম টেমপ্লেট- 'বাংলা ব্লগ টিপস'
  15. এক ক্লিকে ব্লগার ন্যাভবার ঢেকে রাখা ও দেখানোর বোতাম
  16. এক ক্লিকে পোস্ট মন্তব্য সাবস্ক্রাইব অথবা বাতিল করুন
  17. ব্লগের কোণগুলোকে বাঁকা করার পদ্ধতি
  18. ব্লগার.কম ব্লগে "ইউনিকোড বাংলা লেখার প্যাড"
  19. তারিখ ভিত্তিক সূচীপত্র (Table of Contents)
  20. Blogger.com ব্লগের টেমপ্লেট রঙ HTML দিয়ে পরিবর্তন করা
  21. 'লেবেল' গেজেটকে 'ড্রপডাউন' বা 'পপআপ' মেনুতে রূপান্তর করার পদ্ধতি
  22. সারাংশ ও তারিখসহ সাম্প্রতিক পোস্ট গেজেট
  23. Workrave আপনার পিঠব্যথা দূর করবে
  24. ফেসবুকের ডিফল্ট অবতারের বিকল্প কিছু ছবি
  25. Floating town:
  26. ছবি ও ওয়েবলিংককে লাইটবক্স দিয়ে আকর্ষণীয় করে তোলার পদ্ধতি
  27. উবুন্টুর নতুন লোগো, থিম, ব্রান্ড, ওয়েবসাইট ইত্যাদি
  28. উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিঙ্কস) ডিফল্ট ডেস্কটপ ওয়ালপেপার
  29. ফিডবার্ণার গেজেট বক্সকে সাজিয়ে নিন
  30. গুগল SEO রিপোর্ট কার্ড ডাউনলোড করুন
  31. মাউসের লেজ তৈরি করার পদ্ধতি
  32. প্রয়োজনে একের বেশি ব্রাউসারের ট্যাব চোখের সামনে খোলা রেখে কাজ করুন
  33. কিভাবে ব্লগার.কম ব্লগের আকার পরিবর্তন করতে হয়
  34. আমাজন বিজ্ঞাপন
  35. Technology in modern life-3
  36. Lubuntu10.04 alpha3 (Lucid Lynx) প্রকাশিত হয়েছে

আশা করি আগামীতেও আপনাকে "বাংলা হ্যাকস" ব্লগে নিয়মিত ভিজিটর হিসেবে পাশে পাবো।
  • আপনি কি বাংলা হ্যাকস ব্লগের বন্ধু হয়েছেন? যদি না হয়ে থাকেন, তাহলে এখানে ক্লিক করে বন্ধু হোন।
  • যদি ব্লগ ভিজিট না করে, নিয়মিত পোস্টগুলি ইমেইলে পেতে চান, তাহলে এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রাইব করুন।
  • আমি কি আপনার সামান্যতম উপকার করতে পেরেছি? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁবাচক হয়, তাহলে এই পাতায় থাকা যে কোন একটি বোতাম/ ওয়েববাটন আপনার ব্লগে স্থাপন করে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করুন।
ধন্যবাদ সকলকে।

ব্লগপোস্ট, ছবি ও মন্তব্যসহ পিডিএফ ফাইল তৈরি করা

blog to pdf bookআপনার প্রিয় ব্লগটির একটি পিডিএফ কপি পেতে চান? হ্যাঁ, সম্পূর্ণ পোস্ট, ছবি ও মন্তব্যসহ। একেবারে অটোমেটিকভাবে এই কাজটি আপনি অনলাইনে সেরে নিতে পারেন। কোনরকম ফি দিতে হবে না, প্রকাশকের দ্বারস্থ হতে হবে না, মার্কেটিং বা ছাপাখানার ঝামেলাও পোহাতে হবে না। BlogBooker নামক একটি অনলাইন টুল দিয়ে আপনি অতি সহজে আপনার সম্পূর্ণ ব্লগটির একটি পিডিএফ ফাইল (PDF File) তৈরি করে নিতে পারবেন। ওপেন সোর্স প্রজেক্ট হিসেবে চালু হওয়া এই ওয়েবটুলটি খুবই জনপ্রিয়।

পরিবর্তন করা পিডিএফ ফাইলে ব্লগের প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত পোস্টগুলির টেক্সট ও ছবিগুলোসহ মন্তব্যগুলোও থেকে যাবে। এই ইবইটির (Ebook) প্রথম দিকের একটি পৃষ্ঠায় থাকবে সূচীপত্র। এই সূচীপত্রটি হল আপনার ব্লগের পোস্ট টাইটেলের। আর এটা হাইপারলিংকযুক্ত। ফলে সূচীপত্রের পোস্টটাইটেল লিংকে ক্লিক করেই নির্দিষ্ট পোস্টে সহজে চলে যাওয়া যাবে।Make your blog into a pdf ebook. Convert all posts, images and comments in one pdf file.
আমরা এর আগে ওয়ার্ডপ্রেস ব্লগের পোস্টগুলোকে কিভাবে ব্লগার.কম ব্লগে নিয়ে আসা যায়, তা জেনেছিলাম। আজ এই টুলটি দিয়ে নিজেদের যে কোন প্লাটফর্মে থাকা ব্লগকে পিডিএফ ফরমেটে রূপান্তর করে ফেলবো।
Today we will learn how to convert our blog into a pdf ebook. This is a free service and based on open source project.
কেন করবেন? সুবিধা কি?
  • ব্লগের একটি ব্যাকআপ নেয়া হল।
  • একটি মাত্র ফাইলে সম্পূর্ণ ব্লগটিকে রেখে দেয়া গেল।
  • অফলাইনে পড়া যেতে পারে।
  • বন্ধু বা সুহৃদকে উপহার হিসেবে দেয়া যেতে পারে।
  • ইবুক হিসেবে ডাউনলোডের জন্য ব্লগে রেখে দেয়া যেতে পারে।
তাহলে আসুন জানা যাক, কিভাবে আমাদের ব্লগকে একটি মাত্র পিডিএফ ফাইলে রূপান্তর করতে পারি।
  • প্রথমে ব্লগটিকে XML ফাইল হিসেবে (টেমপ্লেট নয়) Export করে কম্পিউটারে সেভ করে নিন।
  • http://www.blogbooker.com/ সাইটে ব্রাউজ করুন
  • উপরে বামপাশে পিডিএফ আইকনের ছবিতে ক্লিক করুন।
  • আগে থেকে ডাউনলোড করে রাখা ব্লগের XML ফাইলটিকে আপলোড করুন।
  • ফাইলের আকারের উপর নির্ভর করে কয়েক মিনিট পর্যন্ত সময় লাগতে পারে। তবে আকারের কোন নিম্নসীমা সাইটের কোথাও খুঁজে পাওয়া গেল না।
  • converting blog into a pdf file completeGet blog in PDF Book লেখাতে ক্লিক করে ডাউনলোড করে ফেলুন। তাড়াতাড়ি করুন। কারণ এই সাইট আপনার ব্লগ পরিবর্তন করে পাওয়া পিডিএফ ফাইলটি রেখে দিবে না। কয়েকমিনিটের মধ্যেই মুছে ফেলবে।
সীমাবদ্ধতাঃ
  • সাইট লোডিং এর স্পীড খুব কম।
  • আপাতত শুধুমাত্র তিনটি ব্লগিং প্লাটফর্মের ব্লগকে পিডিএফ করতে পারে। ওয়ার্ডপ্রেস, ব্লগার এবং লাইভজার্নাল।
  • পোস্ট সাজানোর পদ্ধতিটি পছন্দ নাও হতে পারে।
  • লাইন, প্যারাগ্রাফ ভেঙ্গে যায়।
  • বেটা ভার্সন। উন্নয়ন কাজ চলছে।
So, lets start to make a pdf file of your wordpress, blogger/blogspot/ livejournal blog.

বাংলাদেশ ১৯৭১ এর ইতিহাস নিয়ে ওয়েবসাইট

এক সাগর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা বুকের রক্তের বিনিময়ে হিংস্র পাকিস্তানী হানাদারদের হাত থেকে ছিনিয়ে এনেছেন, এই পোস্টটি তাঁদের পবিত্র স্মৃতির প্রতি নিবেদন করছি।

আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি 'বাংলাদেশ' জন্ম লাভ করেছে মহান মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে। ১৯৭১ এর ২৬ মার্চে শুরু হওয়া সে যুদ্ধ চলেছিল দীর্ঘ ৯ মাস ধরে। যুদ্ধ চলাকালীন বাংলাদেশের ভূখন্ডে যে মানবতাবিরোধী কর্মকাণ্ড চলেছিল, তার প্রামান্য দলিলপত্র গণমানুষের হাতের নাগালে রয়েছে খুব কম। আমরা জাতি হিসেবে যদি ইতিহাস সচেতন হতাম, তাহলে হয়তো উপজেলায় উপজেলায় মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসপাঠকেন্দ্র থাকতো। কিন্তু দুর্ভাগ্য আমাদের স্বাধীনতার এত বৎসর পরেও আমাদের অর্থাৎ নতুন প্রজন্মের হাতে প্রয়োজনীয় তথ্যসূত্র রয়েছে খুব কম। This is a list of famous websites on Bangladesh 1971 liberation freedom fight.
মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে অনলাইনে তথ্যভান্ডারের পরিমাণও খুব বেশি নেই। বিভিন্ন সাইটে নিজস্ব দৃষ্টিভঙ্গী থেকে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক কিছু তথ্য হয়তো কেউ সন্নিবেশিত করেছে। কিন্তু সামগ্রিকভাবে শুধুমাত্র মুক্তিযুদ্ধকে উদ্দেশ্য করে তৈরি করা ওয়েবসাইট বা ব্লগের সংখ্যা হাতে গোনা কয়েকটি মাত্র। আজ আমি আপনাদেরকে এরকম কয়েকটি সাইটের সাথে পরিচিত করিয়ে দেব।

Bangladesh Genocide Archive
http://www.genocidebangladesh.org/
Genocide Bangladesh১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্দে বর্বর পাকিস্তানী বাহিনী কর্তৃক বাংলাদেশে যে গণহত্যা হয়েছিল, তার প্রমাণগুলো দিনদিন বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছিল। যে উপাদানগুলো সযন্তে সংরক্ষণ করে রাখা উচিত ছিল, সেই উপাদানগুলো অবহেলায় হারিয়ে যাচ্ছিল লোকচক্ষুর আড়ালে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা মুক্তিযুদ্ধের দলিলগুলো অনলাইনে একত্র করে রাখার প্রয়াস হল এই সাইটটি। পাকিস্তানী রাজনৈতিক শাসক ও সেনাবাহিনী দ্বারা সংঘটিত ঐতিহাসিক ঘটনাবলী, বিভিন্ন ডকুমেন্ট, অডিও ফাইল, ভিডিও, ছবি, মিডিয়া রিপোর্ট এবং চাক্ষুষ সাক্ষীর বিবরণ একত্র করে এই সাইটটি তৈরি করা হয়েছে। দেশপ্রেমিক তরুণদের আবেগে সাজানো এই আর্কাইভটি ইতিমধ্যেই মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক তথ্যগুলোর নির্ভরযোগ্য সূত্র বলে পরিগণিত হয়েছে।
Genocide Bangladesh History Timeline১৯৪৭ থেকে ধারাবাহিকক্রমে ১৯৭৫ সাল পর্যন্ত ইতিহাসের ঘটনাগুলো নিয়ে সাজানো হয়েছে এর Timeline অংশটি। এত তথ্যসমৃদ্ধ ঐতিহাসিক বিবরণ অনলাইনের খুব কম সাইটেই রয়েছে। টাইমলাইন ছাড়াও এই সাইটের উল্লেখ্যযোগ্য প্রধান মেনুগুলো হল 'Videos', 'Photos & Images', 'Freedom Fiters', Collaborators & War criminals', 'Women in 1971', Newspapers & Magazines', Books & Journals', 'Eye witness acounts', 'Martyred intellectuals', 'Bangla archives'
এছাড়াও Browse more শিরোনামে সাইডবারে যেসব পাতার লিংক রয়েছে, সেগুলো হলঃ
  • About
  • Audio
  • Bir Sreshthos
  • Complete Time Line
  • Controversies
  • Genocide
  • History
  • Monuments and Paintings
  • Pakistani Views
  • Please support us!
  • Refugees
  • Role of India
  • Sitemap
  • Support of International Communities
  • The Diaspora engagement in the war
  • The war continues
  • Videos
  • Websites
  • Why Bangladesh?
  • এদের চিনুন
  • বিদেশী পত্রিকায় মুক্তিযুদ্ধ

War Crimes Strategy Forum
http://www.wcsf.info/
এই সাইটটি পারস্পরিক সহযোগিতার ভিত্তিতে গড়ে ওঠা একটি কোয়ালিশন। ২০০৯ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে এর যাত্রা শুরু। মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের ব্যক্তিবর্গ ছাড়াও সক্রিয় মুক্তিযোদ্ধা, স্বজনহারানো মানুষ এবং সচেতন জনগোষ্ঠী এই সাইট উন্নয়নে সবসময় সহযোগিতা করে চলেছে।
War Crimes Strategy Forum
মুক্তাঙ্গন, ক্যাডেট কলেজ ব্লগ, সেন্টার ফর বাংলাদেশ জেনোসাইড রিসার্চ, জেনোসাইড আর্কাইভ অনলাইন, নিউজ বাংলা, ইন্টারন্যাশনাল ফোরাম ফর সেক্যুলার বাংলাদেশ এন্ড ট্রায়াল অফ ওয়ার ক্রিমিনাল সহ বিভিন্ন মানবাধিকার, সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন এই সাইটটির সঙ্গে সক্রিয়ভাবে সংযুক্ত আছে। এই সাইটের প্রধান উদ্দেশ্য হলঃ
১। বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে ঘটিত যুদ্ধাপরাধ সংশ্লিষ্ট তথ্য সংগ্রহ, সংরক্ষণ ও আলোচনা করা।
২। এই বিষয়ে নতুন তথ্যের খোঁজ করার পাশাপাশি নতুন গবেষণা করা
৩। জনগণের মধ্যে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কে সচেতনতা তৈরি করা।
৪। মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করা।
৫। যুদ্ধাপরাধীদের বিচারপ্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করনে সক্রিয় ভূমিকা রাখা।
ইতিমধ্যে এরা কিছু প্রকল্প হাতে নিয়েছে। তার মধ্যে 'মিডিয়া আর্কাইভ' এবং 'ই লাইব্রেরি '৭১' উল্লেখযোগ্য।
যুদ্ধাপরাধ ইস্যুতে ইংরেজি ভাষায় এদের একটি আলাদা গ্রুপব্লগ রয়েছে। আপনিও ইচ্ছে করলে এখানে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করতে পারেন।
{এই সংক্ষিপ্ত বর্ণনাটি তৈরি করা হয়েছে "ওয়ার ক্রাইমস স্ট্র্যাটেজি ফোরাম (WCSF)" পোস্ট থেকে}

বাংলাদেশ ১৯৭১
http://bd71.blogspot.com/
২০০৭ সালের ডিসেম্বর মাসে তৈরি হওয়া এই ব্লগসাইটটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক আরেকটি বিশাল তথ্যভান্ডার। অনলাইনের বিভিন্নস্থানে এলোমেলোভাবে ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা তথ্যগুলোকে একত্র করে ব্লগার.কম সাইটে এই ব্লগটির জন্ম।
Bangladesh 1971
7Hero, Article, Action, Bangabandhu, Collaborator, Concert for Bangladesh, Destruction, Document, Fight, Fighter, Genocide, Intellectual, Genocide, History, Media, Picture, Politics, Poster, Publishing, Rape victim, Razakar, Refugee, Slaughter ground, Torture, Training, Traitor, Victory, Video, War criminal প্রভৃতি ক্যাটাগরি বা লেবেলে পোস্টগুলোকে ভাগ করে এই সাইটটি তৈরি করা হয়েছে। অসংখ্য ছবি, ভিডিও, ডকুমেন্ট দিয়ে সমৃদ্ধ এই সাইটটি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ে তরুণ প্রজন্মকে সচেতন করে তোলায় বিশেষ অবদান রাখছে সন্দেহ নেই।

মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর
http://www.liberationwarmuseum.org/
মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর নিয়ে নতুন করে বলার কিইবা আছে। সেগুনবাগিচায় অবস্থিত বাংলাদেশের একমাত্র আবেগ ও প্রতিবাদ দিয়ে গড়া জাদুঘর। আমরা যদি জাতি হিসেবে উন্নত মানসিকতার হতাম, তাহলে প্রতিটি উপজেলা ও জেলায় এরকম একটি করে জাদুঘর তৈরি করতে পারতাম। কিন্তু তা হয়নি। ঢাকায় অবস্থিত আমাদের সবেধন নীলমণি এই জাদুঘরের এটা নিজস্ব ওয়েবসাইট।
Liberation War Museumমুক্তিযুদ্ধ ও তার ইতিহাস সংরক্ষণে এই জাদুঘরের ভূমিকা অপরিসীম একথা বলাই বাহুল্য। যে ব্যাপক পরিমাণ তথ্য, উপাত্ত, নমুনা সংগ্রহ হয়েছে, তা রাখার জায়গা এখানে নেই। বৃহত্তর পরিসরে একটি জাদুঘর তৈরি করার কাজ এগিয়ে চলছে। এই জাদুঘরে সংরক্ষিত ও প্রদশর্নের জন্য রাখা নমুনাগুলো থেকে সামান্য কিছু এই সাইটে রাখা হয়েছে। এছাড়াও 'ইভেন্ট ক্যালেন্ডার', 'গ্যালারী, 'ভিডিও ক্লিপস' 'নিউজ' ইত্যাদি এর উল্লেখযোগ্য ওয়েবপাতা।

এই সাইটগুলো ছাড়া আরও কিছু সাইটে মুক্তিযুদ্ধ সম্পর্কিত তথ্য পাওয়া যাবে। সেই সাইটগুলোর একটি তালিকা রয়েছে Sites on BD 1971 এই ঠিকানায়।

উল্লেখ্য যে, প্রথম সাইট তিনটিকে সাপোর্ট করার জন্য ওয়েববাটন, তাদের নিজ নিজ সাইটে রয়েছে। আপনি যদি মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের মানুষ হন, যদি আপনার কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইট থাকে, তাহলে সেখানে সাইটগুলোর ওয়েববাটন লাগিয়ে রাখার জন্য সনির্বন্ধ অনুরোধ করছি।

iGoogle এবং Gmail এ ব্লগার পোস্ট গেজেট

igoogle blogger post gadgetigoogle এ ব্লগার পোস্ট গেজেট
igoogle blog post publishedএই লেখাটি প্রকাশ করার পরের মেসেজ
এখন আপনি ইচ্ছে করলে iGoogle এবং Gmail এর যে কোন একটা থেকেই নিজের ব্লগার.কম এর ব্লগে পোস্ট করতে পারবেন। এর জন্য আলাদা করে ব্লগার.কম সাইটে লগইন করতে হবে না। যেমন: এই পোস্টটি আমি লিখছি আমার igoogle এর ব্লগার পোস্ট গেজেট দিয়ে। এই গেজেটটি দিয়ে আপনি শুধুমাত্র টেক্সটভিত্তিক লেখা ব্লগে প্রকাশ করতে পারবেন। কিন্তু কোন ছবি বা ভিডিও যোগ করতে পারবেন না। (আমি এই পর্যন্ত আইগুগল থেকে লিখে পোস্ট করবো। ছবি প্রকাশের জন্য ব্লগারের এডিট থেকে পোস্টটিকে সম্পাদনা করে ছবি যোগ করবো।)
(ব্লগারের Edit Posts থেকে লেখা শুরু)

igoogle এ এই ব্লগার পোস্ট গেজেটটি পেতে নিচের বাটনটিতে ক্লিক করুন।

Add to iGoogle

জিমেইলে এই গেজেটটি পেতে Settings > Labs মেনুতে ক্লিক করুন। একেবারে শেষে একটি নতুন স্টাফ আছে
Add any gadget by urlএখানে Enable লেখার পাশের রেডিও বোতামটিতে ক্লিক করে সেভ করুন।

সেটিংস মেনু থেকে বের হয়ে এলে বামপাশের সাইডবারে নতুন Blogger Post Gadget দেখতে পারবেন

এখানে নিচের URL টি লিখে দিন।
http://www.blogger.com/gadgets/post.xml
ব্যাস হয়ে গেল। এবার জিমেইলে প্রবেশ করেই ব্লগারে পোস্ট লেখা শুরু করে দিন।

ফায়ারফক্সের জনপ্রিয় মেনু আইটেম

 What are the most popular Firefox menu items
ফায়ারফক্স মেনুর জনপ্রিয় আইটেম কি? এই মূল প্রশ্নকে সামনে রেখে গত ফেব্রুয়ারি মাসে মজিলা ল্যাবের টেস্ট পাইলট টিম একটি পরীক্ষা করেছে। তারা তিনটি মূল প্রশ্নকে সামনে রেখে একটি নিবিড় গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করেছে। এর উদ্দেশ্যে ছিল ফায়ারফক্সকে আরও বেশি ব্যবহারবান্ধব করে গড়ে তোলা।

তাদের তিনটি মূল প্রশ্ন ছিল:
  • কোন মেনু আইটেম সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত হয়?
  • কোন মেনু আইটেম সবচেয়ে কম ব্যবহৃত হয়?
  • নির্দিষ্ট প্রয়োজনীয় কাজ করার জন্য মেনুবারের বাটনগুলো নিয়ে কতবেশি সময় ব্যবহারকারীরা ব্যয় করে।
তথ্য পাওয়ার পর দেখা গেছে বেশ কিছু চমকপ্রদ তথ্য।

দেখা গেছে যে ব্যবহারকারীরা "ক্লোজ ট্যাব" বোতামটি সবচাইতে বেশি ব্যবহার করে। এর পর যথাক্রমে 'নতুন ট্যাব', 'বুকমার্ক', 'ব্যাক', 'রিলোড', 'কপি', 'ফাইন্ড', 'ওপেন লোকেশন' ইত্যাদি বোতামগুলো পরপর ব্যবহৃত হয়। এই তথ্যগুলো কিবোর্ড শর্টকাট ও মাউস দিয়ে ক্লিক করে ব্যবহার করা দুটোকেই গণনায় ধরেছে।

বিস্তারিত তথ্যগুলো জানতে মজিলাল্যাব সাইটে ভ্রমণ করুন।

ব্লগের কোণগুলোকে বাঁকা করার পদ্ধতি

rounded or curvy corner with simple css codeউপরেরর ছবিটি দেখুন। হেডারের কোনাগুলো গোলাকার হয়ে গেছে। খেয়াল করেছেন কি "বাংলা হ্যাকস" ব্লগের বর্ডারের কোনাগুলোও গোলাকার দেখাচ্ছে। এটা করা কিন্তু খুব সহজ। খুব সামান্য পরিমাণ CSS কোড ব্লগের HTML কোডের মধ্যে বসিয়ে দিয়ে কোন ব্লগ বা ওয়েবসাইটের কর্ণারকে এইরকম বাঁকা করার কাজটি করা যায়। আমরা এই সামান্য একটি বৈশিষ্ট্য যোগ করে নিজের ব্লগের চেহারাকে আরও আকর্ষণীয় ও দৃষ্টিনন্দন করে পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে পারি। কিভাবে তা সম্ভব? আপনি কি আপনার ব্লগার.কম ব্লগের বিভিন্ন অংশের কোণাগুলো এরকম করে গোলাকার করতে চান? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে নিচে লেখা পরামর্শ অনুসরণ করুন।

# আমাদেরকে এই কাজটি করার জন্য ব্লগের ড্যাশবোর্ডে লগইন হয়ে Layout> Edit HTML ট্যাবে কাজ করতে হবে। Make your blogger/ blogspot blog's corner round or curve with css code.
আপনার ব্লগের কোন অংশের কর্ণারকে গোলাকার করতে চান? তা আগে চিন্তা করে ঠিক করে নিন। তাহলে কাজ করা সহজ হবে।
১। মূল ব্লগশরীরের বাহিরের অংশকে বাঁকিয়ে ফেলার পদ্ধতিঃ
এরকম বাংলা হ্যাকস ব্লগে রয়েছে। #outer-wrapper লেখাটিকে খুঁজে বের করুন। এই লেখাটির ঠিক নিচে বিভিন্ন কোড রয়েছে। শেষে একটি দ্বিতীয় ব্রাকেট } রয়েছে। এই দ্বিতীয় ব্রাকেটের ঠিক উপরে নিচের কোডটি লিখে দিয়ে PREVIEW দেখুন। পছন্দ হলে SAVE TEMPLATE লেখাতে ক্লিক করে পরিবর্তনগুলো সংরক্ষণ করুন।
-moz-border-radius: 10px;
-webkit-border-radius: 10px;
border-radius: 10px;
এখানে 10px মানটি পরিবর্তন করে 15, 20 ইত্যাদি করে নিয়ে পরীক্ষা করে দেখুন।

সাইডবারের কোণগুলিকে বাঁকা করার পদ্ধতিঃ
তাহলে #sidebar-wrapper1 লেখাটি খুঁজে বের করুন। এখানে 1 অথবা 2 অথবা 3 অথবা 4 যে কোন নম্বরের সাইডবার হতে পারে। এখানে থাকা কোডগুলোর নিচে দ্বিতীয় ব্রাকেট শেষ হবার আগে একই কোড বসিয়ে দিন।
-moz-border-radius: 10px;
-webkit-border-radius: 10px;
border-radius: 10px;
এখানে 10px মানটি পরিবর্তন করে দেখুন কোনটা পছন্দ হয়।

৩। পোস্ট পাতার কোণগুলিকে গোলাকার করার পদ্ধতিঃ
তাহলে #main-wrapper { অংশের নিচে দ্বিতীয় ব্রাকেট শেষ হবার আগে একই কোড বসাতে হবে।

# যদি নির্দিষ্ট কোন একটি কোণকে বাঁকা করতে চান, তাহলে নিচের কোড ব্যবহার করুন।
-moz-border-radius-topleft: 10px;
-webkit-border-top-left-radius: 10px;

এই কোড ব্যবহার করলে উপরের বামপাশের কোন গোলাকার হয়ে যাবে। এভাবে শুধুমাত্র উপরের ডানপাশ, কিংবা নিচের ডান অথবা বামপাশ গোলাকার করতে পারবেন।

ব্লগবডির বিভিন্ন অংশের কোনগুলিকে বাঁকা করার পরে আরও একটি ইফেক্ট যোগ করা যায়। আপনি ইচ্ছে করলে "ছায়া" (Shadow) দিতে পারেন। এর জন্য উপরের কোডের নিচেই আবারো কিছু কোড যোগ করতে হবে।
-moz-box-shadow:0 0 15px #FFFF00;-webkit-box-shadow:0 0 15px #FFFF00;
এখানে 15px মানটিকে এবং #FFFF00; কালার কোডের মানটিকে পরিবর্তন করে দেখতে মনমতো একটি বৈশিষ্ট্য বেছে নিতে পারবেন। (বিভিন্ন রঙের কোড "কালার চার্ট" থেকে সংগ্রহ করুন)

# বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে ব্লগের শরীরের এই গোলাকার বৈশিষ্ট্যটি সবচাইতে ভাল দেখা যায় মজিলার ফায়ারফক্স থেকে। আপনার কাছে কি ফায়ারফক্স ব্রাউজার নেই? তাহলে এক্ষুনি এখানে ক্লিক করে লেটেস্ট ভার্সনের ফায়ারফক্স ডাউনলোড করে নিন।

তারিখ ভিত্তিক সূচীপত্র (Table of Contents)

আমরা ব্লগার.কম (blogger.com) এর ব্লগে টেবিল অফ কনটেন্টস (Table of Contents) বা সূচীপত্র (Index) কিভাবে বানাতে হয়, তার একাধিক পদ্ধতি এর আগেই শিখেছি।
এই বিষয়ে আমাদের পূর্বের পোস্টগুলি হল:
  1. খুব সহজে ব্লগার.কম এর ব্লগে Table of Contents স্থাপন করুন
  2. ব্লগারের ব্লগে Table of Contents স্থাপন করার পদ্ধতি
  3. কিভাবে বিষয় ও পোস্ট তালিকা তৈরি করা যায়?
আজ আমরা আর একটি পদ্ধতিতে নিজেদের ব্লগে "টেবিল অব কনটেন্টস" বা "সূচীপত্র" তৈরি করা শিখবো। আমি নিজেও সিদ্ধান্ত নিয়েছি এখন থেকে এই নতুন পদ্ধতির সূচীপত্র "বাংলা হ্যাকস" ব্লগে ব্যবহার করব। কেন? কারণ খুব সহজ। আসলে আমরা নিজেরা যেভাবে নিজেদের ব্লগের পোস্টগুলিকে খুঁজতে চাই, যেভাবে পাঠকের কাছে পোস্টগুলির একটি তালিকা উপস্থাপন করতে চাই, ঠিক সেই পদ্ধতির "সূচীপত্র" ব্যবহার করতে পারি।

নিচের ছবিদুটো দেখুন। আমি এতদিন উপরের তালিকার ২য় পদ্ধতির সূচীপত্র ব্যবহার করতাম। এই পদ্ধতির সূচীপত্রের ছবি দেখুন।
Bangla Hacks old Table of Contentsনিচের ছবিটি ২য় পদ্ধতির সূচীপত্রেরই ছবি, তবে একটু কাছ থেকে স্ন্যাপশট নেয়া। এই পদ্ধতিটির কয়েকটি বিশেষ সুবিধা ছিল।
Bangla Hacks old Table of Contentsএর সুবিধাগুলোর মধ্যে প্রধানতম হল, যে কোন পোস্ট যে সব লেবেলের অন্তর্ভুক্ত থেকে প্রকাশিত হয়েছে, তার সবগুলো আলাদা একটি কলামে দেখা যেত। এত প্রয়োজনীয় একটি সুবিধা থাকার পরও এটাকে কেন আমি বাদ দিলাম- এই প্রশ্ন আপনি করতেই পারেন।

আসলে কারণ একটাই, আর তা হল এর লোডিং সময় খুব বেশি লাগতো। আমার ধীরগতির ইন্টারনেট সংযোগে কমান্ড দিয়ে বসে থাকতে হত। বারান্দা থেকে ঘুরে এসেও দেখি যে সম্পূর্ণ সূচীপত্রটি লোড হয়নি।
Today we will know how to install a archive or date based "Table of contents" on blogger.com blog.
কিন্তু নতুন সূচীপত্রটি লোড হতে তেমন সময় তো নেয়ই না, তাছাড়াও এটা ব্লগে ইনস্টল করা খুব সহজ একেবারে "জলবৎ তরলং"
This new table of contents show your blog posts on the base of archive date.
এবার বাংলা হ্যাকস এর নতুন সূচীপত্রটির স্ন্যাপশট দেখুন।
new table of contents for blogger.com blogএই সূচীপত্রটি তারিখ অনুযায়ী পোস্টগুলোকে প্রদর্শন করছে। অতিরিক্ত কোন তথ্য এখানে নেই। তাই লোড হওয়ার জন্য প্রয়োজনের বেশি কোন সময় এটা ব্যয় করে না।
So it is easy to find a post searching through date.
এই সহজ সূচীপত্রটি আমাদের জন্য তৈরি করেছেন আবু ফারহান। তার ওয়েব ঠিকানা: abu-farhan.com

আসুন তাহলে জেনে নেই, কিভাবে এই নতুন সূচীপত্রটি ব্লগে ইনস্টল করতে হবেঃ
  • ব্লগার.কম এ লগইন হয়ে নিন।
  • New Post লেখাতে ক্লিক করে একটি নতুন পোস্ট পাতা নিন।
  • পোস্ট এডিটরের ডানপাশে Edit Html লেখাতে ক্লিক করুন।
  • লেখার অংশে নিচের কোডটি স্থাপন করুন।
  • <script style="text/javascript" src="http://sites.google.com/site/banglahacks/shrd/tocbyarchive.js"></script>
    <script src="http://www.banglahacks.com/feeds/posts/default?max-results=500&alt=json-in-script&callback=loadtoc"></script>
  • পোস্টটি Table of Contents বা Index বা অন্য যে কোন পছন্দের নামে প্রকাশ করুন।
  • পুরনো কোন তারিখে প্রকাশ করলে ব্লগের সামনের পাতায় কয়েকদিন ধরে সূচীপত্রটি লোড হয়ে থাকবে না। কিভাবে পুরনো তারিখে কোন পোস্ট প্রকাশ করবেন, তা জানার জন্য ভবিষ্যত কিংবা অতীতের কোন একটি দিনে পোস্ট করার পদ্ধতি পোস্টটি পড়ে নিন।
  • উপরের কোডে banglahacks.com লেখাটি পাল্টে নিজের ব্লগের ঠিকানা লিখে দিতে ভুলবেন না যেন।
  • এবার পোস্টটি পাবলিশ করুন।
  • ব্রাউজারের অন্য ট্যাবে (ফায়ারফক্সে, ডাউনলোড করুন) এই পোস্টটি খুলুন।
  • যতগুলো পোস্ট লিখেছেন, তার সবগুলো যে তারিখে প্রকাশিত হয়েছে সেই মাস ও তারিখ অনুযায়ী প্রদর্শিত হবে।

'লেবেল' গেজেটকে 'ড্রপডাউন' বা 'পপআপ' মেনুতে রূপান্তর করার পদ্ধতি

লক্ষ্য করেছেন কি যে "বাংলা হ্যাকস" ব্লগের 'বিষয় তালিকা' (Label Gadget) ড্রপডাউন হয়ে গেছে। ডানপাশের সাইডবারের একেবারে নিচে এই 'লেবেল' বা 'ক্যাটাগরী' গেজেটটিকে রেখে দিয়েছি। কিছুদিন আগেও আমি লেবেল গেজেটটিকে ব্লগের বামপাশে রেখে দিয়েছিলাম। কিন্তু দিনে দিনে এত বেশি বিষয় পোস্টগুলোতে ট্যাগ করা হয়েছে যে বামপাশের সাইডবারে জায়গা ধরছিল না। আমি ইচ্ছা করলে নির্দিষ্ট কিছু লেবেল দেখানোর জন্য নির্বাচিত করে রাখতে পারতাম। কিন্তু আমি এটা পছন্দ করি না। এতে হয়তো প্রয়োজনীয় কোন বিষয় পাঠকের দৃষ্টিসীমার বাইরে চলে যেতে পারে। তাই সবগুলো লেবেল পাঠকের সামনে রেখে দেয়ার ধারণাটিকে আমি সমর্থন করি। কিন্তু যেহেতু সাইডবারে জায়গা হচ্ছিল না, সেহেতু এই গেজেটটিকে আমি আকারে ছোট করে ফেললাম। ড্রপডাউন মেনুবারের মতো করে ফেললাম। ফলে অল্প জায়গাতেই আমি সবগুলো বিষয়কে রেখে দিতে সক্ষম হলাম। পাঠক 'বিষয় তালিকা' লেখাটিতে ক্লিক করলে ড্রপ ডাউন বা পপআপ (জায়গাভেদে) মেনু হিসেবে সবগুলো বিষয়কে দেখতে পারবে। এখান থেকে যে কোন একটি বিষয়কে বেছে নিলেই বিষয় সংশ্লিষ্ট পোস্টগুলো দেখা যাবে।
আপনার ব্লগে যদি বিষয়ের সংখ্যা অনেক বেশি হয়ে যায়, যদি এটা আপনার নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যেতে ধরে, তাহলে এখনি এই গেজেটটিকে ড্রপডাউন মেনুর মতো করে নিন। ব্লগ শরীরে জায়গা বাঁচবে। বেঁচে যাওয়া যায়গায় অন্য কোন গেজেট লাগাতে পারবেন। কিভাবে করবেন?
How to make label gadget like dropdown or popup menu in blogger.com blog.
ব্লগের লেবেল গেজেটকে ড্রপডাউন (পপআপ) মেনুর মতো করে তৈরি করার পদ্ধতিঃ
  • ব্লগার.কম এ লগইন করুন।
  • প্রথমেই Layout> Page Elements ট্যাব থেকে ব্লগে একটি লেবেল গেজেট নিয়ে নিন।
  • এবার Layout> Edit HTML ট্যাবে যান।
  • Expand Widget Templates লেখার পাশের চেকবক্সে টিক চিহ্ন দিবেন না।
  • এবার নিচের লাইনটি খুঁজে বের করুন।
  • <b:widget id='Label1' locked='false' title='Labels' type='Label'>
  • এই লাইনটি সম্পূর্ণ মুছে দিয়ে নিচের কোডটি স্থাপন করুন।
  • <b:widget id='Label1' locked='false' title='Labels' type='Label'>
    <b:includable id='main'>
    <b:if cond='data:title'>
    <h2><data:title/></h2>
    </b:if>
    <div class='widget-content'>
    <br/>

    <select onchange='location=this.options[this.selectedIndex].value;' style='width:200px'>
    <option>Label Gadget Name</option>
    <b:loop values='data:labels' var='label'>
    <option expr:value='data:label.url'><data:label.name/>
    </option>
    </b:loop>
    </select>

    <b:include name='quickedit'/>
    </div>
    </b:includable>
    </b:widget>
  • পরীক্ষা করে দেখার জন্য নিচের PREVIEW লেখা নীল রঙের বোতামটিতে ক্লিক করুন।
  • সন্তুষ্ট হলে SAVE TAMPLATE লেখাতে ক্লিক করুন।
  • উপরের কোডটির দুটো জায়গায় সম্পাদনা করতে হবে।
  • যে সাইডবারে রাখবেন, তার মাপ অনুযায়ী 200px মানটি পরিবর্তন করুন।
  • লেবেল গেজেটটির নাম পরিবর্তন করার জন্য Label Gadget Name শব্দগুলো পরিবর্তন করে দিন।

গত সপ্তাহের কয়েকটি বিশেষ পোস্ট

গত সপ্তাহের কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ পোস্ট তালিকা আপনাদের পুনরায় পাঠের সুবিধার জন্য প্রকাশ করলাম।

'ব্লগার ডিজাইনার' দিয়ে নিজের টেমপ্লেট নিজেই সম্পাদনা করুন

এবার নিজের ব্লগ নিজেই ডিজাইন করুন। হ্যাঁ, বন্ধুরা এতদিন ব্লগার.কম এর দেয়া ডিফল্ট টেমপ্লেটগুলো নিয়ে যাদের মনক্ষুন্নতা ছিল, তাদের জন্য আনন্দের খবর নিয়ে আমি আজ উপস্থিত হয়েছি। এখন থেকে নিজের ব্লগের টেমপ্লেট নিজেই ডিজাইন করতে পারবেন। অত্যাধুনিক সব ডিজাইন নিয়ে গুগল আপনার সেবার জন্য প্রস্তুত হয়েছে। আর এইসব ডিজাইন পরিবর্তন করার জন্য কোন xml ফাইল আপলোড করতে হবে না, কোথাও কোন HTML এডিট করতে হবে না।
  • সাধারণত আপনি www.blogger.com এ লগইন করেন, তাই না? এবার www.draft.blogger.com এ গুগল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করুন।
  • ড্যাশবোর্ডের Layout ট্যাবে গেলে একেবারে ডানপাশে একটি নতুন লিঙ্ক দেখতে পারবেন।
  • নাম Template Designer
blogger new template designer

  • এক অন্যভুবনে প্রবেশ করবেন।
  • এখানে স্ক্রিন দুটি অংশে বিভক্ত। উপরের অংশটি টেমপ্লেট ডিজাইনার এবং নিচে আপনার ব্লগের প্রিভিউ।

  • templates menu in blogger new template designer panel
  • উপরের ডিজাইনার অংশের বামপাশের মেনুটি খুব শক্তিশালী। এখানে চারটি প্রধান মেনু আছে। সেগুলো হল: Templates, Background, Layout এবং Advanced
  • প্রয়োজনীয় সব কমান্ড এখান থেকেই প্রয়োগ করা সম্ভব।
  • Templates মেনু থেকে আপনি মোট চার রকমের টেমপ্লেট ডিজাইন এখান থেকে পাবেন। নাম: Simple, Picture window, Awesome এবং Watermark, তবে একটির তিনটিসহ বাকীগুলোর চারটি করে ভিন্নতা আছে। অতএব আপনি মোট ১৫ রকমের ডিজাইন এখান থেকে সিলেক্ট করতে পারবেন। যদি আপনার ব্লগের টেমপ্লেট কাস্টমাইজ করা হয়, তাহলে প্রথমে স্ক্রিণের মাঝামাঝি থাকা You've customized this template. Remove customizations লেখাতে ক্লিক করে কাস্টমাইজেশনগুলো মুছে ফেলুন।
  • Background মেনু থেকে ব্লগের কালার থীম পরিবর্তন করার সাথে সাথে ব্যাকগ্রাউন্ড হিসেবে বিভিন্নরকমের ছবি নির্বাচন করতে পারবেন। ব্যাকগ্রাউন্ড থীম পরিবর্তন করার জন্য Background Image লেখার নিচের ছবিতে ক্লিক করুন।
  • Background menu in blogger template designer
  • Abstract, The Arts, Business, Celebrations, Entertainment, Family, Food & Drink, Health & Beauty, Hobbies & Crafts, Home & Garden, Nature, Patterns, Recreation, Science, Shopping, Technology, Textures এবং Travel শিরোনামের অসংখ্য ছবি থেকে যে কোন একটাকে ব্যাকগ্রাউন্ড ছবি হিসেবে বেছে নিতে পারবেন।
  • Layout menu in blogger template designer
  • Layout মেনু থেকে ব্লগের কলাম সংখ্যা পরিবর্তন করতে পারবেন। এতকাল যারা ডিফল্ট দুইটি কলাম নিয়ে কাজ করতে করতে বিরক্ত হয়ে গেছেন, তাদের জন্য এই সুবিধাটি সত্যিই কাজে দেবে। এখান থেকে কয়টি কলাম দিয়ে ব্লগ সাজাতে চান, তা নির্বাচন করুন। এই Layout মেনুটি তিনটি সাবমেনুতে বিভক্ত। Body layout, Footer layout এবং Adjust width, ফুটার লেআউট দিয়ে ফুটারে কয়টি কলাম রাখতে চান, তা নির্বাচন করতে পারবেন। Adjust width দিয়ে ব্লগ ও সাইডবারের কলামগুলোর আকার বড়-ছোট করতে পারবেন।
  • Advanced menu in blogger new template designer
  • Advanced মেনু দিয়ে আপনার ব্লগের বিভিন্ন অংশের টেক্সট কালার ও ফন্ট পরিবর্তন করতে পারবেন।
  • স্ক্রিণের নিচে থাকা ব্লগ প্রিভিউতে পরিবর্তনগুলো খেয়াল রাখুন। যদি পছন্দ হয়, তাহলে উপরে ডানপাশে থাকা APPLY TO BLOG লেখা বোতামে ক্লিক করে পরিবর্তনগুলো ব্লগে প্রয়োগ করুন।
  • একটু লক্ষ্য করে দেখুন যে স্ক্রিণের ঠিক মাঝামাঝি অংশে Reset post to template default, যদি কোনরকম ভুলত্রুটি হয়ে যায়, তাহলে এখানে ক্লিক করে ডিফল্ট অবস্থায় ফিরে যেতে পারবেন।
এই Template Designer অংশে টেমপ্লেটের সৌন্দর্য পরিবর্তন করার পর উপরে ডানে থাকা Back to Blogger লেখাতে ক্লিক করে ব্লগের নিয়মিত ড্যাশবোর্ডে প্রবেশ করুন। যথারীতি Layout অংশের Page Elements ট্যাবে ব্লগের বিভিন্ন কলামে প্রয়োজনীয় গেজেটগুলো স্থাপন করতে পারবেন।
Redesign your blogger template with blogger new template designer.
আমার কাছে এই নতুন টেমপ্লেট ডিজাইনগুলি সত্যিই ভাল লেগেছে। দিনে দিনে প্রযুক্তি পরিবর্তন হয়ে যাচ্ছে। মানুষের রুচি, সৌন্দর্যবোধ পাল্টাচ্ছে। সময়ে সাথে সাথে মানুষ নতুন কিছু পাবার জন্য উন্মুখ হয়ে উঠেছে। মানুষের এই নতুন চাহিদার প্রতি সম্মান করে ব্লগার তাদের ডিজাইনেও যে পরিবর্তন এনেছে, তা সত্যি প্রশংসার দাবীদার। ব্লগের বর্ডার, পোস্ট অংশ, সাইডবারের গোলাকার কর্ণার, ব্লগ বডির অর্ধস্বচ্ছ ভাব ব্লগলিখিয়েদেরকে সন্তুষ্ট করবে এ আমি জোর গলায় বলতে পারি। নতুন ওয়েব দুনিয়ায় আপনার পরিচিতিকে অন্যভাবে উপস্থাপন করতে এই বৈশিষ্ট্যগুলো সহায়তা করবে। তবে সার্বিকভাবে ব্লগ লোডিং টাইম একটু বেশি লাগছে বলেই আমার কাছে মনে হয়েছে (এটা আমার ধীরগতির ইন্টারনেট কানেকশনের জন্যও হতে পারে)।

# মনে রাখুন যে এটা blogger.com এ পাওয়া যাবে না। পাওয়া যাবে draft.blogger.com সাইটে। অর্থাৎ এখনও এই সুবিধাটি নিয়ে পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। কোনরকম সমস্যা হয়ে গেলে ব্লগার কর্তৃপক্ষ ক্ষতিপূরণের দায়িত্ব নেবে না।
নিচের ছবিটি একটি ডেমো ব্লগের। আপনাদের উদ্দেশ্যে নমুনা হিসেবে উপস্থাপন করছি।

demo blog design by draft.blogger.com template designer

ব্লগে আপলোড করা ছবিতে ক্যাপশন যোগ করুন

ব্লগারের ব্লগে আপলোড করা ইমেজে ক্যাপশন যোগ করার কোন অপশন এতদিন ছিল না। এ নিয়ে ব্লগ লিখিয়েদের অনেক অভিযোগের ছিল। এবার তাদের সব অভিযোগ শেষ হয়েছে। এখন থেকে ব্লগারের ব্লগে কোন ছবিফাইল আপলোড করার পর তাতে ক্যাপশন যোগ করতে পারবেন। ফলে আপনার ছবিটি গুগল সার্চে ইনডেক্স হয়ে যাবে কোনরকম ঝামেলা ছাড়াই। সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশনের জন্য আপনাকে আলাদা করে চিন্তা করতে হবে না।
Add caption to images in blogge.com blog.
কিভাবে ছবিতে ক্যাপশন যোগ করবেন?
Bangla Hacks
  • উপরের ছবিতে দেখুন ক্যাপশন যোগ করা হয়েছে।
Adding caption to uploaded images in Blogger.com blog
  • আপলোড করা ছবিতে ক্যাপশন যোগ করার জন্য আপনাকে draft.blogger.com ঠিকানায় গুগল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন করতে হবে।
  • পোস্ট এডিটরে নতুন পোস্ট লিখতে গিয়ে কোন ছবি আপলোড করুন।
  • আপলোড করা হয়ে গেলে পোস্ট এডিটরে যখন ছবিটিকে দেখা যাবে, তখন ছবিটিতে ক্লিক করুন।
  • নিচে ছবির এডিটিং প্যানেল আসবে।
  • এখানে ছবি ছোট বড়, ডানে বামে নিয়ে যাওয়া ইত্যাদি করতে পারবেন।
  • এই বাটনগুলোর মধ্যেই একটি নতুন লিংক যোগ করা হয়েছে। নাম Add Caption
  • এই Add Caption লেখা লিংকে ক্লিক করলে ক্যাপশন লেখার জায়গা দেখা যাবে।
  • সেখানে ছবির জন্য প্রযোজ্য ক্যাপশনটি লিখে দিন।
  • পোস্ট পাবলিশ করুন।
  • # তবে মনে রাখতে হবে যে এটা ব্লগারের মূল ব্লগের (blogge.com) পোস্ট এডিটরে পাওয়া যাবে না। শুধুমাত্র draft.blogger.com এর পোস্ট এডিটরে পাওয়া যাবে। অর্থাৎ এই ফিচারটি নিয়ে এখনও নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে। তাই নিজ দায়িত্বে এই ফিচারটি ব্যবহার করুন। কোনরকম সমস্যা হলে ব্লগার.কম কোন দায় স্বীকার করবে না।

প্রথম থেকে আজ পর্যন্ত উবুন্টু'র ডিফল্ট ডেস্কটপ ওয়ালপেপার

লিনাক্সকে মানুষের ঘরে ঘরে পৌঁছে দেবার স্বপ্ন নিয়ে যাত্রা শুরু হয়েছিল "উবুন্টু" লিনাক্সের। সাধারণ ব্যবহারকারীর জন্য আরো সহজ, আরো সুবিধাজনক করে তৈরি করার জন্য উবুন্টু ক্রমাগত নিজেকে উন্নত থেকে উন্নততর করে চলেছে। শুরু হয়েছিল ২০০৪ সালের অক্টোবর মাস থেকে। সেই থেকে প্রত্যেক ছয় (৬) মাস পরপর উবুন্টুর এক একটি রিলিজ বের হচ্ছে। আরো বেশি সফটওয়ার, ড্রাইভার নিয়ে উবুন্টু ক্রমাগত শক্তিশালী হয়ে উঠছে। ফলে সারা বিশ্বের সাধারণ ব্যবহারকারীদের মনোযোগ আকৃষ্ট হতে দেরী হয়নি। "মানুষের জন্য লিনাক্স" - এই শ্লোগানকে বুকে ধারণ করে এগিয়ে চলা 'উবুন্টু' লিনাক্স তার অগ্রযাত্রায় প্রত্যেক নতুন রিলিজে বিভিন্ন এপ্লিকেশন, ড্রাইভার ও সুবিধার সাথে ব্যবহারকারীকে একটি নতুন ওয়ালপেপার উপহার দিয়েছে। উবুন্টু ৪.১০ থেকে আজ পর্যন্ত যে সব ডিফল্ট ডেস্কটপ ওয়ালপেপার ব্যবহার করা হয়েছে সেইগুলো একত্রিত করে আজকের লেখাটি প্রকাশ করলাম।

Ubuntu 4.10 Warty WarthogUbuntu 4.10 Warty Warthog
প্রথম উবুন্টুর ডিফল্ট ওয়ালপেপার। খুব গাঢ় বাদামী রঙের এই ওয়ালপেপারের ডানপাশে নিচে ততোধিক গাঢ় রঙে উবুন্টুর লোগো লেখা আছে।
Ubuntu 5.04 Hoary HedgehogUbuntu 5.04 Hoary Hedgehog
উবুন্টু ৫.০৪ এ এসে ডিফল্ট ওয়ালপেপারের মাঝে একটি আলোর ঝলক চোখে পড়ছে। চারপাশের আঁধারের মাঝে উবুন্টু একটি আলোর আশা নিয়ে সূর্যের মতো উদিত হতে চলেছে- এরকম আশাবাদ এতে প্রতিফলিত হয়েছে।
Ubuntu 5.10 Breezy BadgerUbuntu 5.10 Breezy Badger
উবুন্টু ৫.১০ তে এসে আলোর রোশনাই একটু বেশি উজ্জ্বল। মাঝখান থেকে আলোর উৎস চারপাশে রশ্মি ছড়িয়ে দিচ্ছে এরকমই বোধহয় দর্শনটি ছিল। মাঝে যথারীতি উবুন্টুর লোগো লেখা আছে। তবে এটাই শেষ। এর পর ডিফল্ট ডেস্কটপ ওয়ালপেপারে আর কখনও উবুন্টুর লোগো লেখা হয়নি।
Ubuntu 6.06 Dapper DrakeUbuntu 6.04 Dapper Drake
উবুন্টু ৬.০৪ এ এসে আবার গাঢ় কালচে বাদামী রঙ চারপাশ ছেয়ে ফেলেছে। মনে হচ্ছে কোন অশনী সংকেত যেন। কিন্তু তার মধ্যেও আলোর ছটা হারিয়ে যায়নি। বরং নিজেকে তীব্রভাবে প্রকাশ করার একটা বাসনা রয়েছে যেন।
Ubuntu 6.10 Edgy EftUbuntu 6.10 Edgy Eft
উবুন্টু ৬.০৬ এর ডিফল্ট ডেস্কটপ ওয়ালপেপারে আলো উজ্জ্বলতা বেড়ে গেছে অনেকগুণ। মনে হয় মানুষের মুখের উজ্জ্বলতার একটা প্রতিফলন।
These are Ubuntu Linux's default desktop wallpaper since 4.10.
Ubuntu 7.04 Feisty FawnUbuntu 7.04 Feisty Fawn
উবুন্টু ৭.০৪ এর ওয়ালপেপারের উজ্জ্বলতা পূর্ববর্তী রিলিজের মতোই। এবারে আলোর রশ্মিগুলো একটু এদিক ওদিক দিক পরিবর্তন করেছে মাত্র।
Ubuntu 7.10 Gutsy GibbonUbuntu 7.10 Gutsy Gibbon
উবুন্টু ৭.১০তে গাঢ় রঙের ব্যাকগ্রাউন্ডে তীব্র আলোর ঝলকানি স্পষ্টভাবে লক্ষ্যনীয়।

Ubuntu 8.04 Hardy HeronUbuntu 8.04 Hardy Heron
উবুন্টু'র প্রত্যেকটা রিলিজের নাম আফ্রিকার কোন না কোন প্রাণীর নামে রাখা হয়। কিন্তু সেইসব প্রাণীর কোন ছবি ডেস্কটপ ওয়ালপেপারে এই প্রথম উবুন্টু ৮.০৪ এ ব্যবহার করা হল। এবারের সারস পাখিটি শিরদাঁড়া সোজা করে ভবিষ্যতের দিকে তাকিয়ে আছে। ডেস্কটপ কম্পিউটারের জগতে লিনাক্স এক নতুন ইতিহাস সৃষ্টি করতে যাচ্ছে, এ বোধহয় তারই নিদর্শন।
Ubuntu 8.10 Intrepid IbexUbuntu 8.10 Intrepid Ibex
পোড়া মাটির রঙে সাজানো উবুন্টু ৮.১০ এর ডেস্কটপ ওয়ালপেপার। আফ্রিকার তীব্র রোদে পোড়া মাটির স্পষ্ট প্রতিচ্ছবি যেন এবারের ওয়ালপেপারটি।

Ubuntu 9.04 Jaunty JackalopeUbuntu 9.04 Jaunty Jackalope
উবুন্টু ৯.০৪ লিনাক্সের ডেস্কটপ ওয়ালপেপারটি আগের ওয়ালপেপারগুলির ধারাবাহিকতা রক্ষা করতে পারেনি। এবারেরটি কেমন যেন হতাশার রঙে ডোবানো।
Ubuntu 9.10 Karmic Koala
বাদামী রঙের রাজত্ব যেন শেষ হয়ে গেছে উবুন্টু ৯.১০তে এসে। আমি নিজেও প্রথমবার বুট করে অবাক হয়ে গেছি। প্রথম কয়েক মিলিসেকেন্ড বুঝতেই পারছিলাম না এটা উবুন্টু নাকি অন্য কোন ডিস্ট্রো। এক উজ্জ্বল কমলা রঙে রাঙানো এবারের ডেস্কটপ ওয়ালপেপার। তাকিয়ে থাকতে থাকতে নিমেষেই মন ভালো হয়ে যায়।

এই রিলিজটিই বর্তমানে চলছে। আগামীতে আসছে উবুন্টু ১০.০৪। এই রিলিজের ডেস্কটপ ওয়ালপেপার কেমন হবে, তা নিয়ে ব্যাপক জল্পনা কল্পনা চলেছিল। শেষে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া সম্ভব হয়েছে। এবং তা সবার সামনে প্রকাশও করা হয়ে গেছে। দেখতে কেমন সেই আগামী এপ্রিল মাসের ২৮ তারিখে প্রকাশ হওয়া উবুন্টুর ডেস্কটপ ওয়ালপেপার? তা জানতে উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিঙ্কস) ডিফল্ট ডেস্কটপ ওয়ালপেপার শীর্ষক পোস্টটি একবার পড়ে দেখুন।

(পোস্টে ব্যবহৃত এই ছবিগুলো ছোট আকারের, তাই ডেস্কটপ হিসেবে ব্যবহার উপযোগী নয়।)
 

পাঠকের প্রতিক্রিয়া

কিছু কথা

সফটওয়ার ও ওয়েবওয়ারের বিভিন্ন টিপ্‌স, টিউটোরিয়াল, হ্যাক্‌স, টেমপ্লেট বা থিম্‌স ইত্যাদি নিয়েই আমি ব্লগ লিখছি। আমার প্রধান আগ্রহ ব্লগিং টিপস। এছাড়াও প্রযুক্তির বিচিত্র বিষয় নিয়ে মত বিনিময়, সমস্যা ও তার সমাধান এবং আলোচনা করার জন্য এই ব্লগ খুলেছি। আশা করি আপনি নিরাশ হবেন না। এই ব্লগের সব লেখাগুলো যেকোন মিডিয়ায় এই লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশ করতে পারবেন। বিস্তারিত পড়ুন....

Search This Blog

© 2009-2014 Bangla Hacks | Design by: Bangla Hacks. Powered by: Blogger