Showing posts with label সহায়িকা. Show all posts
Showing posts with label সহায়িকা. Show all posts

উবুন্টুর টাইটেল বারের বোতামগুলোকে ডানে সরানোর পদ্ধতি

উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) এ দুটো নতুন থীম যোগ করা হয়েছে। থীম দুটি হলো Ambiance এবং Radiance, আকর্ষণীয় এই থীমগুলোতে উইন্ডোর টাইটেল বারের কন্ট্রোল বাটনগুলো (minimise, maximise, close) রাখা হয়েছে বামপাশে।
ambiance windows control buttonsএম্বিয়েন্স থীমের কন্ট্রোল বোতামubuntu lucid lynx radiance themeব়্যাডিয়েন্স থীমের কন্ট্রোল বোতাম
এই পরিবর্তনটি করা হয়েছে একটি অদূরপ্রসারী পরিকল্পনাকে সামনে রেখে। উবুন্টুর ১০.১০ (ম্যাভেরিক মির্ক্যাট) ভার্সন থেকে উইন্ডোর টাইটেলবারের ডানপাশে নতুন কিছু সুবিধা যোগ করা হবে। আর তাই এখন থেকেই বামপাশে কন্ট্রোল বাটনগুলো রেখে দেয়া হয়েছে। যেন ব্যবহারকারী বামপাশের বোতাম ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হয়।

তবে আমরা যারা বামপাশে কন্ট্রোল ব্যবহার করতে অভ্যাস করেছি তারা অতিসহজে কয়েকটা মাত্র ক্লিক করে বাটনগুলোকে ডানপাশে নিয়ে আসতে পারি।

আসুন আজ আমরা জেনে নিই কিভাবে উবুন্টুর উইন্ডোজের টাইটেলবারের কন্ট্রোল বাটনগুলোকে বামপাশ থেকে ডানপাশে নিয়ে যাওয়া যায়।
  • Alt+F2 চাপুন। একটি রান ডায়ালগ খুলে যাবে।Run application in ubuntu lucid lynx
  • এবার এখানে লিখুন gconf-editor এবং Run লেখাতে ক্লিক করুন।
  • এবার Configuration Editor খুলে যাবে। এখানে সাবধানে কাজ করবেন। উল্টাপাল্টা কিছু করতে গেলে সমস্যা হতে পারে।
  • এখানে বামপাশের ফোল্ডার ট্রি থেকে ক্লিক করে করে apps > metacity > general অংশে আসুন।
    Ubuntu configuration editor
  • সিলেক্ট করা অংশে দেখুন লেখা আছে close,minimise,maximise:
  • শেষের : (:) চিহ্নটি আগে এনে দিলেই এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বাটনগুলো ডানপাশে চলে যাবে। কিন্তু আপনি যদি বাটনগুলোর ক্রম পরিবতর্ন করতে চান, তাহলে নিচের যে কোন একটি পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
  • এখানে দুইভাবে ডিফল্ট লেআউট পাল্টাতে পারেন।
    • প্রথম পদ্ধতিঃ সরাসরি লেআউটে পাল্টানোঃButton layout edit directly in configuration editor on Ubuntu close,minimise,maximise: লেখার উপর ডাবল ক্লিক করুন। লেখার উপযোগী টেক্সটবক্সের মধ্যে :minimise,maximise,close লিখে দিন। বাইরে কোথাও একবার ক্লিক করুন। সেভ হয়ে যাবে।
    • আলাদা উইন্ডোতেঃedit button layout key on ubuntuButton Layout লেখার উপরে ডাবল ক্লিক করুন। আলাদা ডায়ালগ বক্স আসবে। এখানে Value লেখা ঘরে লিখুন :minimize,maximize,close এবার OK তে ক্লিক করে পরিবর্তনটুকু সেভ করুন।
  • ব্যাস হয়ে গেল। Configuration Editor উইন্ডোটি বন্ধ করে দিন। এবার যে কোন একটি উইন্ডো খুলে দেখুন তো বাটনগুলো ডানপাশে চলে এসেছে কি না? না আসলে জানাবেন কিন্তু। আমি অপেক্ষায় থাকবো।
* পোস্টটি লিখতে ওয়ার্ডপ্রেসের উবুন্টুবিডি ব্লগের এই পোস্টের সহায়তা নেয়া হয়েছে।

উবুন্টুতে ব়্যাম এবং ব়্যাব লেখার সমাধান

ram and rab problem solved in bangla languageআমরা জানি ইউনিকোড বাংলায় RAB এবং RAM লিখতে গেলে তা সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয়না। লিখতে গেলে শব্দদুটি 'র্যাব' এবং 'র্যাম' এর রূপ ধারণ করে। কিন্তু বাংলা ভাষার নিয়মে এর রূপ হওয়া উচিত 'ব়্যাম' এবং 'ব়্যাব' এরকম।

সাধারণভাবে ইউনিকোড বাংলা লিখতে গিয়ে এই সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা নয়। কারণ 'যফলা'র জন্য আলাদা কোন কোড ইউনিকোড তালিকায় নেই। তাই যতদিন না যফলার জন্য আলাদা কোন কোড নির্ধারণ করা হচ্ছে, ততদিন এই সমস্যার সমাধান হবার কথা নয়।

আমাদের প্রযুক্তি ফোরামের নিয়মিত সদস্য সারিম এই সমস্যার একটি দারুণ সমাধান দিয়েছেন। ফোরামের "লিনাক্সে আইবাস ও স্কিমে ব়্যাম লেখার সমাধান" নামক থ্রেডে এই বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এখানে তিনি লিনাক্সের জন্য সমাধান দিয়েছেন। সারিম লিনাক্সে ইউনিজয় এবং প্রভাত লেআউটে বাংলা লেখার জন্য ডিফল্টভাবে দেয়া bn-unijoy.mim এবং bn-probhat.mim নামক ফাইলদুটির কিছু উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। এই পরিবর্তিত ফাইলদুটি ব্যবহার করলে আপনি 'ব়্যাম' লিখতে পারবেন। উল্লেখ্য যে 'সোলাইমান লিপি'তে র এর নিচের ফোটাটি সঠিকভাবে দেখা যায় (উপরের নমুনা ছবি দেখুন)। 'বাংলা হ্যাকস' ব্লগের ডিফল্ট ফন্ট 'আদর্শলিপি' তাই র এর নিচের ফোটাটি একটু বেশি নিচে চলে গেছে এরকম দেখা যাবে।

উবুন্টু লিনাক্সে bn-unijoy.mm ফাইলটি ইনস্টলের পদ্ধতিঃ
  • উবুন্টুর টার্মিনালে sudo nautilus লিখে এন্টার চাপুন।
  • এবার নটিলাস (উবুন্টুর উইন্ডো ম্যানেজার) দিয়ে /usr/share/m17n/ ফোল্ডারে যান।
  • সেখানে থাকা bn-unijoy.mm ফাইলটি নতুন ফাইলটি দিয়ে রিপ্লেস করুন।
  • সম্পূর্ণ পথ হল/usr/share/m17n/bn-unijoy.mim
  • উল্লেখ্য যে সারিমের পরিবর্তিত ফাইলটি এখনও বেটা ভার্সনে আছে। তাই নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হল।

  • সারিমের দেয়া ফাইলটি ইউনিজয় লেআউটের ফাইলটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে
  • যারা প্রভাত লেআউট ব্যবহার করে বাংলা লিখছেন তারা ডাউনলোড করুন এখান থেকে। bn-probhat.mim ফাইলটি পরিবর্তন করার নিয়ম একই।
  • আমার আপলোড করা ফাইলটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে। এই ফাইলটির সম্পূর্ণ নাম beta version-1=bn-unijoy.mim এখানে beta version-1= লেখাটুকু মুছে দিয়ে শুধু bn-unijoy.mm রাখুন।
যাঁরা উবুন্টু ব্যবহার করেন না, তাদের জন্য সমাধান এখনও হাতের মুঠোয় আসেনি। তারা ডেস্কটপে 'ব়্যাম' কিংবা 'ব়্যাব' লিখতে পারবেন না। কিন্তু তাই বলে কি তাদের জন্য কোন সমাধান নেই? চিন্তার কিছু নেই বন্ধু। আপনি অনলাইনে যেন সঠিকভাবে RAM এবং RAM লিখতে পারেন সেরকম একটি টুল আমি আপনাদের জন্য তৈরি করেছি। এটাও সারিমের উন্নয়ন করা জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে বানানো হয়েছে।

এই টুলটি ব্যবহার করতে পারবেন আমার 'বাংলাপ্যাড' এ। এখানে নতুন একটি টেক্সটবক্স স্থাপন করা হয়েছে। দুইটি টেক্সটবক্সের মধ্যে নিচের ছোটটিতে 'ব়্যাম' সঠিকভাবে লেখা যাবে। আপনারা এটাতে লিখে নিয়ে তা থেকে কপি পেস্ট করতে পারবেন।
ঠিকানা: http://banglapad.blogspot.com/

আপনার যদি নিজস্ব ব্লগ থাকে, তাহলে সেখানেও এই ওয়েবটুলটি স্থাপন করতে পারেন। এজন্য নিচের HTML কোডটুকু আপনার ব্লগস্পট ব্লগের HTML/javascript গেজেটে পেস্ট করুন। আর ইউনিজয় লেআউট দিয়ে লিখতে থাকুন। দেখুন তো 'ব়্যাম' লিখতে পারছেন কি না?
<script src="http://sites.google.com/site/banglahacks/shrd/sarim-unijoy.js"></script>
<form>
<textarea name="bangla" id="bangla" cols="80" rows="10"
style="font-family: vrinda; font-size: 20px; width: 400px; height: 100px;"></textarea>
<br />
<input onclick="switched=!switched;" value="switch keyboard mode"
type="button" />
</form>
<script>
makeUnijoyEditor('bangla'); //pass the textarea Id
</script>
  • Ctrl+Q চেপে ইংরেজি কিংবা বাংলা লেআউটে পরিবর্তন করতে পারবেন।
আপনি কতটুকু সফল হলেন, তা জানাতে ভুলবেন না যেন।

মার্চ ২০১০ মাসের কয়েকটি বিশেষ পোস্ট

মার্চ মাসে কয়েকটি প্রয়োজনীয় পোস্ট প্রকাশ করা হয়েছে। এই পোস্টগুলি আপনাদের ব্লগিং অভিজ্ঞতাকে আরও একধাপ বাড়িয়ে দেবে বলে প্রত্যাশা করি। এই মাসে 'গুগলসাইটস' সম্পর্কে নতুন টিউটোরিয়াল লেখা যেমন শুরু করেছি। তেমনি মেনুবার নিয়েও আলোচনার অবতারণা করা হয়েছে। আগামীতে আরও সুন্দর সুন্দর আকর্ষণীয় ও কাজের মেনু নিয়ে হাজির হব বলে প্রত্যাশা করি। এছাড়াও ব্লগার.কম এ খোলা ব্লগকে কিভাবে কাস্টমাইজ করা যায়, সে সম্পর্কিত একাধিক পোস্ট এই মাসে লেখা হয়েছে। আগামীতেও ব্লগের টেমপ্লেট ডিজাইন নিয়ে আরও পোস্ট লিখব বলে আশা করি। মাউসের লেজকে আকর্ষণীয় রূপ দেয়ার পদ্ধতি নিয়ে এই মাসে দুইটি পোস্ট প্রকাশিত হয়েছে। উবুন্টু লিনাক্স (১০.০৪) লুসিড লিঙ্কস প্রকাশিত হবে এপ্রিল মাসে। তার আগেই এই রিলিজটি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে জায়গা করে নিয়েছে। কারণ এটা হবে লং টার্ম সাপোর্ট রিলিজ। তাই মানুষ এই রিলিজের কাছে প্রত্যাশা করে অনেক বেশি। আধুনিক জীবনে টেকনোলজি বিষয়টি নিয়ে পোস্টের পাশাপাশি প্রকাশিত হয়েছে ব্লগারের ব্লগে আমাজন বিজ্ঞাপন কিভাবে লাগানো যায়, তার বিস্তারিত বর্ণনা।
এরকম বেশ কয়েকটি প্রয়োজনীয় পোস্ট মার্চ ২০১০ মাসে আপনাদেরকে উপহার দেবার চেষ্টা করেছি। আপনাদের কাজে লাগলে বা আপনারা সন্তুষ্ট হলে "বাংলা হ্যাকস" ব্লগের নিয়মিত প্রকাশনা সার্থক হবে।

নিচে বাছাইকৃত কয়েকটি পোস্টের লিংক আপনাদের জন্য পুনরায় প্রকাশ করা হলঃ
  1. গুগল সাইটস ব্যবহার করে ফাইল শেয়ার করা
  2. 'বিস্তারিত পড়ুন' লিংককে ডানপাশে নিয়ে আসার পদ্ধতি
  3. ব্লগের নিচে অতিরিক্ত কলাম তৈরি করার পদ্ধতি
  4. মন্তব্য ঘরে মন্তব্যকারীর অবতার দেখানোর পদ্ধতি
  5. আরেকটি সাইডবার তৈরি করার পদ্ধতি
  6. ভাসমান স্থির সাইডমেনু ব্লগার.কম ব্লগে তৈরি করার পদ্ধতি
  7. বাংলাদেশ ১৯৭১ এর ইতিহাস নিয়ে ওয়েবসাইট
  8. গুগলসাইটস দিয়ে স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট খোলার পদ্ধতি
  9. উবুন্টু টুইক করার নতুন সফটওয়ার Ailurus
  10. মাউসের ঘুরন্ত লেজ তৈরি করার পদ্ধতি
  11. উবুন্টু আর মিন্ট লিনাক্সকে প্রচার করুন
  12. উবুন্টুতে ফোল্ডার আইকন সহজে পরিবর্তন করার পদ্ধতি
  13. iGoogle এবং Gmail এ ব্লগার পোস্ট গেজেট
  14. চার কলাম টেমপ্লেট- 'বাংলা ব্লগ টিপস'
  15. এক ক্লিকে ব্লগার ন্যাভবার ঢেকে রাখা ও দেখানোর বোতাম
  16. এক ক্লিকে পোস্ট মন্তব্য সাবস্ক্রাইব অথবা বাতিল করুন
  17. ব্লগের কোণগুলোকে বাঁকা করার পদ্ধতি
  18. ব্লগার.কম ব্লগে "ইউনিকোড বাংলা লেখার প্যাড"
  19. তারিখ ভিত্তিক সূচীপত্র (Table of Contents)
  20. Blogger.com ব্লগের টেমপ্লেট রঙ HTML দিয়ে পরিবর্তন করা
  21. 'লেবেল' গেজেটকে 'ড্রপডাউন' বা 'পপআপ' মেনুতে রূপান্তর করার পদ্ধতি
  22. সারাংশ ও তারিখসহ সাম্প্রতিক পোস্ট গেজেট
  23. Workrave আপনার পিঠব্যথা দূর করবে
  24. ফেসবুকের ডিফল্ট অবতারের বিকল্প কিছু ছবি
  25. Floating town:
  26. ছবি ও ওয়েবলিংককে লাইটবক্স দিয়ে আকর্ষণীয় করে তোলার পদ্ধতি
  27. উবুন্টুর নতুন লোগো, থিম, ব্রান্ড, ওয়েবসাইট ইত্যাদি
  28. উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিঙ্কস) ডিফল্ট ডেস্কটপ ওয়ালপেপার
  29. ফিডবার্ণার গেজেট বক্সকে সাজিয়ে নিন
  30. গুগল SEO রিপোর্ট কার্ড ডাউনলোড করুন
  31. মাউসের লেজ তৈরি করার পদ্ধতি
  32. প্রয়োজনে একের বেশি ব্রাউসারের ট্যাব চোখের সামনে খোলা রেখে কাজ করুন
  33. কিভাবে ব্লগার.কম ব্লগের আকার পরিবর্তন করতে হয়
  34. আমাজন বিজ্ঞাপন
  35. Technology in modern life-3
  36. Lubuntu10.04 alpha3 (Lucid Lynx) প্রকাশিত হয়েছে

আশা করি আগামীতেও আপনাকে "বাংলা হ্যাকস" ব্লগে নিয়মিত ভিজিটর হিসেবে পাশে পাবো।
  • আপনি কি বাংলা হ্যাকস ব্লগের বন্ধু হয়েছেন? যদি না হয়ে থাকেন, তাহলে এখানে ক্লিক করে বন্ধু হোন।
  • যদি ব্লগ ভিজিট না করে, নিয়মিত পোস্টগুলি ইমেইলে পেতে চান, তাহলে এখানে ক্লিক করে সাবস্ক্রাইব করুন।
  • আমি কি আপনার সামান্যতম উপকার করতে পেরেছি? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁবাচক হয়, তাহলে এই পাতায় থাকা যে কোন একটি বোতাম/ ওয়েববাটন আপনার ব্লগে স্থাপন করে আমাকে কৃতজ্ঞতাপাশে আবদ্ধ করুন।
ধন্যবাদ সকলকে।

ব্লগার.কম ব্লগের লেবেলগুলোকে সম্পাদনা করার পদ্ধতি

ব্লগে লিখতে গিয়ে আমরা লেবেল ব্যবহার করি। বাংলায় এই লেবেলকে আমি বিষয় নামাঙ্কিত করেছি। তো, ব্লগের বয়স যখন বেশ কিছুদিন হয়ে যায়, কিংবা পুরনো কোন ব্লগের সবগুলো পোস্টকে যখন নতুন ব্লগে নিয়ে আসা হয়, তকন দেখা যায়, যে বেশ কিছু লেবেল থেকে গেছে যে গুলো আসলে ভুল ছিল। নিজের ব্লগটিকে পাঠকের কাছে সঠিকভাবে তুলে ধরতে এই লেবেলগুলোর ভূমিকা অপরিসীম। কিন্তু যদি কোন লেবেল ভুল থেকে যায় তাহলে পাঠক কি ভাবে বিষয়টি গ্রহণ করবেন, ভেবে দেখুন। আবার এমনও হতে পারে যে আগে লেখা ৪০/ ৫০টি লেবেলকে নতুন একটি লেবেল তালিকায় যোগ করতে চাচ্ছেন। সেক্ষেত্রে কি করা যেতে পারে?

এর আগে Wordpress এর পোস্টগুলো Blogger এ নিয়ে আসার পদ্ধতি পোস্টটির মন্তব্য অংশে ব্লগার রিয়া জানিয়েছেন যে, ওয়ার্ডপ্রেস থেকে ব্লগারে নিয়ে আসা ব্লগের লেবেলগুলো সম্পাদনা করতে তার বেশ কষ্ট হচ্ছে। কারণ তিনি ৮৮০টির মতো ট্যাগ ওয়ার্ডপ্রেসের ব্লগে তৈরি করেছিলেন। যেগুলো এখন ব্লগারে Label হিসেবে তৈরি হয়ে গেছে। এই ৮৮০ ট্যাগকে নতুনভাবে সাজাতে তার বেশ কষ্ট হচ্ছে। এই সব বিবিধ সমস্যায় আমাদেরকে নিজের ব্লগের লেবেল সম্পাদনা করতে হতেই পারে। আর আমি আজ বলবো কিভাবে ব্লগারের ব্লগের লেবেলগুলোতে থাকা কোন ভুল লেবেল বাদ দিতে হয়, নতুন লেবেল যোগ করতে হয় অথবা লেবেলগুলোকে কিভাবে সংশোধন করতে হয়।Edit or remove wrong labels from blogger blog. This can be done from bloggers dashboard very easily.
  • প্রথমেই Blogger.com এ লগইন করুন।
  • ড্যাশবোর্ডে আপনার ব্লগের নামের নিচে Edit Posts বোতামে ক্লিক করুন।
  • Edit posts link on dashboard
  • এখানে ক্লিক করলে সরাসরি ব্লগের পোস্টগুলোকে সম্পাদনা করার পাতায় চলে যাবেন।
  • Edit posts page
  • এখানে বামপাশে দেখুন ব্যবহৃত লেবেলগুলোকে নামানুসারে সাজিয়ে রাখা হয়েছে। এই লেবেল তালিকার মধ্যে যে লেবেলটিকে আপনি সংশোধন করতে চান, তার উপরে ক্লিক করুন। আমি Gadget লেবেলটিকে ক্লিক করেছি।
  • Edit Gadget Labels
  • উপরের ছবিতে দেখুন তালিকাবদ্ধভাবে থাকা সারণীতে Gadget নামটি কালো রঙের হয়ে গেছে। সেখানে আর কোন লিংক নেই। অর্থাৎ এই নামের অধিভুক্ত সবকটি পোস্ট ডানপাশের পোস্ট তালিকায় চলে এসেছে। All labels are selected in one click.
  • এবার এই পোস্ট তালিকার উপরের Select লেখার পাশের All লেখা লিংক অথবা যে পোস্টগুলোকে সংশোধন করতে চান, সেগুলোর বামপাশের চেকবক্সে (Check box) টিক চিহ্ন দিয়ে দিন।
  • এবার এর পাশে Label Actions লেখা ড্রপ ডাউন মেনুতে (Drop Down Menu) ক্লিক করুন।
  • Edit any specific label
  • যে লেবেলগুলো ব্যবহার করেছেন, সেগুলো দুইরকম তালিকায় দেখা যাবে।
  • ১. Apply Label এবং ২. Remove Label
  • Apply Label এর মধ্যে যে লেবেলটি নতুন করে চিহ্নিত পোস্টগুলোতে প্রয়োগ করতে চান সেটাকে মাউস দিয়ে সিলেক্ট করুন। সঙ্গে সঙ্গে সবকটি পোস্ট এই নতুন লেবেলটির অন্তর্ভুক্ত হয়ে যাবে।
  • বিপরীতক্রমে যে লেবেলটি মুছে ফেলতে চান, সেটা Remove Label লেখার নিচের তালিকা থেকে সিলেক্ট করুন। চিহ্নিত সবকটি পোস্ট থেকে সেই লেবেলটি মুছে যাবে।
  • নিচের নমুনা ছবি দুটো দেখুন।
  • label puppy applied
  • Gadget লেবেলের অন্তর্ভুক্ত সবকটি পোস্টে নতুন লেবেল Puppy প্রয়োগ হয়ে গেছে।
  • Removed a label
  • ভুলক্রমে প্রয়োগ করা E Book লেবেলটি Gadget লেবেলের অন্তর্ভুক্ত সবকটি পোস্ট থেকে মুছে গেছে। Label 'E book' is removed successfully.
  • খেয়াল করেছেন কি নতুন লেবেল প্রয়োগ বা পুরনো লেবেল মুছে ফেলার পরে কমান্ড নিশ্চিত হবার এই বার্তার ঠিক ডানপাশে Undo লেখা রয়েছে। লেবেল সংশোধন (Label Edit) করতে গিয়ে কোন ভুল হয়ে গেলে এই Undoতে ক্লিক করে প্রয়োগকৃত কমান্ড (Command) বাতিল করতে পারেন।
  • আশা করি Blogger.com ব্লগে Label সম্পর্কিত সমস্যার সমাধান দিতে পেরেছি। কোন প্রশ্ন থাকলে নির্দ্বিধায়করতে পারেন। আপনাদের জন্য আমি তো আছিই।

সম্পাদকের প্রিয় পোস্ট [সপ্তাহ ৮]

এর আগে আপনাদেরকে জানিয়েছিলাম গত সপ্তাহের কয়েকটি জনপ্রিয় লেখা। ওই পোস্টটির পর থেকে আজ পর্যন্ত বেশ কয়েকটি পোস্ট "বাংলা হ্যাকস" ব্লগে প্রকাশিত হয়েছে যেগুলোর দিকে আপনাদের আর একবার দৃষ্টি দেয়া প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনীয় পোস্টগুলো নিচে উল্লেখ করলাম।

Co.cc থেকে নেয়া ডোমেইন সেটআপের পদ্ধতি

গতকাল আমি যখন আপনাদেরকে DOT Tk ডোমেইনে ব্লগারের ব্লগ সংযুক্ত করার পদ্ধতি জানিয়ে একটি পোস্ট লিখেছিলাম, তখনই অঙ্গিকার করেছিলাম যে ব্লগার.কম এর ব্লগের সাথে co.cc ডোমেইন সেটআপ করার পদ্ধতি জানাবো। ওই পোস্টের মন্তব্য অংশে প্রখ্যাত ব্লগার রিয়া co.cc ডোমেইন থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি মনে করেন, যেহেতু co.cc এর দেয়া বিনে পয়সার ডোমেইন মাত্র এক বৎসরের জন্য ব্যবহার করা যায়, সেহেতু এটা ব্যবহার না করাই ভাল। তার পরামর্শকে আমি সম্মান করি। আমি নিজেও আপনাদেরকে co.cc ডোমেইন নেয়ার জন্য উৎসাহিত করছি না। শুধু ডোমেইন কিভাবে সেটআপ করতে হয়, সেই বিষয়টা বোঝার জন্য আগ্রহী করে তুলতে চাই। বিভিন্ন ডোমেইন বিক্রেতাদের কন্ট্রোল প্যানেল যদিও বিভিন্নরকম, তবুও মূল বিষয়টা কিন্তু একই থেকে যায়। যদি এই ফ্রি সার্ভিসে বিষয়টা বুঝতে পারেন, তাহলে ভবিষ্যতে নিজের ডোমেইন সেটআপ করতে কোন সমস্যা হবে না। বরং এই টিউটোরিয়ালটা আপনাকে দারুণভাবে সাহায্য করবে।
Today we will learn how to setup co.cc domain with blogger.com blog.
তো আসুন, আজ আমরা বুঝে নেই, কিভাবে co.cc থেকে নেয়া ডোমেইনের সাথে blogger.com এর ব্লগকে সংযুক্ত করতে হয়।
  • প্রথমেই co.cc সাইটে গিয়ে একটি একাউন্ট খুলুন করুন। এখানে create an account now লেখা লিংকে ক্লিক করে আপনাকে একটি একাউন্ট খুলতে হবে।
  • সবকটি ঘর প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে পূরণ করুন। শেষে Terms of Service স্বীকার করে নিয়ে Create an account now লেখা বাটনে ক্লিক করুন।
  • এবার আপনার পছন্দের ডোমেইনটি অন্য কেউ নিয়ে নেবার আগেই আপনি নিয়ে নিন।
  • যদি পছন্দের ডোমেইন নামটি অন্য কেউ না নিয়ে থাকে, তাহলে তা Available দেখা যাবে। Continue to registration লেখা কমলা রঙের বোতামে ক্লিক করে এগিয়ে যান।
  • Your new domain has been successfully registered. আপনি এখন পছন্দের ডোমেইনের গর্বিত মালিক। Setup লেখা বোতামে ক্লিক করুন।
  • আপনার পছন্দের নামের ডোমেইনটির রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়ে গেছে। এবার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই কিন্তু ডোমেইনটির সেটআপ সম্পূর্ণ করতে হবে। না হলে Co.cc কর্তৃপক্ষ ডোমেইনটি মুছে ফেলবে। Please domain setup now লেখা লিংকে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপের দিকে এগিয়ে যান।
  • উপরের ছবির মতো পাতায় ডোমেইন সেটআপের বিভিন্ন অপশন আছে। আমরা blogger.com এর ব্লগ নিয়ে যেহেতু কাজ করছি সেহেতু ২ নং অপশনটি (Zone Records) সিলেক্ট করব।
  • ২ নং অপশনের Zone Records অংশেই আমাদেরকে কিছু পরিবর্তন করতে হবে। তাই Edit/ Add Zone Records (A, MX, NS, CNAME, TXT) লেখা লিংকে ক্লিক করে এগিয়ে যেতে হবে।
  • এখানে Type লেখার পাশের ড্রপডাউন মেনু থেকে 'A' সিলেক্ট করুন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে আপনার ডোমেইন নামটি Host এর ঘরে লেখা হয়ে যাবে। নিচের Value লেখা ঘরে IP Adress 64.202.189.170 লিখে দিন। TTL পরিবর্তন করতে হবে না। Set up লেখাতে ক্লিক করুন। সেভ হয়ে যাবে।
  • আবারও একটি Add a record নামক হালকা নীল রঙের বক্স আসবে। এখানে CNAME Record লিখতে হবে। Type লেখার পাশের ড্রপডাউন মেনু থেকে CNAME নির্বাচন করুন। স্বয়ংক্রিয়ভাবে www যুক্ত হয়ে ডোমেইনের নাম Host ঘরে লেখা হয়ে যাবে। নিচের Value লেখা ঘরে ghs.google.com লিখে দিন। TTL পরিবর্তন করতে হবে না। Set up লেখা কমলা রঙের বোতামে ক্লিক করুন।
  • co.cc তে ডোমেইন সেটআপের কাজ সম্পূর্ণ হয়েছে।
  • এবার আপনাকে blogger.com এ লগইন করে ব্লগটিকে নতুন ডোমেইনের সাথে যোগ করতে হবে। আর তার পদ্ধতি জানুন কিভাবে ব্লগার.কম এর ব্লগকে নিজস্ব ডোমেইনের সাথে সংযুক্ত করতে হয় এই লিংক থেকে।

ব্লগার.কম ব্লগে স্ট্যাটিক পেজ স্থাপন করার পদ্ধতি

আমরা এর আগের একটি পোস্টে ব্লগার.কম এ খোলা ব্লগে ওয়ার্ডপ্রেসের মতো পেজ তৈরি করার পদ্ধতি জানিয়েছিলাম। নতুন পোস্ট লিখে সেটাকেই মেনুবারে স্ট্যাটিক পেজ হিসেবে স্থাপন করার ধারণা আমরা ব্লগার.কম এর ব্লগে অনেক আগে থেকেই ব্যবহার করে আসছি। কিন্তু এবার ব্লগার.কম একটি নতুন সুবিধা তাদের ওয়েবওয়ারটিতে যোগ করেছে। এর মাধ্যমে আমরা ব্লগার.কম এর ব্লগে আলাদাভাবে স্ট্যাটিক পেজ তৈরি করতে পারবো।

খবরটি প্রকাশিত হয়েছে জানুয়ারি মাসের ২০ তারিখে। কিন্তু আমি এত দেরী করে আপনাদেরকে খবরটি জানাচ্ছি তার কারণ হল যে এটাতে এতদিন বিভিন্নরকম ত্রুটি ছিল। কখনও ঠিকমতো দেখাতো না। আবার কখনও বা পেজগুলি লোড হতো না। এইসব কিছু ত্রুটি ঠিক করে নতুন করে ঘোষণা দেয়া হয়েছে ফেব্রুয়ারির ৩ তারিখে। তারপরও এই সুবিধাটা সাধারণের জন্য উন্মুক্ত করা হয়নি। শুধুমাত্র যারা draft.blogger.com ব্যবহার করেন, তারাই এই সুবিধাটা উপভোগ করতে পারবেন। We have discussed about how to make a static page like wordpress on blogger.com blog.

তাহলে আসুন, আজ আমরা জেনে নিই কিভাবে ব্লগার.কম এ খোলা ব্লগে পেজ ব্যবহার করা যায়।
  • প্রথমে draft.blogger.com ঠিকানায় আপনার প্রচলিত গুগল আইডি ও পাসওয়ার্ড (Google ID and Password) দিয়ে লগইন (Login) করুন। At first login in draft.blogger.com with your google id and password.
  • ড্যাশবোর্ডে (Dashboard) আপনার ব্লগের Edit Posts লেখাতে ক্লিক করুন। New Post লেখাতে ক্লিক করেও এগিয়ে যেতে পারেন।
  • Edit page
  • Edit Pages লেখাতে ক্লিক করলে পেজ এডিট (Page Edit) করার ট্যাবে (Tab) চলে আসবেন।
  • Creat a new page
  • উপরের ছবিতে দেখুন এখনও কোন পেজ তৈরি করা হয়নি। তাই কোন পেজের তালিকা দেখা যাচ্ছে না। এই ট্যাবে NEW PAGE অথবা Create a page লেখা লিংকে ক্লিক করুন।
  • Write a new page
  • উপরের ছবিতে নতুন পেজ লেখার এডিটর (Post Editor) দেখা যাচ্ছে। পোস্ট লেখার মতো করে এখানে বিভিন্নভাবে লিখিত টেক্সটকে ফরমেট করতে পারবেন, লিংক স্থাপন, ছবি বা ভিডিও স্থাপন সবই করতে পারবেন। যে বিষয়ে পেজ তৈরি করছেন, সে বিষয়ে প্রাসঙ্গিক তথ্য লিখে লেখাটি Publish Page লেখাতে ক্লিক করে প্রকাশ করুন।
  • Page options
  • পেজ এডিটরের নিচে লেখা Post Options লেখাতে ক্লিক করে বিভিন্নরকম সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবেন। তার মধ্যে প্রথমেই রয়েছে যে আপনি ইচ্ছে করলে পাঠককে এই পেজটিতে মন্তব্য করতে দিতে পারেন কিংবা বন্ধ রাখতে পারেন। Allow অথবা Don't Allow লেখাতে ক্লিক করে আপনার পছন্দ নির্বাচন করুন। ডিফল্টভাবে Don't Allow তে সিলেক্ট হয়ে থাকে।
  • Add a Page gadget on blog
  • পেজটি পাবলিশ (Publish) হওয়ার পর আপনার সামনে যে অপশনটি আসবে তা হল যে এবার একটি পেজ গেজেট ব্লগে স্থাপন করা দরকার। আপনি কিভাবে তা স্থাপন করতে চান? সাইডবারে, নাকি পোস্টের উপরে নাকি কোন গেজেট স্থাপন করতে চাননা। ম্যানুয়ালি পেজটির লিংক কোথাও লাগিয়ে দেবেন- তা রেডিও বোতামে সিলেক্ট করে SAVE AND PUBLISH লেখাতে ক্লিক করে প্রকাশ করুন।
  • আপনার ব্লগে একটি পেজ প্রকাশিত হয়ে যাবে। এভাবে আপনি About, Contact ইত্যাদি পেজ তৈরি করতে পারবেন।
  • আবারও Edit Pages ট্যাবটিতে যদি যান, তাহলে আপনার প্রকাশিত পেজগুলোকে একঝলক দেখে নিতে পারবেন। নিচের ছবি দেখুন।
  • Edit pages tab
  • এখানে প্রকাশিত পেজগুলি হালকা নীল রঙে এবং অপ্রকাশিত পেজগুলি হালকা ধূসর রঙে দেখা যাবে। আপনি ইচ্ছে করলে প্রকাশিত বা অপ্রকাশিত পেজগুলি এখান থেকেই সম্পাদনা করতে পারবেন।
  • এবার ব্লগের Layout > Page Elements ট্যাবে চলে যান। যদি পেজ গেজেট স্থাপন করেন তাহলে তাকে এখানে দেখে নিতে পারবেন। আর যদি না করে থাকেন, তাহলে এখান থেকে যে কোন সাইডবার বা যে কোন জায়গার Add new gadget এ ক্লিক করে একটি পেজলিস্ট মেনু স্থাপন করতে পারবেন। পরে সেটাকে ড্রাগ করে যে কোন জায়গায় নিয়ে যাওয়া যাবে।
  • গেজেটটির পাশের Edit লেখা লিংকে ক্লিক করে এর কিছু সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবেন।
  • Configure page list
  • Edit লেখাতে ক্লিক করলে যে ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে, সেখানে বেশ কিছু অপশন থাকবে। এখানে Home বোতামটির নাম পরিবর্তন করতে পারবেন। কোন কোন পেজ দেখাতে চান, তা টিক চিহ্ন দিয়ে নির্বাচন করতে পারবেন। কিংবা কোন পেজের পর কোন পেজ রাখতে চান, তাও নির্বাচন করতে পারবেন।
  • আশা করি এবার আপনার ব্লগে একটি স্ট্যাটিক পেজ স্থাপন করতে কোনরকম অসুবিধা হবে না।
সুবিধাঃ
  • ব্লগে About, Contact, Foreword ইত্যাদি পেজ রাখা যেতে পারে। এতে ব্লগের পাঠকদের কাছে প্রয়োজনীয় তথ্যগুলো সহজে পৌছানো সম্ভব হয়।
অসুবিধাঃ
সতর্কতাঃ
  • এখনও এই পেজ সুবিধাটি সাধারণ সব ব্লগারের জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়নি। অর্থাৎ এই সুবিধাটি আপনি blogger.com ঠিকানায় পাবেন না। আপনাকে draft.blogger.com এ লগইন করতে হবে।
  • এখনও এতে কিছু ত্রুটি থেকে গেছে। আপনার ক্ষেত্রে কাজ নাও করতে পারে।
  • প্রয়োজনে Blogger Help এর এই পাতাটি একবার দেখে নিতে পারেন

DOT Tk ডোমেইনে ব্লগারের ব্লগ সংযুক্ত করার পদ্ধতি

দক্ষিণ প্রশান্ত মহাসাগরের নীল সমুদ্র বেষ্টিত নারিকেল বীথিঘেরা ছোট্ট একটি দ্বীপদেশ Tokelau। এই দেশের টেলি কমিউনিকেশন কোম্পানী Teletok এবং BV DOT TK এর সাথে যৌথ উদ্যাগে শুরু হয় Dot tk এর অভিযাত্রা। BV DOT TK কে সরকার এক নতুন ধরণের ডোমেইন সিস্টেম রেজিস্ট্রেশন করার অনুমতি দেয়। এই কোম্পানী সারা পৃথিবীর অনলাইনকে এক নতুন রূপ দেয়ার লক্ষ্য নিয়ে যাত্রা শুরু করে। নেদারল্যান্ডের আমস্টারডাম, ইংল্যান্ডের লন্ডন এবং Isle of Man এর Douglas এ এদের অফিস রয়েছে। সারা পৃথিবীর কোনে কোনে DNS রুট সার্ভার নিয়ে এরা কোটি কোটি রেজিস্টার্ড সদস্যকে সেবা দেয়ার প্রতিশ্রুতি দেয়। জনপ্রিয়তা পেতে দেরী হয়নি। যারা নিজেদের নামে .com, .org, .net প্রভৃতি টপ লেভেল ডোমেইন (Top Level Domain TLD) ঠিকানা পায়নি। তারা পেয়ে যায় নিজেদের নামে অনলাইনে পৃথিবীর সামনে উপস্থিত হবার এক দারুণ সুযোগ।
How to attach blogger blog with dot tk domain.
এতদিন Dot.tk শুধুমাত্র ফরোয়ার্ড (Forward) করার কাজ করতো। আপনার যদি ব্লগার (Blogger.com) বা বিভিন্ন ফ্রি হোস্টিং সার্ভিসগুলোতে (Free Hosting Service) ওয়েবসাইট থাকতো। তাহলে এর লম্বা URL টাকে বলতে বা লিখতে গিয়ে একটু কষ্ট হতো। সেই কষ্টটাকে লাঘব করার জন্য Dot.tk এর শরণাপন্ন হতো সবাই। যেমন: http://yoursite.blogspot.com অথবা
http://www.freehost.com/users/yourwebsite এই বড় নামগুলিকে অনায়াসে ছোট নামে ব্যবহার করা যেত Dot.tk দিয়ে। সেক্ষেত্রে নামটি হতো http://www.yoursite.tk, এই ছোট্ট নামটি বলতে সহজ আবার লিখতেও সহজ। কিন্তু ফরোয়ার্ড করার সিস্টেমে Dot.tk এর বড় সীমাবদ্ধতা ছিল যে এর ফলে ওয়েবসাইটের বিভিন্ন পেজগুলোর ঠিকানার কোন পরিবর্তন হতো না। যেমন: http://yoursite.blogspot.com/2010/01/post_title.html , লক্ষ্য করুন ব্লগের ঠিকানাতে tk থাকা সত্ত্বেও কোন নির্দিষ্ট পোস্ট পেজের ঠিকানাতে blogspot.com থেকে গেছে। এবার Dot.tk তে এসেছে এক ব্যাপক পরিবর্তন। এখন থেকে Dot.tk নিজস্ব Name Server ব্যবহার করার সুযোগ দিচ্ছে। ফলে আপনার সাইটের ঠিকানাতেও এর প্রভাব পড়বে। ব্লগারের ব্লগ যদি ব্যবহার করেন, তাহলে Custom Domain হিসেবে Dot.tk এর ঠিকানা ব্যবহার করার সুযোগ পাবেন। আর তাহলে পোস্ট পেজের ঠিকানা হবে http://www.yoursite.tk/2010/01/post_title.html, অর্থাৎ এখন থেকে Dot.tk একটি পূর্ণাঙ্গ ডোমেইন হিসেবেই কাজ করবে।
Today will learn how to change domain DNS settings at DOT Tk.
আজ আমরা জানবো কিভাবে Dot.tk তে Name Server বা DNS Settings পরিবর্তন করে নিতে হয়।

  • প্রথমেই Dot.tk সাইটে ভ্রমণ করুন।
  • DOT TK Homepage
  • এখানে Enter Your URL here লেখা জায়গায় আপনার পছন্দের ডোমেইন নামটি লিখে Next বাটনে ক্লিক করুন।
  • Dot TK Domain Registration
  • পরের পৃষ্ঠায় দেখা যাবে যে আপনার পছন্দের নামটি রেজিস্ট্রেশন করার জন্য শূন্য রয়েছে কি না। যদি থাকে, তাহলে লেখা থাকবে This Domain is still available , এই পাতার Next লেখা বোতামে ক্লিক করে পরবর্তি পৃষ্ঠায় চলে যান। লক্ষ্য করুন উপরের ছবির মতো পাতায় Free Domain এবং Paid Domain এই দুটোর মধ্যে আমরা Free বেছে নিয়েছি। অর্থাৎ Free Domain লেখার পাশের রেডিও বোতামে চিহ্ন দেয়া আছে।
  • Dot Tk Domain DNS Settings
  • এই পৃষ্ঠায় আপনি কিভাবে আপনার ডোমেইনটিকে ব্যবহার করতে চান, তা জানতে চাইছে। শুধু ফরোয়ার্ড করে নাকি নিজস্ব DNS ব্যবহার করে। আমরা নিজস্ব DNS ব্যবহার করার জন্য Use DNS For this Domain লেখা বোতামে ক্লিক করবো।
  • পরের পৃষ্ঠায় Use Dot TK's Free DNS Service লেখা রেডিও বোতামে ক্লিক করুন।
  • Use Free DNS Services on DOT Tk
  • আপনার পছন্দের নামযুক্ত ঘরের পাশে যে IP Address লেখা টেক্সট বক্স আছে, তা নিচের ছবির মতো তথ্য দিয়ে পূরণ করুন।
  • Use Free DOT Tk DNS Services
  • এই তথ্যগুলি ব্লগারের (Blogger.com) ব্লগ ব্যবহার করলে লিখতে হবে। আপনি যদি কোন ফ্রি হোস্ট সার্ভিস ব্যবহার করেন, অথবা কোন নিজস্ব হোস্টিং ব্যবহার করেন, তাহলে Use my own DNS Services লেখা বোতামে ক্লিক করুন। প্রযোজ্য জায়গায় Name Server এবং IP Address লিখে দিন। ব্লগার.কম এর ব্লগের ক্ষেত্রে আমরা www ছাড়া ঠিকানার ক্ষেত্রে IP Address দিব 216.239.32.21 অথবা 64.202.189.170, আর www যুক্ত ঠিকানার ক্ষেত্রে IP Address ঘরে লিখব ghs.google.com
  • শেষে আপনার ইমেইল (Email) ঠিকানা ও ক্যাপচা (Captcha) শব্দগুলি টাইপ করে next লেখা বোতামে ক্লিক করুন।
  • আপনার দেয়া ইমেইল ইনবক্সে Dot.tk থেকে একটি চিঠি এসে উপস্থিত হবে। এখানে আপনার একাউন্ট সম্পর্কিত বিভিন্ন তথ্য এবং শুধুমাত্র আপনার জন্য একটি বিশেষ কনফার্মেশন কোড (Confirmation Code) থাকবে। একটিভ করার জন্য প্রযোজ্য লিংকে ক্লিক করলে এই কনফার্মেশন কোডটির প্রয়োজন হবে। You will need a confirmation code to complete regstration at DOT TK.
  • DOT TK registration process confirmation code
  • কনফার্মেশন কোডটি (Confirmation Code) টেক্সটবক্সে টাইপ করে Confirm লেখা বোতামে ক্লিক করুন। Your registration process is complete now.
  • আপনার রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়ে যাবে।
  • এবার আপনাকে ব্লগার.কম এ লগইন (Login) হয়ে যে ব্লগের সাথে Dot.tk থেকে নেয়া ডোমেইনকে সংযুক্ত করতে চান, তার সেটিংস পরিবর্তন করতে হবে। পরিবর্তন করার পদ্ধতি জানুন কিভাবে ব্লগার.কম এর ব্লগকে নিজস্ব ডোমেইনের সাথে সংযুক্ত করতে হয় এই লিংক থেকে।
  • ব্যক্তিগত বা কোন অবানিজ্যিক উদ্দেশ্যে তৈরি করা সাইটগুলোর ডোমেইন Dot.tk থেকে রেজিস্টার করে ব্যবহার করা যেতে পারে বলে আমি মনে করি। অযথা টাকা খরচ করে ডোমেইন কেনার বিলাসিতা কি আমাদের মতো দরিদ্র দেশের নাগরিকদেরকে মানায়?
  • তবে মনে রাখতে হবে যে, Dot.tk থেকে নেয়া ফ্রি ডোমেইন ব্যবহারের শর্ত কিন্তু একটাই আছে। আর তা হল ৯০ দিনের মধ্যে কমপক্ষে ২৫টি ভিজিট হতে হবে এই ডোমেইনে। তা না হলে কিন্তু ডোমেইনটির রেজিস্ট্রেশন বাতিল হয়ে যাবে।
  • লক্ষ্য রাখুন-- আগামীকাল লিখব বিখ্যাত co.cc থেকে নেয়া ফ্রি ডোমেইনের DNS পরিবর্তন করার পদ্ধতি
আপডেটঃ (২৮/০২/২০১০) আজ dot.tk তে একটি সাইটের রেজিস্ট্রেশন করে দিলাম। ডট.টিকে কন্ট্রোল প্যানেলে এই সাইটের DNS পরিবর্তনের তথ্য সবার সাথে শেয়ার করলাম।
dot tk control panel informationএখানে দেখুন A এবং CNAME কিভাবে পরিবর্তন করা হয়েছে। IP Adress 216.239.32.21 এর বদলে 64.202.189.170 দিয়ে কাজ হয়েছে।

Gimp এর ফ্রি গাইড Grokking the Gimp ডাউনলোড করুন


লিনাক্স ব্যবহারকারীরা ফটো এডিটিং এর জন্য একটি দারুণ সফটওয়ার ডিস্ট্রিবিউশনের সাথে ফ্রি পেয়ে থাকে। এর নাম GIMP, এই দারুণ সফটওয়ারটিকে অনেকেই ফটোশপের বিকল্প বলে থাকে। ৪০-৫০ হাজার টাকা দামের ফটোশপ ছবি সম্পাদনা বা তৈরির ক্ষেত্রে হয়তো জিম্প এর চাইতেও বেশি কিছু করতে পারে। কিন্তু আমাদের মতো সাধারণ ইউজারদের জন্য Gimp এর মতো শক্তিশালী ফটো এডিটর আর একটাও নেই। এই জিম্প এর একটি গাইডবই ফ্রি পাওয়া যাচ্ছে। এর নাম "Grokking the Gimp" । আগ্রহীরা অনলাইনে পড়তে পারবেন আবার ডাউনলোড করে নিয়ে কম্পিউটারে রেখে দিয়ে অফলাইনেও দেখে নিতে পারবেন।


এই আকর্ষণীয় ই-বইটির অনলাইন সূচীপত্রটি সম্পূর্ণ উদ্ধৃত করার লোভ সামলানো গেল না।
 This is a online E-Book on Gimp - the image manipulation program.
    * Copyright Notice and Open Publication License
    * About the Author
    * Contents
    * List of Figures
    * List of Tables
    * Preface
    * Acknowledgements
    * README
          o Book Overview
          o Mouse Clicks
          o Function Names, Menus, and Keyboard Shortcuts
          o Setting up Your Computer to Get the Most from the GIMP
                + Notes on RAM
                + Notes on Video RAM
                + Notes on Swap and GIMP Memory Management
                + Loading Fonts
                + Setting the X Window System to Run More Than 8 bpp
          o Sources of Raw Image Materials
          o The History of the GIMP
    * 1. GIMP Basics
          o 1.1 Introducing the GIMP Windows and Dialogs
                + 1.1.1 The Toolbox
                + 1.1.2 The Image Window
                + 1.1.3 The Layers, Channels, and Paths Dialogs
                + 1.1.4 The Dialogs for Color, Brushes, Patterns, Gradients, and Palettes
          o 1.2 Loading and Saving Images
          o 1.3 Creating New Images
          o 1.4 RGB, Grayscale, and Indexed Images
          o 1.5 Undoing and Redoing
          o 1.6 Recalling the Last Filter Dialog
          o 1.7 Copy, Cut, and Paste Buffers
          o 1.8 Zoom and New View
                + 1.8.1 Zoom
                + 1.8.2 New View
          o 1.9 The Help System
          o 1.10 Common Problems and
            Frequently Asked Questions
    * 2. Review of Layers
          o 2.1 Layers and the Role They Play in Images
                + 2.1.1 The Layers Dialog
                + 2.1.2 The Layers Menu
          o 2.2 Channels and Their Relationship
            to Layers
                + 2.2.1 The Channels Dialog
          o 2.3 Layer Creation, Deletion, Duplication, and Organization
                + 2.3.1 Creating New Layers
                + 2.3.2 Raising Layers
                + 2.3.3 Lowering Layers
                + 2.3.4 Duplicating Layers
                + 2.3.5 Deleting Layers
          o 2.4 Layer Export and Import
          o 2.5 Floats
                + 2.5.1 Automatic Creation of Floats
                + 2.5.2 Explicit Creation of Floats
                + 2.5.3 Anchoring Floats
          o 2.6 Manipulating Layers
                + 2.6.1 Positioning Layers
                      # 2.6.1.1 Moving Layers
                      # 2.6.1.2 Aligning Layers with Guides
                      # 2.6.1.3 Toggling the Layer Boundary
                + 2.6.2 Resizing and Scaling
                      # 2.6.2.1 Image Scaling
                      # 2.6.2.2 Image Resizing
                      # 2.6.2.3 Layer Scaling
                      # 2.6.2.4 Layer Resizing
                + 2.6.3 Flipping
                + 2.6.4 Rotating in 90o Increments
                + 2.6.5 The Transform Tool
                      # 2.6.5.1 Rotation
                      # 2.6.5.2 Scaling
                      # 2.6.5.3 Shearing
                      # 2.6.5.4 Perspective
          o 2.7 Combining Layers
                + 2.7.1 Merging
                + 2.7.2 Flattening
          o 2.8 Common Problems and
            Frequently Asked Questions
    * 3. Selections
          o 3.1 The Basic Selection Tools
                + 3.1.1 The Six Selection Tools from the Toolbox
                      # 3.1.1.1 The Rectangle Select and Ellipse Select Tools
                      # 3.1.1.2 The Lasso (the Free-Hand Selection Tool)
                      # 3.1.1.3 The Magic Wand (the Fuzzy Select Tool)
                      # 3.1.1.4 Bezier Paths
                      # 3.1.1.5 The Intelligent Scissors
                + 3.1.2 Selection Tool Options
                      # 3.1.2.1 Antialiasing
                      # 3.1.2.2 Feathering
                      # 3.1.2.3 Sample Merged
                      # 3.1.2.4 Threshold
          o 3.2 Combining Selections
                + 3.2.1 Adding
                + 3.2.2 Subtracting
                + 3.2.3 Intersecting
                + 3.2.4 Using Add, Subtract, and Intersect with the Rectangle and Ellipse Selection Tool Features
                + 3.2.5 Moving a Selection Boundary
          o 3.3 The Select Menu and Friends
                + 3.3.1 The Invert Function
                + 3.3.2 The All Function
                + 3.3.3 The None Function
                + 3.3.4 The Float Function
                + 3.3.5 The Feather Function
                + 3.3.6 The Sharpen Function
                + 3.3.7 The Shrink Function
                + 3.3.8 The Grow Function
                + 3.3.9 The Border Function
                + 3.3.10 The Save to Channel Function
                + 3.3.11 The By Color Function
                + 3.3.12 The To Path Function
                + 3.3.13 The Toggle Selection Function
                + 3.3.14 Copy, Cut, and Paste
                + 3.3.15 Stroke
          o 3.4 The Paths Dialog
                + 3.4.1 The Paths Palette
                + 3.4.2 The Control Point Mode Buttons
                + 3.4.3 The Paths Menu
                + 3.4.4 The Paths Button Bar
          o 3.5 Using Selections Effectively
                + 3.5.1 General Selection Tool Guidelines
                + 3.5.2 Tool Conjugation
                + 3.5.3 Using Zoom
                + 3.5.4 Selections and Guides
          o 3.6 Common Problems and
            Frequently Asked Questions
    * 4. Masks
          o 4.1 Channel Masks
                + 4.1.1 The Channels Dialog
                + 4.1.2 Saving Selections to Channel Masks
                + 4.1.3 Making Channel Masks Visible
                + 4.1.4 Setting a Channel Mask's Color, Transparency, and Title
                + 4.1.5 The Channels Menu
                + 4.1.6 Combining Channels
                + 4.1.7 Partially Selected Pixels
          o 4.2 Layer Masks
                + 4.2.1 Creating a Layer Mask
                + 4.2.2 Manipulating the Layer Mask
          o 4.3 Basic Tools for Working with Channel and Layer Masks
                + 4.3.1 Painting Tools
                + 4.3.2 Selection Tools
                + 4.3.3 Gradients
                + 4.3.4 Transparency as a Tool for Editing Masks
                + 4.3.5 Blurring of Masks and Other Effects
          o 4.4 Conversions of Selections, Channel Masks,
            Layer Masks, and Alpha Channels
          o 4.5 Masks and Selections
                + 4.5.1 Using Masks to Refine Selections
                + 4.5.2 The Quick Mask
                + 4.5.3 Finding the Natural Mask
                      # 4.5.3.1 Working with the Threshold Tool
                      # 4.5.3.2 The Threshold Tool Versus the Magic Wand
                      # 4.5.3.3 Threshold and Decompose
          o 4.6 Common Problems and
            Frequently Asked Questions
    * 5. Colorspaces and Blending Modes
          o 5.1 The RGB Colorspace
          o 5.2 The HSV Colorspace
          o 5.3 Relating HSV to RGB
          o 5.4 The Subtractive Color Systems CMY
            and CMYK
          o 5.5 Conversion to Grayscale
          o 5.6 The Blending Modes
                + 5.6.1 The Normal, Dissolve, and Behind Blending Modes
                + 5.6.2 The Addition, Subtract, and Difference Blending Modes
                + 5.6.3 The Multiply (Burn), Divide (Dodge), Screen, and Overlay Blending Modes
                + 5.6.4 The Darken Only and Lighten Only Blending Modes
                + 5.6.5 The Hue, Saturation, Value, and Color Blending Modes
          o 5.7 Opacity and Transparency
          o 5.8 Practical Uses of Blending Modes
                + 5.8.1 Colorization
                + 5.8.2 Realistic Shadows and Highlights
          o 5.9 Common Problems and
            Frequently Asked Questions
    * 6. Touchup and Enhancement
          o 6.1 Improving Tonal Range
                + 6.1.1 Highlights and Shadows
                + 6.1.2 Using the Levels Tool
          o 6.2 Removing Color Casts
                + 6.2.1 The Curves Tool
                + 6.2.2 Color Correcting by Balancing the Neutrals
                + 6.2.3 Finding the Shadow, Midtone, and Highlight
                + 6.2.4 Other Colors We Know
                + 6.2.5 The Perturbation Technique
                + 6.2.6 Getting More Detail into the Subject
                + 6.2.7 Other Color Correcting Tools
                      # 6.2.7.1 The Color Balance Tool
                      # 6.2.7.2 The Brightness-Contrast Tool
                      # 6.2.7.3 The Hue-Saturation Tool
          o 6.3 Repairing Blemishes with the Clone Tool
          o 6.4 Sharpening
                + 6.4.1 The Unsharp Mask Concept
                + 6.4.2 A Simplified but Illustrative Example
                + 6.4.3 A Representative Example of Applying
                  the Unsharp Mask
                + 6.4.4 Unsharp Mask Pitfalls
          o 6.5 A Case Study
    * 7. Compositing
          o 7.1 Project 1: Fish on Holiday!
          o 7.2 Project 2: Through the Looking Glass
          o 7.3 Project 3: Destination Saturn
          o 7.4 Project 4: The Call of the Mermaid
          o 7.5 Project 5: Panoramas
                + 7.5.1 Correcting Geometric Distortions
                + 7.5.2 Color and Brightness Matching
                + 7.5.3 Blending
                + 7.5.4 Final Touches
    * 8. Rendering Techniques
          o 8.1 The Bucket Fill Tool
          o 8.2 Gradient Rendering Techniques
          o 8.3 The Emboss and Bump map Filters
          o 8.4 Shadows
          o 8.5 Rendering Project I: Drop Shadow and Punchout
          o 8.6 Rendering Project II: A Carved Stencil
          o 8.7 Rendering Project III: Chiseled Text
    * 9. Web-Centric GIMP
          o 9.1 Web Animations
                + 9.1.1 Using GIF Files for Animation
                + 9.1.2 GIMP Layers Can Behave Like Animation Frames
                + 9.1.3 Saving Animations to GIF
                + 9.1.4 A Second Example of Creating a GIF Animation
                + 9.1.5 Animation Optimization
                + 9.1.6 IWarp
          o 9.2 Clickable Image Maps
          o 9.3 Type Effects
          o 9.4 Tileable Backgrounds
          o 9.5 Web-Safe Color
                + 9.5.1 Types of Color Distortion
                + 9.5.2 Low-Color Systems and Web Browser
                  Color Palettes
                + 9.5.3 Converting to Indexed Color
                + 9.5.4 What Is the Best Choice?
          o 9.6 Semi-Transparency and Indexed Images
          o 9.7 Which Format GIF or JPEG?
    * Bibliography
    * 10. GIMP Resources
    * 11. Keyboard Shortcuts
    * Index
  • বইটি পড়তে ভিজিট করুন Grokking the Gimp
  • সম্পূর্ণ বইটি ডাউনলোড করুন এখানে ক্লিক করে। tar.gz ফাইল। সাইজ ২৬.৯ মেগাবাইট
  • জিম্প এর আরও কিছু টিউটোরিয়াল পাবেন এখানে
  • জিম্প এর মূল ওয়েবসাইট
  • জিম্প তৈরি করা হয়েছে লিনাক্সের জন্য। কিন্তু উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরাও এটাকে ব্যবহার করতে পারবেন। তাঁরা নতু ভার্সনের জিম্প ডাউনলোড করতে পারবেন এই ঠিকানা থেকে। ভার্সন ২.৬.৭, ফাইল আকার 16423 kB
  • মূল ওয়েবসাইটে থাকা টিউটোরিয়াল বা ডকুমেন্টেশনটি পড়ুন এখানে

প্রকাশিত হয়েছে 'প্রযুক্তি কথন' ২


বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক বাংলা ই সাময়িকী 'প্রযুক্তি কথন' এর বর্ষ ২ সংখ্যা ১ প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশ করেছে বিখ্যাত বাংলা বিজ্ঞান ফোরাম 'আমাদের প্রযুক্তি'। গত সংখ্যার মতো এই সংখ্যাটিও চমৎকার সব প্রবন্ধ দিয়ে সাজিয়ে তোলা হয়েছে। এই সংখ্যাটি সম্পাদনা করেছেন 'কারিগর হাসান'। আর তার এই দুরূহ কাজে সহযোগিতা করেছেন- শাহরিয়ার তারিক, বিপ্র রঞ্জন ধর, সবুজ কুমার কুন্ডু এবং শাবাব মুস্তাফা।

'জ্বালানি এবং পরিবেশ বিষয়ক বিশেষ সংখ্যা' হিসেবে প্রকাশিত হওয়ায় এবারের সাময়িকীতে পরিবেশ বিষয়ে সচেতনতামূলক প্রবন্ধের সংখ্যাই বেশি। আধুনিক জীবনের চাহিদা মেটাতে গিয়ে আমরা চারপাশের পরিবেশের কি পরিবর্তন করে ফেলছি, পরিবেশের ক্ষতির মাত্রা কত, পরিবেশের উপর ক্ষতিকর কার্যক্রম কিভাবে কমিয়ে আনা যায় ইত্যাদি বিষয়ে বেশ কটি মূল্যবান প্রবন্ধ রয়েছে 'প্রযুক্তি কথন' ই-পত্রিকায়। চৌম্বকীয় ও আকর্ষণকারী সূচিপত্রটি হলো:
১। শক্তির উৎস, কিছু প্রাক-কথন
২। পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের উপর বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রভাব
৩। অপরিকল্পিত নগরায়ন, পরিবশে দূষণ এবং আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা
৪। "গ্রাম্য চাষা'-দের বিদ্যুৎ উৎপাদনের গল্প
৫। জৈব জ্বালানী: সম্ভাবনা, নাকি সংকট
৬। মেধাসত্ত্ব সংরক্ষণ - আমাদের করণীয় কি হবে?
৭। ইন্টারনেট প্রজন্ম
৮। ওয়্যার হাউস এপ
৯। গিট: অসাধারণ একটি সোর্স কোড ম্যানেজমেন্ট টুল
১০। উইন্ডোজ সার্ভার ২০০০/২০০৩ এ এক্টিভ ডিরেক্টরি
১১। উবুন্টু যে কারণে উইন্ডোজ নয়
১২। পথচারী
'শক্তির উৎস, কিছু প্রাক কথন' নামক প্রবন্ধে শক্তির উৎস সন্ধানে মানুষের যে চেষ্টা তার একটি সংক্ষিপ্ত আলোচনা করা হযেছে। লেখক শাহরিয়ার তারিক অল্প কথায় যুগে যুগে মানুষের শক্তি ব্যবহারের পদ্ধতি, সমস্যা ও তা থেকে সমাধানে উত্তরণ ইত্যাদি বর্ণনা করেছেন। পেশী শক্তি থেকে আগুন, তারপর বায়ুশক্তি, পশুশক্তি, কয়লা শক্তি, বাষ্পীয় শক্তি ব্যবহার শেষে মানুষ এখন বিদ্যুৎ শক্তিতে বেশি নির্ভর। কিন্তু এই বিদ্যুৎ শক্তি পেতে মানুষকে যে পরিমাণ মূল্য দিতে হচ্ছে তার মূল্য অপরিসীম। পরিবেশের ক্ষতিকারক জৈব জ্বালানীর কথাও লেখক প্রসঙ্গক্রমে উল্লেখ করেছেন। শক্তির উৎস হিসেবে আরও উন্নত জ্বালানী ব্যবহারের জন্য মানুষের নিত্যনতুন আবিষ্কারের উন্মাদনা তা এখনই থেমে যাওয়ার নয়। কারণ পারমাণবিক শক্তিও আমাদের ভোগবাদীতার শক্তিকে তৃপ্ত করতে পারছেনা।

মূল রচনা হল বিশিষ্ট পরিবেশবিদ ও শিক্ষক মিয়া মোহাম্মদ হুসাইনুজ্জামানের "পরিবেশ ও বাস্তুতন্ত্রের উপর বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রভাব" প্রবন্ধটি। নাম দেখেই রচনার বিষয়বস্তু সম্পর্কে ধারণা করা যায়। বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে আমরা পরিবেশের কি ধরণের পরিবর্তন করে ফেলি সেসব সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা এই দীর্ঘ প্রবন্ধটির মূল বিষয়। লেখকের ভাষায়:-
পরিবেশ বলতে মূলত বাস্তুতন্ত্রকে (Ecology) বুঝানো হয়েছে। পরিবেশের অন্যান্য অংশসমূহ, যথা: সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, নান্দনিকতা ইত্যাদিকে এই বিশ্লেষণ থেকে বাদ দেয়া হয়েছে। এছাড়া এই বিশ্লেষণে গৃহে ব্যবহৃত খুব ছোট ছোট বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্রগুলোকে বিবেচনায় আনা হয়নি। বিদ্যুৎ উৎপাদন সংক্রান্ত যে বিষয়গুলি/ পদ্ধতিগুলি আলোচনায় স্থান পেয়েছে তা হল:
১. জীবাশ্ম জ্বালানী দহন করে বিদ্যুৎ উৎপাদন
২. জলবিদ্যুৎ
৩. বায়ুশক্তির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন
৪. জোয়ার-ভাটার শক্তির সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন
৫. সৌরবিদ্যুৎ
৬. আনবিক চুল্লীর দ্বারা বিদ্যুৎ উৎপাদন
৭. ভূ-গর্ভস্থ তাপের সাহায্যে বিদ্যুৎ উৎপাদন
৮. নেগাওয়াট পদ্ধতি (বিদ্যুৎসাশ্রয়)
প্রতিটি পদ্ধতিতে বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে সংশ্লিষ্ট ভূমি ও বায়ুমন্ডলের কিরকমের ক্ষতি হয়, তার ফলে পরিবেশের তথা জীবজগতের উপর কি প্রভাব পরে তা লেখক স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন। জলজ বাস্তুতন্ত্রও যে জোয়ার-ভাটার শক্তির সাহায্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিরূপ প্রভাবের শিকার তা লেখক বলতে ভুলে যাননি। শেষের পদ্ধতিটি আসলে কোন বিদ্যুৎ উৎপাদন পদ্ধতি নয়। বিভিন্ন প্রয়োজনে বিদ্যুৎ উৎপাদনের বিকল্প কি হতে পারে তাই এই অংশের আলোচ্য বিষয়। পরিবেশের কোনরকম ক্ষতি না করে, অন্যান্যগুলোর প্রভাবের সাথে তুলনা করে কিছু কম ক্ষতিকারক শক্তি ব্যবহারের পদ্ধতি কি তা এই অংশের আলোচ্য বিষয়। যেমন: শক্তি সাশ্রয়ী বাতি, ভবনসমূহের তাপ ও বায়ুনিরোধী ব্যবস্থা উন্নয়নকরণ, পুরাতন যন্ত্রপাতি এবং কারখানাকে প্রতিস্থাপন করা, বিদ্যুৎ চাহিদাকে পুনর্বিন্যস্তকরণ, সঞ্চয়ী হিটার ইত্যাদি পদ্ধতিতে আমরা শক্তি ব্যবহারের জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদন করতে গিয়ে পরিবেশের ক্ষতি কিছুটা হলেও কমাতে পারি। লেখকের ভাষায়:
বিদ্যুৎ উৎপাদনে আপাতদৃষ্টিতে যতটুকুই খরচ মনে হউক না কেন এর ফলে সামগ্রিকভাবে পরিবেশের উপর যে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে সেগুলোর ক্ষতির পরিমান অনেক ক্ষেত্রেই অনেক বেশি হয়। কিছু কিছু ক্ষতি আছে যা অপরিবর্তনীয়। তাই সভ্যতার জন্য অপরিহার্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের সময় তুলনামূলক বিচারে কম ক্ষতিকারক (সরাসরি খরচ এবং পরিবেশের মূল্য) প্রভাব সম্পন্ন বিষয়টা বেছে নেয়া জরুরী। অনেক ক্ষেত্রে অপেক্ষাকৃত কম মূল্যে দূরবর্তী স্থানে উৎপাদিত বিদ্যুৎ আমদানী করার সময় পরিবেশের উপর বিদ্যুৎ পরিবহন তার/ টাওয়ারগুলোর বিদ্যুৎচৌম্বকীয় ক্ষেত্রের নেতিবাচক প্রভাবের বিষয়টাও বিবেচনায় আনতে হবে।
'অপরিকল্পিত নগরায়ন, পরিবেশ দূষণ এবং আমাদের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা' শিরোনামের প্রবন্ধটিতে ফাহমিদা ইয়াসমিন সময়ের সাথে সাথে নগরায়ন আমাদের জীবনকে কতটুকু দূষিত করে তুলেছে। গ্রাম এবং শহরের পার্থক্য আলোচনা করতে গিয়ে লেখকের সমাজ সচেতন মনটি আর আড়ালে থাকে না। ক্রমাগত শহরমুখীতা, অপরিকল্পিতভাবে গড়ে ওঠা বাড়িঘর, হাট-বাজার, শিল্পকারখানা, অফিস-আদালত পরিবেশের বিপর্যয় ঘটিয়ে ফেলেছে। লেখকের বর্ণনায়:
অতিরিক্ত জনসংখ্যার চাহিদা মেটাতে প্রয়োজন হচ্ছে অতিরিক্ত বাড়িঘর, দোকানপাট, বৃদ্ধি পাচ্ছে যানবাহন, গড়ে উঠছে শিল্প কারখানা। অধিকাংশ শিল্পকারখানার বর্জ্য ফেলা হচ্ছে নদীতে। ফলে নদীগুলো ক্রমশঃ ভরাট হয়ে যাচ্ছে। ড্রেজিংয়ের অভাবে নদীগুলো তার নাব্যতা হারাচ্ছে। প্রতিবছর অনেক নদী শুকিয়ে যাচ্ছে। যেগুলোতে পানি আছে তাও প্রায় ব্যবহারের অনুপযোগী। নাব্যতা হারানোর ফলে দেশের মৎস্য সম্পদ হ্রাস পাচ্ছে। তাছাড়া শিল্প কারখানার বর্জ্য শুধু নদী ভরাট করছে তা নয় সেই সাথে পানি দূষিত করছে এবং পানি দূষণের কারণে কৃষি জমি, মৎস্য সম্পদ ও পরিবেশেরও ভয়াবহ ক্ষতি সাধিত হচ্ছে। ওয়ার্ল্ড ব্যাংকের একটি রিপোর্ট মতে, পরিবেশের দূষণের ফলে ঢাকার পানির মান নষ্ট হয়ে যাওয়া, বায়ু দূষণ এবং নদী ও জলাশয়ের মৎস্য সম্পদ কমে যাওয়ায় বাংলাদেশের যে ক্ষতি হচ্ছে তা জিডিপির ২.৭ শতাংশেরও বেশি।
এই ভয়াবহ অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য বর্জ্য ব্যবস্থাপনার কোন বিকল্প নেই। পৌর এলাকা, বাণিজ্যিক এলাকাভেবেদ আবর্জনার প্রকারভেদ বিভিন্নরকম। কোনটি পচে যায়, কোনটি আবার অপচনশীল। কোনটি আবার পুনর্ব্যবহারযোগ্য। লেখক বিভিন্ন চার্ট দিয়ে বাংলাদেশের বর্জ্য সম্পর্কে বিভিন্নরকম তথ্য উপাত্ত পরিবেশন করেছেন। পরিবেশের উপর বর্জ্যের বাড়তি প্রভাব কি সে বিষয়ে একটি তথ্যবহুল অংশ রয়েছে এই প্রবন্ধটিতে। দীর্ঘ এই প্রবন্ধটিতে বাংলাদেশের বর্জ্য ব্যবস্থাপনার বর্তমান অবস্থা, সম্ভাবনা ইত্যাদির বাস্তব চিত্র তুলে ধরে লেখক কিছু প্রস্তাব দিয়েছেন। এই প্রস্তাবগুলো বর্তমান বিশ্বের আধুনিক রাষ্ট্রগুলো অনেক আগে থেকেই মেনে চলছে। কিন্তু আমাদের সামগ্রিক আর্থ সামাজিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় এর গুরুত্ব কবে যে বিবেচিত হবে, তা চিন্তার বিষয়।

শাবাব মুস্তাফা জার্মানীর এক গ্রামের কৃষকদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের সাফল্যর কাহিনী তুলে ধরেছেন তার "গ্রাম্য চাষাদের বিদ্যুৎ উৎপাদনের গল্প" নামক নিবন্ধে। জার্মানীর পূর্ব উপকূলের কৃষি প্রধান ছোট্ট একটা গ্রাম্য শহর ফাইয়াম। এখানকার অধিবাসীরা বায়ুশক্তি ও সৌরশক্তিকে কাজে লাগিয়ে নিজেদর প্রয়োজনীয় বিদ্যুৎ নিজেরাই উৎপাদন করছে। শুধু তাই নয় তারা উদ্বৃত্ত ১৭% বিদ্যুৎ যোগান দিচ্ছে জাতীয় বিদ্যুৎ গ্রিডে। ফাইয়াম গ্রামের কৃষকদের এই সাফল্য এসেছে প্রধানত সচেতনতা থেকে। মুনাফালোভী ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এটা তাদের এক সচেতন গণজাগরণ। তারা বিদ্যুৎ কিনে নয় নিজেরাই উৎপাদন করে গ্রামের অর্থনৈতিক ভাগ্য পাল্টে দিয়েছেন। নবায়নযোগ্য শক্তি ও পরিবেশ বান্ধব শক্তি দিয়ে তারা তৈরি করছে প্রয়োজনীয় সবটুকু বিদ্যুৎ।
সেখানে গত বছর ফাইয়ামে উৎপন্ন হয়েছে ১৪.৩ মিলিয়ন কিলোওয়াট ঘন্টা বিদ্যুৎ যা এর নিজের চাহিদা থেকে ২.১ কিলোওয়াট ঘন্টা বেশি। এই অতিরিক্ত বিদ্যুতে জার্মানির কমপক্ষে ৬০০ বাড়িতে আলো জ্বলেছে। ফাইয়ামের এই নবায়নযোগ্য এবং পরিবেশবান্ধব শক্তি ব্যবহারের ব্যাপারে ফাইয়ামের হিরো মি. লাইমারের বক্তব্য বেশ সোজাসাপ্টা,
"এরকম বহুলোক আছে যারা জানে যে পরিবেশ রক্ষার জন্য তাদের কিছু না কিছু করার আছে কিন্তু কাজের বেলায় কেউই কিছু করে না। এই ব্যাপারে আমরা নিজেরা উদ্যোগ নিয়েছি। আমরা এখানে যা করেছি, তা শুধু আমাদের পরিবেশ আর ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই করিনি, সেইসাথে নিজেদের জন্যও করেছি"

"জৈব জ্বালানী: সম্ভাবনা, নাকি সংকট?" নামক প্রবন্ধে বিপ্র রঞ্জন ধর জৈব জ্বালানীর সমস্যা নিয়ে বিভিন্ন দিক আলোচনা করেছেন। জৈব জ্বালানীর শুধুমাত্র নেতিবাচক দিক নয় কিছু ইতিবাচক দিকও রয়েছে। বিপ্র রঞ্জন ধরের আলোচনায় এই বিষয়টিই প্রাধান্য পেয়েছে। উইকিপিডিয়া, ন্যাশনাল বায়োডিজেল বোর্ড, বিবিসি, গার্ডিয়ানসহ ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট থেকে সংগ্রহ করা তথ্য দিয়ে লেখক বলেছেন যে জৈব জ্বালানীর বিকল্প উৎস রয়েছে, আর তা ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা পরিবেশের ক্ষতি করার পরিমাণ আশাতীত পরিমানে কমিয়ে আনতে পারি।

এই ই-ম্যাগাজিনের আর একটি উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ হল অভ্র নীল এর লেখা "উবুন্টু যে কারণে উইন্ডোজ নয়" শীর্ষক লেখাটি। লিনাক্স নিয়ে মানুষের অনেক অনেক অভিযোগকে খুব সহজে সাবলীল ভাষায় আলোচনা করা হযেছে। লিনাক্স ব্যবহার করতে গিয়ে আমাদের ঠিক কোন ধরণের মানসিকতা তৈরি করতে হবে, কি ধরণের মূল্যবোধ তৈরি করা প্রয়োজন, তা সংক্ষেপে সুন্দর করে মনোজ্ঞ বিষয়ের উদাহরণ দিয়ে লেখক বর্ণনা করেছেন। কম্পিউটারের অপারেটিং সিস্টেম নিয়ে সামান্য হলেও চিন্তা করে এমন যে কারও জন্য এই লেখাটিকে অবশ্যপাঠ্য হিসেবে সুপারিশ করবো।

সব শেষের হুমায়রা হারুনের লেখা "পথচারী" নামের বিজ্ঞান কল্পকাহিনীটির উল্লেখ না করলেই নয়। এক অন্য ধরণের স্বাদ এই গল্পটি পাঠ করে আমি পেয়েছি। প্রচলিত বিজ্ঞান কল্পকাহিনীর চাইতে এই গল্পটি অন্যরকম। লেখকের গল্প বলার ভঙ্গীটিও অসাধারণ। পড়তে গিয়ে কোথাও হোঁচট খেতে হয়নি এ কথা আমি নিশ্চিত করেই বলতে পারি।

৯০ পৃষ্ঠার ই ম্যাগাজিনটির সাইজ মাত্র ১.২৩ মেগাবাইট।
যারা 'প্রযুক্তি কথন' ই-সাময়িকীর প্রথম সংখ্যাটির খবর জানেন না তারা এই পাতাটি একবার পড়ে দেখতে পারেন।

সৃজনী সাধারণ লাইসেন্স ৩.০ এর আওতায় প্রকাশিত এই সাময়িকীটির যে কোন ধরণের অবাণিজ্যিক বিতরনের অনুমতি রয়েছে।
 

পাঠকের প্রতিক্রিয়া

কিছু কথা

সফটওয়ার ও ওয়েবওয়ারের বিভিন্ন টিপ্‌স, টিউটোরিয়াল, হ্যাক্‌স, টেমপ্লেট বা থিম্‌স ইত্যাদি নিয়েই আমি ব্লগ লিখছি। আমার প্রধান আগ্রহ ব্লগিং টিপস। এছাড়াও প্রযুক্তির বিচিত্র বিষয় নিয়ে মত বিনিময়, সমস্যা ও তার সমাধান এবং আলোচনা করার জন্য এই ব্লগ খুলেছি। আশা করি আপনি নিরাশ হবেন না। এই ব্লগের সব লেখাগুলো যেকোন মিডিয়ায় এই লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশ করতে পারবেন। বিস্তারিত পড়ুন....

Search This Blog

© 2009-2014 Bangla Hacks | Design by: Bangla Hacks. Powered by: Blogger