Showing posts with label অনলাইন. Show all posts
Showing posts with label অনলাইন. Show all posts

অনলাইনে সর্বোচ্চ ভিজিট হওয়া ১০০০ ওয়েবসাইটের তালিকা

অনলাইনের কোটি কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে সবচাইতে বেশি ভিজিট হয় কোন সাইটগুলোতে। জানার আগ্রহ আমাদের সবার আছে। আর আমাদের এই কৌতুহল মেটাবার ব্যবস্থা করেছে গুগল। তাই গুগল এবার তৈরি করেছে অনলাইনে সর্বোচ্চ ভিজিট হওয়া ১০০০ ওয়েবসাইটের তালিকা। গুগলের Adwords এর অফিসিয়াল ব্লগে এই সম্পর্কিত একটি খবর সারা অনলাইনে ঝড় তুলেছে। সম্প্রতি এক ব্লগ পোস্টে এরা জানিয়েছে যে, বিজ্ঞাপনদাতাদের কথা ভেবে কিছু নতুন সুবিধা চালু করতে যাচ্ছে। ফলে বিজ্ঞাপনদাতারা তাদের বিজ্ঞাপন প্রদানের আগে বাজার যাচাই এবং বিভিন্ন প্লান তৈরি করার জন্য অতিরিক্ত কিছু সুবিধা পাবেন। অনলাইনে থাকা সাইটগুলোর মধ্যে সর্বোচ্চ ভিজিট হওয়া ১০০০ ওয়েবসাইটের এই তালিকাটি তৈরির সময় মূলত বিজ্ঞাপনদাতাদের সুবিধার কথাই মাথায় রাখা হয়েছে।
গুগলের তৈরি সবচাইতে বেশি ভিজিট হওয়া ওয়েবসাইটের তালিকাযারা নিজেদের পণ্যের বিজ্ঞাপন দেন, তারা সবসময় চাইবেন যেন আসল ব্যক্তি, সত্যিকারের ক্রেতা তাদের বিজ্ঞাপনটি দেখে। গুগলের এডসেন্সে দেয়া বিজ্ঞাপনগুলোর যেন অপব্যবহার না হয়। যেন কেউ বিজ্ঞাপনগুলি নিয়ে অযথা ব্যবসা করতে না পারে, তার জন্য গুগলের এই তালিকাটি অনেকটাই সহায়কের কাজ করবে।

অনলাইনে কোটি কোটি ওয়েবসাইটের মধ্যে সবচাইতে বেশি ভিজিট হয় এমন ওয়েবসাইটের তালিকা তৈরির সময় গুগল কয়েকটি বিষয়কে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ মনে করেছে। বিষয়গুলি হলঃ
  • Category
  • Unique Visitors (users)
  • Reach
  • Page Views
  • Has Advertising
তালিকার প্রথম দশটি সাইট হলঃ
  1. facebook.com
  2. yahoo.com
  3. live.com
  4. wikipedia.org
  5. msn.com
  6. microsoft.com
  7. blogspot.com
  8. baidu.com
  9. qq.com
  10. mozilla.com
সর্বোচ্চ ভিজিট হওয়া ১০০০টি ওয়েবসাইটের তালিকাটির লিঙ্ক

তিনটি ওয়েব/ ব্লগ ভিজিটর ও পেজভিউ কাউন্টার

নিজেদের ব্লগে কতজন ভিজিটর এল, তা নিয়ে আমাদের সবারই কমবেশি মাথাব্যথা আছে। তাই আমরা বিভিন্নরকম ওয়েবকাউন্টার ব্লগে লাগিয়ে থাকি। আমি এর আগে বেশ কয়েকরকমের ভিজিটর কাউন্টার নিয়ে পোস্ট দিয়েছি। সম্প্রতি আমি দেখা পেয়েছি এমন তিনটি ওয়েব কাউন্টার নিয়ে আজ আবার একটি পোস্ট লিখছি। আশা করি এই কাউন্টারগুলোও আপনার কাছে ভালো লাগবে।

HISTATS
Histats counterপ্রথমেই জানাই এই কাউন্টারটির কথা। ফ্লাশভিত্তিক এই কাউন্টারের দ্বারা আপনার ব্লগকে একটি নতুন সৌন্দর্য দিতে পারবেন। চকচকে ডিজাইনের বিভিন্ন রঙের এই কাউন্টার দিয়ে আপনার ব্লগের ভিজিটরদের তথ্য প্রকাশ্য বা অপ্রকাশ্য দুরকমই রাখতে পারবেন।
Histats counterঅতিরিক্ত সুবিধা হিসেবে এই মুহূর্তে আপনার ব্লগে কতজন ভিজিট করছেন সে তথ্যও দেখা যাবে। প্রতি ঘন্টায় কতজন এলেন, কোন জায়গা থেকে এলেন ইত্যাদি ছাড়াও language, Operating Systen, screen size, internet provider,DSL speed ইত্যাদি তথ্য এরা সরবরাহ করে। এছাড়াও শেষ ২০,০০০ ভিজিটরের বিশদ তথ্যসহ আপনার ব্লগ থেকে কতজন ভিজিটর কোন ফাইল ডাউনলোড করেছেন তাও জানাবে এই Histats কাউন্টার। এই কাউন্টার পেতে হলে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

ওয়েব ঠিকানা: www.histats.com

MTracker
Mtrackerচেকোস্লোভাকিয়ার ডেভেলপারের তৈরি এই কাউন্টারটিও বেশ কাজের। এটা একটা বিশাল পোর্টাল। সামাজিক বিভিন্ন নেটওয়ার্কিং সুবিধার পাশাপাশি অনেক ধরণের ওয়েব টুল এরা সরবরাহকরে। তার মধ্যে এই ভিজিটর কাউন্টার হল অন্যতম। প্রত্যেক ঘন্টায় কতজন এলেন, তাদের মধ্যে ইউনিক ভিজিটর কতজন, রিটার্নিং ভিজিটর কতজন, কতক্ষণ থাকলেন, কোন সার্চ ইঞ্জিন থেকে কি সার্চ করে এসেছে ইত্যাদি তথ্য খুব দ্রুত এরা সরবরাহ করে। এদের কোড লাগালে খুব ছোট্ট একটি গ্রাফচিত্র ব্লগে দেখা যায়। সেই লিংকে ক্লিক করে ভিজিটর তথ্য পেতে হয়। ফ্রি ইউজাররা ভিজিটরদের তথ্য লুকিয়ে রাখতে পারেন না। এদের ফিচার তালিকাটি নিম্নরূপঃ
  • MySpace Visitor Tracking Code New
  • Fast & Accurate Realtime Visitor Tracking
  • Extensive Stats Summary Page
  • Track Page Views as well as Unique & Return Visitors
  • Private & Hidden Tracking
  • Search Bot Analysis
  • 100% Accurate, No-Downtime PHP Tracking Code
  • SEO Tools
  • Stats by Hour,Day,Month and Year
  • from Search, Website, EMail - Referral Tracking
  • Traffic Forecasts
  • Extensive Lists (Pages, Referral Links, Search Engines, Keywords, etc..)
  • Tracks what ISP, City, State & Country your Visitors are from
  • Visitor Path Tracking
  • Link Up multiple Accounts for Network Wide Traffic Summary Page!
  • Who's Online List
  • 30,90,120 day Trend Graphs
  • Mini-Trend Graph for your website
  • Custom Link Tracking
  • Who's Online Counter & Hit Counter Codes
  • Link Exchange Code (easily manage traffic trades)
  • Poll Box Code (get feedback)
অতএব বুঝতেই পারছেন, বিনে পয়সায় এরা কম সুবিধা দিচ্ছে না। এই সব সুবিধা পেতে হলে আপনাকে রেজিস্ট্রেশন করতে হবে।

ওয়েব সাইট ঠিকানাঃ www.mvtracker.com

Quick Counter
Quick counter
খুব অল্প আয়াসে, সহজে, ঝামেলামুক্তহীনভাবে ওয়েবকাউন্টার পেতে হলে এই Quick Counter এর বিকল্প খুব কমই আছে। উপরের নমুনা ছবিটি দেখুন। আজ কতজন এসেছেন, কতগুলো পাতা দেখা হয়েছে, গতকালকের পরিসংখ্যান এই কটি তথ্য এক ঝলকে দেখার জন্য এই কাউন্টার তুলনাহীন। এদের HTML কোড পাওয়ার জন্য কোনরকম রেজিস্ট্রেশন করতে হবে না।

ওয়েব ঠিকানাঃ www.quick-counter.net

অনলাইনে রাজাকার হত্যা করার মজার গেম

অনলাইনে ফ্লাশভিত্তিক নানারকম গেম আমরা খেলে থাকি। এর বেশিরভাগ গেমই সময় ব্যয় করার জন্য দারুণ দারুণ আইডিয়া নিয়ে আমাদের মনোযোগ ধরে রাখে। কিন্তু এর মধ্যে খুব কম গেম আছে যেগুলো মানুষকে কোন না কোন বিষয়ে সচেতন করে তুলতে পারে। আমি এর আগে একটা পোস্ট লিখেছিলাম যার শিরোনাম ছিল ২০০৯ সালের নোবেল পুরস্কার কুইজ গেম খেলুন। আজ আমি আর একটি অনলাইনভিত্তিক ফ্লাশ গেম এর খবর জানাচ্ছি।
১৯৭১ সাল আমাদের মুক্তির সাল। এই বৎসরে পাকিস্তানী শাসকদের লেলিয়ে দেয়া সেনাবাহিনীর নির্মম অত্যাচার ও বর্বর নির্যাতনের বিরুদ্ধে রক্ত দিয়ে রুখে দাঁড়িয়ে আমরা ছিনিয়ে এনেছি স্বাধীনতার লাল-সবুজের পতাকা। বাঙালির স্বাধিকার সংগ্রামের বিরুদ্ধে সেদিন বাংলাদেশি কিছু রাজাকার-আলবদর পাকিস্তানীদের পক্ষাবলম্বন করেছিল। তারা এ দেশের স্বাধীনতা চায়নি। বাঙালির সাংস্কৃতিক কিংবা অর্থনৈতিক মুক্তি চায়নি। হিংস্র রাজাকাররা তাদের পাকিস্তানী প্রভুদের সাথে সাথে নিজেরাও নিরীহ বাঙালিদের উপর হত্যা-নির্যাতন চালিয়েছে। আমাদের মা-বোনদের সম্ভ্রম নিয়ে ছিনিমিনি খেলা খেলেছে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর স্বাধীনতা লাভের পর এত বৎসর হয়ে গেল আমরা এদেশীয় রাজাকার-আলবদরদের বিচার করতে পারিনি। বর্তমান সময়ে এর একটি সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে। নতুন প্রজন্ম এখন অনেক বেশি সচেতন ও দেশপ্রেমিক। দেশকে ভালোবেসে, দেশের প্রতি অপার মমতায় তারা বিশ্বজয় করতে চায়। কিন্তু তার আগে চায় যারা এ দেশের অভ্যুদয়ে বিরোধীতা করেছে, তাদের বিনাশ।
এই অনুভূতি থেকে একটি গেম অনলাইনে সবার নজর কেড়ে নিয়েছে। এটা একটি ফ্লাশভিত্তিক গেম। গেমটির মূল থীম হল- অনবরত জন্ম নেয়া রাজাকারদেরকে এক এক করে ফাঁসি দিয়ে হত্যা করতে হবে। এদেরকে যত বেশি সম্ভব সমূলে বিনাশ করতে হবে।
সাইটের উপরে আবেদন হিসেবে লেখা আছে
This is 1971. The rajakars are attacking a village. It's your turn to kill them and save the village.
সাইটে ভিজিট করলেই গেমটি শুরু হবে। আলাদাভাবে কোন গেমিং জ্ঞান থাকতে হবে না। আর গেম খেলার জন্য বয়সের কোন বাধানিষেধ নেই।
Online game kill the rajakars startগেমটি শুরু হল
Online game kill the rajakars end গেমটি শেষ হল
গেমটি খেলার জন্য কোন আলাদা বৈশিষ্ট্যের কম্পিউটার থাকতে হবে না। আপনি যে কনফিগারেশনের কম্পিউটার দিয়ে ইন্টারনেট ব্রাউজ করতে পারছেন, যে ব্রাউজার দিয়ে বিভিন্ন ওয়েবসাইট দেখতে পারছেন, তা দিয়েই খেলতে পারবেন।
এই প্রসঙ্গে বাংলাদেশ ১৯৭১ এর ইতিহাস নিয়ে ওয়েবসাইট পোস্টটি একবার দেখে নিতে পারেন।

বাংলাদেশি কারো তৈরি এরকম দেশপ্রেমভিত্তিক মজার গেম সম্ভবত এটাই প্রথম। এক্ষুনি নিচের ঠিকানা ভিজিট করুন আর যত বেশি সম্ভব রাজাকার হত্যা করে একটি অসাম্প্রদায়িক রাষ্ট্র তৈরিতে ভূমিকা রাখুন।

আমি এই পোস্টের নিচে সাইটটিকে যোগ করে দিলাম। ইচ্ছে করলে এখানেও খেলতে পারেন।

কয়েকটি ওপেন সোর্স লাইসেন্সের পরিচিতি

Open source Initiative. Approved Licenseনিজেদের কাজকে ওপেন সোর্স হিসেবে প্রকাশ করতে চায়, এমন ডেভেলপারের সংখ্যা দিনে দিনে অনেক বেড়ে গেছে। বাংলাদেশ হয়তো এর ব্যতিক্রম। কিন্তু উন্নত বিশ্বের ডেভেলপার, প্রোগ্রামারদের মানসিকতা উন্নতই হয়ে থাকে। ওপেন সোর্সের পক্ষের প্রোগ্রামাররা আশা করে তাদের কাজকে ভিত্তি ধরে অন্যরা আরও কাজ করুক এবং নিজেদের কাজকেও অন্যদের কাছে মুক্ত করে দিক। তারা চায় স্বত্বাধিকারের বিষয়টিকে আরও সহজবোধ্য করে ফেলা। বর্তমান পৃথিবীতে প্রতিদিন কাজে লাগে এমন সবধরণের প্রোগ্রাম, এপ্লিকেশন ওপেন সোর্সের আওতায় প্রকাশিত হচ্ছে। এপ্লিকেশন থেকে শুরু করে ওয়েব সাইট তৈরির CMS সবকিছুই এখন আর মানুষের হাতের নাগালের বাইরে নেই। যে কেউ যে কোন সফটওয়ারের সোর্সকোড থেকে নিজের মনের মতো করে সবকিছু নতুন করে সাজিয়ে গুছিয়ে নিতে পারে। তৈরি করে নিতে পারে নিজস্ব কাস্টমাইজ এপ্লিকেশন। প্রচলিত লাইসেন্স এই ওপেনসোর্সের চাহিদাকে পূরণ করতে পারেনা। তাই জন্ম দেয়া হয়েছে বেশ ওপেনসোর্সের নিজস্ব লাইসেন্স। এই লাইসেন্সের নানারকম প্রকারভেদের মধ্যে বিভিন্ন বৈচিত্র্য আছে।

আমরা অনেকেই জানিনা ওপেন সোর্স লাইসেন্স বলতে আসলে কি বোঝায়? ডেভেলপারদের মধ্যেও এ নিয়ে বিভ্রান্তি আছে। তারা নিজেরাও অনেক সময় নিশ্চিত হতে পারে না যে ওপেন সোর্স লাইসেন্সগুলোর মধ্যে ঠিক কি কি অধিকার সংরক্ষণ করা হয়েছে। আর কোন কোন অধিকার রাখা হয়েছে মুক্ত। ফলে নিজেদের কাজের স্বত্ত্ব কিভাবে ধরে রাখা যায়, বা কাজটির উপরে প্রয়োগ করা যায়, সে নিয়ে তারা অনেক সময় বিভ্রান্তিতে ভোগেন।
Discussions on some open source license and similar licenses.
ওপেন সোর্স লাইসেন্স কি?
আসলে ওপেন সোর্স লাইসেন্স বলতে এমন কোন অধিকারকে বোঝায় না, যে আপনি আপনার মেধার সঠিক মূল্যায়ন পাবেন না। এই লাইসেন্সের অধীনে আপনি যদি আপনার কাজটির কোন প্যাটেন্ট করেন, তাহলে তার স্বত্ত্বাধিকার (কপিরাইট) আপনারই থাকবে। মূল কাজের সম্পূর্ণ মালিক আপনিই থেকে যাবেন। অন্য কেউ কাজটিকে নিজের কৃতিত্ব বলে দাবী করতে পারবে না।

ওপেন সোর্স লাইসেন্স আসলে নির্দিষ্ট কিছু কাজের অধিকার অন্যকে দিয়ে থাকে। এর মাধ্যমে আপনার কাজটি আপনারই থাকছে, কিন্তু কিছু কিছু বিষয় আপনি আর নিজের হাতে রাখলেন না, অন্যকে দিয়ে দিলেন। এতে বিভিন্ন দিক দিয়ে সুবিধা পাওয়া যায়।

সর্বসাধারণের সামনে আপনার কাজটি উন্মুক্ত করে দিয়ে এবং নির্দিষ্ট প্রকারের লাইসেন্সের অধীনে রাখার মাধ্যমে আপনি অন্যকে কাজটি ব্যবহার বিষয়ে কিছু নির্দিষ্ট বিষয়ে সতর্ক করে দিতে পারেন। এতে সুবিধা হল, আপনাকে বারবার নির্দিষ্ট কোন প্রকারের অনুমতি বা ডিজাইন পরিবর্তন অথবা ডেভেলপের জন্য বেশি বা অতিরিক্ত সময় ব্যয় করতে হল না। আপনি প্রধান ডেভেলপার থেকে যাচ্ছেন, বাকী কাজটুকু অন্যরা করতে পারছে। ওপেন সোর্স লাইসেন্স থাকার মাধ্যমে বরং আপনি অন্যকে আপনার কাজে সহায়ক হিসেবে অংশগ্রহণ করার অনুমতি দিয়ে দিলেন। আর এর ফলে আপনি নুন্যতম সম্মানটুকু অন্তত পেতে পারেন। এছাড়াও ওপেন সোর্স লাইসেন্স অন্য কাউকে আপনার কষ্ট করে করা কাজটিকে নিজের বলে চালিয়ে দেয়ার চেষ্টায় বাধা দিবে।

সংক্ষেপে এই হল ওপেন সোর্স লাইসেন্স। এর কয়েক রকমের প্রকারভেদ আছে। আসুন আমরা একে একে সেগুলো সম্পর্কে জেনে নেই।

GNU General Public License
বিভিন্ন ওপেন সোর্স প্রোজেক্টগুলোতে GNU General Public License (GPL) সবচাইতে বেশি ব্যবহৃত হয়। ওপেন সোর্স প্রোজেক্টে অংশ নেয়া ডেভেলপারদের কাজে এই GPL একটু বেশি অধিকার ও সম্মান দিয়ে থাকে। সংক্ষেপে GPL অন্যকে আইনগতভাবে কপি, বিতরণ এবং উন্নয়ন করার অধিকার দেয়। এগুলো আর একটু বিস্তারিতভাবে যেভাবে রয়েছে তা হলঃ

অনুলিপি তৈরি করাঃ নিজস্ব সার্ভারে, গ্রাহক (ক্লায়েন্ট) এর সার্ভারে, নিজের কম্পিউটারে অর্থাৎ যে কোন জায়গায় আপনি মূল সফটওয়ারটির অনুলিপি তৈরি বা কপি করতে পারবেন। কত সংখ্যক কপি করতে পারবেন তার কোন নির্দিষ্ট সীমা নেই।
বিতরণঃ নিজের ওয়েবসাইট বা ব্লগে ডাউনলোড লিংক রাখা। পেনড্রাইভ বা সিডিতে কপি করে যতগুলো খুশি যাকে খুশি আপনি বিতরণ করতে পারবেন। সফটওয়ারের সোর্স কোড কাগজে প্রিন্ট করে সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে দিন না কেন, তাতে কারও কোন যায় আসবে না।
টাকা নেয়াঃ আপনি ক্লায়েন্টকে GPL লাইসেন্সযুক্ত সফটওয়ারটি দিতে টাকা নিতে পারেন। কিন্তু আপনি যে কোনভাবেই বা যে কোন উদ্দেশ্যেই টাকা নিননা কেন, তার নির্দিষ্ট কারণ ও সফটওয়ারের GPL লাইসেন্সটি ক্লায়েন্টকে জানাতে হবে। ক্লায়েন্টকে জানাতে হবে যে তিনি ইচ্ছা করলে এই প্রোগ্রামটি বিনে পয়সাতেও পেতে পারতেন।
পরিবর্তন- পরিমার্জনঃ আপনার যেমন খুশি তেমনভাবে সফটওয়ারটির পরিবর্তন করতে পারবেন। ইচ্ছে করলে নতুন কিছু যোগ করতে পারবেন, কিংবা আপনার কাছে অপ্রয়োজনীয় মনে হওয়া কোন অংশ বাদ দিতে পারবেন। যদি কাজটির কোন অংশ অন্য কোন প্রোজেক্ট তৈরিতে বা উন্নয়নে ব্যবহার করেন, তাহলে অবশ্যই সেটা GPL এর অধীনে প্রকাশ করতে হবে।

GNU Lesser General Public License
এই লাইসেন্স GPL থেকেই আসা। কিন্তু এটা নিয়ে কিছুটা সতর্ক থাকতে হবে। কারণ GNU বিপরীতে Lesser General Public License (LGPL) খুব অল্প পরিমাণ অধিকার অন্যের জন্য উন্মুক্ত রাখে। এই লাইসেন্স non-GPL এবং non open source উৎস থেকে ব্যবহার করা লাইব্রেরি ফাইলের জন্য উপযুক্ত। কারণ GPL আশা করে এর কোন অংশ নিয়ে তৈরি করা নতুন সফটওয়ারটিও GPL এর অধীনে প্রকাশিত হবে। কিন্তু যেসব কাজ টাকার বিনিময়ে তৈরি করা হয়, সেগুলো তো নিশ্চয় GPL এর অধীনে প্রকাশ করা হবে না। সেইসব ক্ষেত্রে LGPL একই রকমের লাইসেন্সযুক্ত কাজের অংশকে স্বীকৃতি দিতে অস্বীকার করে।

BSD License
এই লাইসেন্স ফ্রি সফটওয়ার লাইসেন্সের মতোই অনেক রকমের অধিকার অন্যের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়। এটা অনেকটা GNU General Public License এর মতোই। এই লাইসেন্সের দুইটি প্রকারভেদ আছে।
১। New BSD License/Modified BSD License, এবং
২। Simplified BSD License/FreeBSD License,
দুটোই GPL এর মতো মুক্ত সফটওয়ারের লাইসেন্স হিসেবে ওপেন সোর্স সমাজে ওপেন সোর্স লাইসেন্স হিসেবে সাদরে সমাদৃত হয়েছে।

নতুন BSD License (”3-clause license”) যতদিন এই লাইসেন্সটি অক্ষুন্ন থাকবে ততদিন সফটওয়ারের অনির্দিষ্ট সংখ্যক বিতরণকে প্রশ্রয় দেয়। তবে প্রত্যেকটি অনুলিপিতে এই লাইসেন্স এবং তার ব্যথর্তা স্বীকার বার্তাটি সংযুক্ত রাখতে হবে। অবশ্য মূল কাজটি থেকে নতুনভাবে তৈরি করা বা পরিবর্তিত কাজের জন্য মূল ডেভেলপারের স্বত্বাধিকারকে বিশেষ অনুমতি ছাড়া ব্যবহার করতে এই লাইসেন্স বাধা দেয়। নতুন BSD License এবং Simplified BSD এর মধ্যে প্রধান পার্থক্য ঠিক এইখানে। স্বত্বাধিকারকে লিখে রাখার বিষয়কে Simplified BSD লাইসেন্স বাদ দিয়ে দিয়েছে।

MIT License
জনপ্রিয় ওপেন সোর্স লাইসেন্সের মধ্যে এই MIT লাইসেন্স হল সবচাইতে সংক্ষিপ্ত কিন্তু ব্যাপক আকারের। অন্য সব লাইসেন্সের মধ্যে এই লাইসেন্সের শর্তগুলো খুবই দুর্বল এবং সহজে অনুমতি দিয়ে দেয় এমন। লাইসেন্সের শেষ প্যারাগ্রাফে থাকা গ্যারান্টি না থাকা বিষয়ক অংশটুকু বাদ দিলে এর প্রধান দিকগুলো হলঃ
Permission is hereby granted, free of charge, to any person obtaining a copy of this software and associated documentation files (the “Software”), to deal in the Software without restriction, including without limitation the rights to use, copy, modify, merge, publish, distribute, sublicense, and/or sell copies of the Software, and to permit persons to whom the Software is furnished to do so, subject to the following conditions:

The above copyright notice and this permission notice shall be included in all copies or substantial portions of the Software.
এর অর্থ অনেকটা এরকমঃ
আপনি সফটওয়ারটি নিয়ে যেমন খুশি তেমনভাবে ব্যবহার, অনুলিপি তৈরি এবং উন্নয়ন করতে পারবেন। কোন প্রোজেক্টে ব্যবহার করার জন্য আপনাকে কেউ বাধা দিবে না। আপনি যতবার চান, ততবার কপি করতে পারবেন। যে কোন ফরমেটে আপনি এটা কপি করে বিতরণ করতে পারবেন। আপনি যেভাবে খুশি সেভাবে সফটওয়ার বা কাজটিকে পরিবর্তন করতে পারবেন।
আপনি সফটওয়ারটি বিনেপয়সায় দিতে পারবেন কিংবা বিক্রিও করতে পারবেন। আপনি কিভাবে বিতরণ করবেন, তা নিয়ে কোন বাধানিষেধ নেই।
শুধু এটুকু মেনে চলতে হবে যে এই লাইসেন্সটি সফটওয়ারটির সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে।
আসলে MIT লাইসেন্স খুবই কম বিধিনিষেধযুক্ত একটি লাইসেন্স। এই লাইসেন্সের অধীনে প্রকাশ করা কাজ নিয়ে এটা যে কাউকে যা খুশি তাই করার অধিকার দিয়ে থাকে। এই অধিকারের মেয়াদ থাকবে ততদিন, যতদিন এই লাইসেন্সটি কাজের সাথে সংযুক্ত থাকবে।

Apache License
আর একটি লাইসেন্স হল Apache License, Version 2.0, এই লাইসেন্সটিও ব্যবহারকারীকে অনেক রকমের অধিকার প্রদান করে। এটা কপিরাইট এবং প্যাটেন্ট উভয়ক্ষেত্রে কাজ করে। এই অংশটুকু বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয়েছে, কারণ বেশিরভাগ লাইসেন্স প্যাটেন্ট এর ক্ষেত্রে কাজ করে না। কেউ যদি প্যাটেন্ট করার ক্ষেত্রে কোন উন্মুক্ত লাইসেন্সের খোঁজ করে তাহলে এই Apache License তাকে সহায়তা করতে পারে।

অ্যাপাচি লাইসেন্সের কিছু বিশেষ দিকঃ

অধিকার চিরস্থায়ী
একবার এই লাইসেন্স গৃহিত হলে, তা চিরকালের জন্য প্রযোজ্য হবে।
অধিকার বিশ্বময়
যদি এই লাইসেন্স কোন একটি দেশ থেকে নেয়া হয়, তাহলে তা সারা পৃথিবীর সবকটি দেশের জন্য প্রয়োগযোগ্য হবে। এর অর্থ যদি বাংলাদেশ থেকে এই লাইসেন্স নেয়া হয়, তাহলে তা যুক্তরাষ্ট্রতেও কার্যকরী হবে।
রয়্যালটি বা ফি ছাড়া অধিকার
এই লাইসেন্স ব্যবহারকারীর অধিকারকে কোনরকম টাকার বিনিময়ে প্রদান করে না। শুধুমাত্র একক ব্যবহার নয়, সমষ্টিগত ব্যবহারের জন্যও কোনরকম অর্থ চাওয়া যাবে না।
অধিকার সার্বজনীন
শুধুমাত্র আপনি একাই নয়, সকলে এই লাইসেন্সের অধীনে সফটওয়ারটিকে ব্যবহার করতে পারবে।
অধিকার অপ্রত্যাহারযোগ্য
একবার গৃহিত হলে কেউ এই লাইসেন্সকে প্রত্যাহার করতে পারবে না। অবশ্য মূল কাজের কোন অংশ যদি প্যাটেন্ট করা হয়, অথবা লাইসেন্স কর্তৃক দেয়া কোন অধিকার বা কোন অংশকে কেউ সামান্যতম পরিবর্তন করে, তাহলে এই লাইসেন্স বাতিল হয়ে যাবে।

তবে, যদি কোন ডেভেলপারকে কেউ কৃতিত্ব দিতে চায়, তাহলে তা সে এই লাইসেন্সে প্রদত্ত অধিকারকে অক্ষুন্ন রেখে তা করতে পারে। সেক্ষেত্রে লাইসেন্সের মূল অধিকারের চেতনাকে কোন ভাবেই খর্ব করা যাবে না।

Creative Commons
এই ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্সটি ঠিক ওপেন সোর্স লাইসেন্স নয়। কিন্তু Creative Commons (CC) লাইসেন্সের ব্যবহার কোন প্রোজেক্টকে ডিজাইন করার কাজে উল্লেখ করা হয়। স্রষ্টার মানসিকতা অনুযায়ী বিভিন্নরকম Creative Commons লাইসেন্স আছে। এর প্রত্যেকটি নির্দিষ্ট কিছু প্রকারের স্বত্ত্বকে সংরক্ষণ করে। একটি Creative Commons লাইসেন্সের ৪টি প্রধান অংশ আছে। এগুলো আলাদাভাবে বা একইসাথে প্রয়োগযোগ্য।

সংক্ষেপে বিষয়গুলো নিম্নরূপঃ

স্বীকৃতি
মূল লেখকের নামকে অবশ্যই কাজের তৈরিকারক বা স্রষ্টা বা মূল স্বত্ত্বাধিকারী হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে। তার নাম স্বীকার করে কাজটি পরিবর্তন, বিতরণ, কপি করা বা যা খুশি তাই করা যাবে।
ছড়িয়ে দেয়া
একই CC লাইসেন্সের অধীনে কাজটিকে উন্নয়ন এবং বিতরণ করা যাবে।
অবাণিজ্যিক
কাজটির পরিবর্তন, পরিমার্জন বিতরণ এবং এই জাতীয় যেমন মন চায়, তা করা যাবে, তবে তা করতে হবে সম্পূর্ণ অবাণিজ্যিক উদ্দেশ্যে। বাণিজ্যিক বলতে কি বোঝায়, তা উল্লেখ করে দিতে হবে। কারণ এর অর্থ একেকজনের কাছে একেকরকম। কেউ মনে করতে পারে যে, এর অর্থা কাজটি বিক্রি করা যাবে না, কেউ ভাবতে পারে যে বিজ্ঞাপনযুক্ত কোন সাইটে এটা রাখা যাবে না আবার কেউ হয়তো ভাবতে পারে যে এটা তখনই বাণিজ্যিক হবে যখন এটা লাভজনক বলে বিবেচিত হবে। তাই আপনি যদি CC লাইসেন্সের অধীনে কোন কাজকে সবার ব্যবহারের জন্য উন্মুক্ত করে দেন, তাহলে আপনাকে 'বাণিজ্যিক' শব্দটির একটি পরিষ্কার অর্থ প্রকাশ করতে হবে।
অপরিবর্তনীয়
এর অর্থ আপনি কাজটি কপি এবং বিতরণ করতে পারবেন, কিন্তু কোন রকম পরিবর্তন বা পরিমার্জন বা উন্নয়ন করতে পারবেন না। এমনকি মূল কাজের উপর ভিত্তি করে কোন নতুন কাজ করতে পারবেন না।

আসলে যেমনটা আগেই বলেছি, CC লাইসেন্সের অংশগুলো আলাদাভাবে বা একইসাথে সংযুক্ত অবস্থায় ব্যবহার করা যেতে পারে। এদের মধ্যে সবচাইতে প্রধানতম অংশগুলো হল 'স্বীকৃত', 'অবাণিজ্যিক' এবং 'অপরিবর্তনীয়'। এর মানে বোঝায় যে আপনি বিনেপয়সায় কাজটি বিতরণ এবং কপি করতে পারেন, কিন্তু তার কোনরকম পরিবর্তন করতে পারবেন না। এবং আপনাকে অবশ্যই কাজটির স্রষ্টাকে স্বীকৃতি দিতে হবে। এই লাইসেন্সটি বেশ ভাল, তবে, আসলে কোন কাজকে কিভাবে ব্যবহার করা হবে, তার উপর আপনার সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণের অধিকার প্রদান করে না। এদের মধ্যে সবচাইতে কম নিয়ন্ত্রণ থাকবে 'স্বীকৃতি' লাইসেন্সটিতে। কারণ যতদিন আপনার নামকে স্বীকার করা হবে, ততদিন কাজটি নিয়ে যা খুশি তাই করা যাবে।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য যে বাংলাদেশে 'সিসি' লাইসেন্স নিয়ে একটি কাজ শুরু হয়েছিল। বাংলাদেশের পৃক্ষাপটে "ক্রিয়েটিভ কমন্স" লাইসেন্স কিরকমের হতে পারে, কি কি অধিকার উন্মুক্ত করা যেতে পারে, এর আইনী ভিত্তি কেমন হবে, ভাষা কেমন হবে, কি কি টার্ম থাকবে, ইত্যাদি নিয়ে কিছু পদক্ষেপ আমার চোখে পড়েছিল। কিন্তু পরবর্তীতে এর অগ্রযাত্রা কতটুকু সাধন হয়েছিল, তার কোন খবর পাওয়া যায় নি। সম্ভবত, বাংলাদেশের জন্য নিজস্ব 'ক্রিয়েটিভ কমন্স লাইসেন্স' তৈরির কাজটি সাময়িকভাবে বন্ধ রাখা হয়েছে। অদূর ভবিষ্যতে এ বিষয়ে কর্মতৎপরতা বাড়ুক সেই প্রত্যাশা করি।

ওপেন সোর্স লাইসেন্স সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে নিচের সাইটগুলো ভ্রমণ করতে পারেন।
লেখাটি তৈরিতে A short guide to open source and similar license লেখার সাহায্য নেয়া হয়েছে।

ব্লগার.কম ব্লগে "ইউনিকোড বাংলা লেখার প্যাড"

Online unicode Bangla writing padঅনলাইনের কোন ওয়েবসাইটের কমেন্টবক্সে বা নিজেদের ব্লগে ইউনিকোডভিত্তিক বাংলা লেখার জন্য আমরা সাধারণত "অভ্র" ব্যবহার করি। আমি অবশ্য উবুন্টু ব্যবহার করি বলে বাংলা লেখার জন্য SCIM এর দ্বারস্থ হই। কিন্তু যদি এমন হয় যে, যে কম্পিউটার থেকে ওয়েসাইটে মন্তব্য করতে যাচ্ছেন, সেই কম্পিউটারে কোন বাংলা লেখার সফটওয়ার ইনস্টল করা নেই। সেক্ষেত্রে কি করবেন? তারও সমাধান আছে। কয়েকবছর আগে থেকে অনলাইনে বাংলা লেখার জন্য "মুর্শেদের ইউনিকোড লেখনী ও পরিবর্তক ২.১.০ আলফা ২ (সেপ্টেম্বর ১৮, ২০০৭)" ওয়েবটুলসটি বিশ্বের বাংলা ভাষাভাষীর কাছে বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। পরবর্তীতে এই রকম অনলাইনভিত্তিক বাংলা লেখার ওয়েবটুল আরও অনেকে তৈরি করেছেন। কিন্তু তার সবগুলোই নির্দিষ্ট সাইটে গিয়ে ব্যবহার করতে হতো।

আজ এমন একটি টিপস জানবো, যার মাধ্যমে আমরা ইচ্ছে করলে নিজেদের ব্লগেও ঠিক একইরকম একটি ইউনিকোড বাংলা লেখার ওয়েবটুল স্থাপন করতে পারি।
Use online webtool for write unicode Bangla language.
উপরে সংযুক্ত ছবিটি দেখুন। আর ডেমো ব্লগে এর একটি নমুনা দেখুন। কি? নিজের ব্লগে এরকম একটি ইউনিকোড বাংলা লেখার প্যাড সংযুক্ত করতে ইচ্ছা হচ্ছে? যদি উত্তর হ্যাঁ হয়, তাহলে নিচের পরামর্শগুলো অনুসরণ করুন।

ব্লগার.কম (Blogger.com) ব্লগে "ইউনিকোড বাংলা লেখার প্যাড" স্থাপন করার পদ্ধতিঃ
  • ব্লগার.কম ঠিকানায় গুগল আইডি ও পাসওয়ার্ড দিয়ে লগইন হয়ে নিন।
  • প্রথমে "ইউনিকোড বাংলা লেখার প্যাড" এর কোড ডাউনলোড করুন এই লিংক থেকে
  • এই জিপ ফাইলটির ভিতরের টেক্সট ফাইলটিতে থাকা কোডগুলি সম্পূর্ণ সিলেক্ট করে কপি করে নিন।
  • Layout > Page Elements ট্যাবে গিয়ে একটি নতুন HTML/ Javascripts গেজেট নিন।
  • এই গেজেটের ভিতরে টেক্সট ফাইলটি থেকে কপি করে নেয়া কোড পেস্ট করে সেভ করুন।
  • গেজেটটি ড্রাগ করে ব্লগের হেডারের নিচে বা পোস্টের নিচে বা একেবারে নিচের ফুটারে বা যে কোন একটি জায়গায় সরিয়ে রাখুন।
  • সেভ করুন।
  • ফাইল বৈশিষ্ট্য: Name: Unicode Bangla Pad, জিপ (Zip File) ফাইল। সাইজ: ৭০৯ বাইট (709 B)
  • উল্লেখ্য যে এই গেজেটটিতে উইন্ডোজ কিংবা লিনাক্স যে কোন প্লাটফরম থেকে বাংলা লেখা যাবে।
"ইউনিকোড বাংলা লেখার প্যাড" এর ডাউনলোড লিংক"
This is a online unicode Bangla writing pad. If you haven't install any software, please use it.
কাস্টমাইজ করুনঃ কোডে থাকা cols="50" , rows="10" এবং font-size: 16pt কমবেশি করে টেক্সটবক্সের সাইজ (প্রস্থ এবং উচ্চতা) এবং ফন্টের আকার ছোটবড় করতে পারবেন।

কৃতজ্ঞতা: এই টুলটি তৈরি করতে "মুর্শেদের ইউনিকোড লেখনী ও পরিবর্তক ২.১.০ আলফা ২ এর সহায়তা নেয়া হয়েছে।

আপডেটঃ যে সম্মানিত ব্লগারগণ নিজস্ব ডোমেইন ব্যবহার করেন, তাদের ক্ষেত্রে এই প্যাডটি কাজ করবেনা। কারণ আমার নিজস্ব হোস্টিং নেই। আমি নিজে ফ্রি হোস্টিং ব্যবহার করে কোডগুলোর উন্নয়ন ঘটিয়েছি। সেক্ষেত্রে এই 'বাংলা প্যাড' শুধুমাত্র ব্লগার.কম এর ফ্রি ব্লগগুলোতেই সুন্দরভাবে কাজ করবে।

যাঁরা নিজস্ব ডোমেইন ব্যবহার করছেন, তাদের জন্য একটি জিপ ফাইল আপলোড করে দিলাম। এর ভিতরে প্রয়োজনীয় সবকটি ফাইল আছে। সেগুলো দিয়েই আপনি একটি "বাংলা প্যাড" তৈরি করে নিতে পারবেন।

পদ্ধতিঃ
  1. প্রথমেই এই লিংক থেকে (File name: BanglaPad.zip, Size: 10.5KB) প্রয়োজনীয় ফাইলযুক্ত জিপ ফাইলটি ডাউনলোড করুন।
  2. জিপ ফাইলটি আনকমপ্রেস করুন।
  3. ভিতরে পাঁচটি (৫) ফাইল পাবেন। js এক্সটেনযুক্ত ফাইলগুলি নিজস্ব হোস্টিং এ আপলোড করুন।
  4. এই js ফাইল তিনটির ডাইরেক্ট লিংক সংগ্রহ করুন। কোথাও লিখে রাখুন।
  5. এবার unicode bangla writing pad নামক টেক্সট ফাইলটি ওপেন করুন।
  6. এতে লেখা YOUR UPLOADED ****.js FILE LINK লাইনটি সঠিক ফাইলের লিংক দিয়ে আপডেট করুন।
  7. এবার এই টেক্সট ফাইলের ভিতরের সবগুলো কোড কপি করে নিয়ে আপনার ব্লগের কোন HTML/ Javascript গেজেটবক্সে পেস্ট করে দিন।
  8. ড্রাগ করে ব্লগের পছন্দমতো জায়গায় সরিয়ে নিন।
  9. SAVE TEMPLATE লেখাতে ক্লিক করে পরিবর্তনটি সংরক্ষণ করুন।
  10. ব্যাস হয়ে গেল।

উবুন্টুতে Netspeed ব্যবহার করুন

অনলাইনে যতক্ষণ থাকেন, ততক্ষণ কত স্পিডে সার্ফিং করছেন, আপলোড, ডাউনলোড স্পিড কত তা জানার জন্য উবুন্টুতে একটি ছোট্ট সফটওয়ার আছে। নাম NETSPEED, এটা আসলে একটি অ্যাপলেট। ডেস্কটপের উপরে থাকা প্যানেলে যোগ করে নিলেই হল। ইন্টারনেটে কত স্পিডে ব্রাউজ করছেন, তার তথ্য সঙ্গে সঙ্গে পেয়ে যাবেন।

এই দারুণ কাজের টুলটি কিভাবে পাবেন?

সিনাপ্টিক প্যাকেজ ম্যানেজারে খোঁজ করুন। ইনস্টল করুন।

এবার কম্পিউটারে ডেস্কটপের উপরে থাকা প্যানেল মাউসের ডানবোতাম (Right Button) ক্লিক করুন।

Add to panel লেখাতে ক্লিক করুন।
যে তালিকা দেখা যাচ্ছে, সেখানেই আছে Network Manager রয়েছে। উপরের ছবিতে নীল রঙে চিহ্নিত করা হয়েছে। এবার নিচের Add লেখা বোতামে ক্লিক করুন। টুলটি প্যানেলে যোগ হয়ে গেল।
ল্যান্ডফোনের মত আইকন নিয়ে টুলটি আপনাকে প্রয়োজনীয় তথ্য সরবরাহ করতে থাকবে। বামপাশেরটা ডাউনলোড স্পিড ও ডানপাশেরটা আপলোড স্পিড। অনলাইনে কানেক্ট হওয়ামাত্র এটা একটিভ হয়ে যায়। উপরের ছবিতে দেখুন কোন সাইট আমি ব্রাউজ করছি না। তাই ডাউনলোড ও আপলোড ০ (শূন্য) দেখাচ্ছে। অ্যাপলেটটির উপরে মাউস নিয়ে গেলে আপনার কানেকশনের ধরণ দেখা যাবে।
ল্যান্ডফোন আইকনের উপরে মাউসের বাম বোতাম ক্লিক (Left click) করলে একটি মেনুবার (Menubar) খুলে যাবে। উপরের ছবিতে দেখুন। মেনুর উপরে থাকা Device Details লেখাতে ক্লিক করলে নিচের ছবির মতো করে প্রয়োজনীয় তথ্য আপনাকে সরবরাহ করা হবে।

এখানে Internet Address, Netmask, Hardware Address ইত্যাদি তথ্য মুহূর্তের মধ্যে আপনার নাগালে দেখতে পাবেন।

উপরের ছবিটি নেটস্পিড টুলের Preference, এখানে প্রয়োজনীয় অংশে টিকচিহ্ন দিয়ে তথ্য দেখতে পাবেন।


আপনি কোন মাধ্যমে অনলাইনে সংযুক্ত হয়েছেন বা হতে চান তা এখানেই নির্বাচন করতে পারবেন।

ব্লগার.কম (Blogger.com) এর ব্লগকে মোবাইলবান্ধব করুন

Bangla hacks mobile friendly siteইদানীং মোবাইল ফোনে ইন্টারনেট ভিজিট করার পরিমাণ দিন দিন বেড়েই চলেছে। বাংলাদেশের বাজারে নামী দামী কোম্পানীসহ কমদামের চাইনিজ মোবাইল ফোনগুলো এখন মানুষের হাতে হাতে। সাধারণ মানুষ মোবাইল ফোন দিয়েই ইন্টারনেট, ব্লগ, সামাজিক সাইট ইত্যাদির সাথে পরিচিত হয়ে নিচ্ছে। আর সাইট/ ব্লগগুলোও এই মোবাইল দিয়ে অনলাইনে বিচরণকারী ব্যবহারকারীদের কথা মাথায় রেখে তাদের সাইটগুলোকে মোবাইল ফোন দিয়ে ব্যবহারের উপযোগী করে নিয়েছে। সাইটের আকার হয়ে গেছে ছোট। ডিসপ্লেতে দেখা যায় শুধুমাত্র পোস্ট লিংক, লোড হতেও বেশি সময় লাগে না। ওয়ার্ডপ্রেস, ফেসবুক, গুগল সার্চ, জিমেইল প্রভৃতি সাইটগুলো মোবাইলবান্ধব হয়ে গেছে অনেক আগেই। কিন্তু আপনার ব্লগের খবর কি? সেটার কি মোবাইলবান্ধব (Mobile Friendly) ভার্সন আছে? যদি না থাকে, তাহলে আসুন জেনে নিই কিভাবে আমাদের Blogger.com ব্লগকে মোবাইল ফোনে দেখার উপযোগী করে নিতে পারি।
Make your blogger.com mobile friendly in a easy and short way.
না বন্ধুরা, ভয় পাবার কিছু নেই। এর জন্য আপনাকে কোনপ্রকার কোড জানতে হবে না, ব্লগের HTML অংশে কোনরকম পরিবর্তন করতে হবে না। কিংবা কোন প্লাগইন বা গেজেট ইনস্টল করতে হবে না। সামান্য একটু বুদ্ধি খাটিয়ে আমরা নিজেদের ব্লগার.কম এ থাকা ব্লগকে অনায়াসে মোবাইলবান্ধব করে নিতে পারি।

নিচের লিংকটি ব্রাউজারের এড্রেসবারে লিখে দিন (কপি পেস্ট করুন)। এবার MYBLOGGERBLOG.blogspot.com লেখাটিকে পাল্টে আপনার ব্লগের ওয়েব ঠিকানা (URL) লিখে দিন। এবার কিবোর্ডের এন্টার চাপুন। দেখুন কেমন সহজে আপনার ব্লগটি মোবাইলে দেখার উপযোগী হয়ে গেছে।
http://www.google.com/reader/m/view/feed/http://MYBLOGGERBLOG.blogspot.com/feeds/posts/default?orderby=updated
এবার কোন URL Shortening Service দিয়ে এই লম্বা লিংকটির একটি সংক্ষিপ্ত লিংক তৈরি করে ফেলুন। সেই লিংকটিই মোবাইলে ব্রাউজ করুন। বন্ধুদেরকে জানান, ব্লগের এককোনে লিখে রাখুন।You should use any url shortening service to track your mobilefriendly blogger.com blog.
URL Shortening Service হিসেবে http://bit.ly ব্যবহার করতে পারেন। তাহলে এই লিংক দিয়ে কতটি ভিজিট হল তা জানতে পারবেন। এই ব্যাপারটি জানতে দেখুন "ক্লিক ট্রাকিং করুন bit.ly দিয়ে পোস্টটি।

যেমন "বাংলা হ্যাকস" ব্লগের মোবাইলবান্ধব সাইটটির ঠিকানাঃ

Gravatar ব্যবহার করে সারা পৃথিবীর সাথে পরিচিত হয়ে উঠুন

Gravatar Logoঅনলাইনে নিজের নামের সাথে একটি ছোট্ট ইমেজ (Image) আমরা কমবেশি সবাই ব্যবহার করি। একে অবতার (Avatar) বলে। হিন্দুধর্মের ভগবান যুগে যুগে কালে কালে বিভিন্ন প্রয়োজনে বিভিন্ন রূপ ধারণ করে পৃথিবীতে আসতো। এই ধারণাটিকে মাথায় রেখে অনলাইনে অবতারের ব্যবহার শুরু হয়েছে। এখানেও আমরা অনলাইন ইউজাররা (User) বিভিন্ন সাইটে বিভিন্ন নামে বিভিন্ন কাজ করে থাকি। আর এজন্য বিভিন্ন একাউন্টের জন্য ব্যবহার করি বিভিন্নরকম অবতার। অনেকে আবার এটা পছন্দ করেননা। তাঁরা নিজ নাম ও ছবি দিয়েই সব সাইটে লগইন বা মন্তব্য করেন।

False Gravatar _ False Gravatar _ False Gravatar _ False Gravatar
তা সে যাই হোক। আপনি নিশ্চয় লক্ষ্য করেছেন যে, কোন কোন সাইট/ ব্লগে মন্তব্য করার পর অবতারের জায়গায় বিদঘুটে কিছু ইমেজ দেখা যায়। উপরের ছবিগুলো দেখুন। নিশ্চয় আপনার কাছে ছবিগুলো কেমন উদ্ভট মনে হচ্ছে, তাই না। তার চেয়ে যদি এমন হতো যে আপনি নিজের পছন্দমতো কোন ছবি মন্তব্য'র পাশে অবতার হিসেবে দেখালেন। তা সে সত্যি হোক আর মিথ্যাই হোক। নিজের নামে বিদঘুটো ছবি না দেখিয়ে যদি পছন্দমতো অবতার প্রদর্শন করাতে চান, তাহলে এই পোস্ট আপনারই জন্য।
Now use gravatar as your global face or avatar.
এই অসাধারণ ফিচারটি আপনার জন্য সরবরাহ করছে Gravatar ।এদের দেয়া দারুণ সুবিধাটি আপনি মাত্র একটি একাউন্ট খুলেই করতে পারবেন। আপনার ইমেইলের সাথে যে ছবিটি অবতার হিসেবে নির্বাচিত হয়ে থাকবে, ঠিক সেটাই আপনি পৃথিবীর সব সাইটে মন্তব্য করার সময় নিজের নামের পাশে দেখতে পাবেন। অবশ্য একই ইমেইল ঠিকানা সবসময় ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ আপনি যদি একাধিক ইমেইল দিয়ে একাধিক একাউন্ট গ্রাভাটারে খোলেন এবং প্রত্যেকটা একাউন্টের সাথে আলাদা আলাদা ইমেজ অবতার হিসেবে সিলেক্ট করেন, তাহলে সবসময় নির্দিষ্ট ইমেইলের সাথে নির্দিষ্ট ছবিটি দেখা যাবে। এতে আপনার নাম বা আইডি'টির একটি নিজস্ব অবতার সারা পৃথিবীর কাছে পরিচিত হয়ে যাবে।
Using gravatar is very easy. It is integrated with wordpress.
বিশ্বের বেশিরভাগ ব্লগ প্লাটফরম গ্রাভাটার সাপোর্ট করে। আপনার যদি ওয়ার্ডপ্রেসে (Wordpress) একটি একাউন্ট থাকে, তাহলে সেটাই গ্রাভাটার একাউন্ট হিসেবে ব্যবহার করা যাবে। বিপরীতভাবে গ্রাভাটার একাউন্টকে ওয়ার্ডপ্রেস একাউন্ট হিসেবেও ব্যবহার কর যাবে। আগে খোলা ওয়ার্ডপ্রেস একাউন্টে কোন প্রোফাইল (Profile) ইমেজ থাকলে সেটাই আপনার গ্রাভাটার অবতার হিসেবে ব্যবহৃত হবে। ওয়ার্ডপ্রেস ছাড়াও দ্রুপাল (Drupal), জুমলা (Joomla) প্রভৃতি প্লাটফর্মে গ্রাভাটার ব্যবহার করা যায়। এগুলো ছাড়া অন্য প্লাটফর্মগুলোতে ব্যবহারের জন্য রয়েছে প্লাগইন। এর তালিকা দেখতে এই পাতাটি ভ্রমণ করতে পারেন।

এবার তাহলে আসুন, আমরা জেনে নিই কিভাবে গ্রাভাটারে একাউন্ট খুলতে হয় ও তার সাথে একটি পছন্দসই ইমেজ অবতার হিসেবে নির্বাচন করে রাখা যায়।

# প্রথমেই http://en.gravatar.com সাইটে যান। সাইটটি দেখতে নিচের ছবিটির মতো।
Gravatar Website# এখানে নিচে লেখা বামপাশে "Get your Gravatar today" লেখা বাটনটিতে ক্লিক করুন। পরের পাতায় চলে আসবেন।
Signup to get own gravatar# আপনার যে ইমেইলের সাথে Gravatar সংযুক্ত করতে চান, তা লিখে Signup লেখা বোতামে ক্লিক করুন।
confirmation email was sent# প্রদত্ত ইমেইল ঠিকানায় একটি কনফার্মেশন ইমেইল পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হচ্ছে।
# এবার ইমেইলটির ইনবক্স খুলুন। সেখানে নতুন একটি মেইল Gravatar থেকে এসেছে। সেখানে লেখা রয়েছে..
Welcome to gravatar!

To activate your account, simply click on the link below or paste into the url field on your favorite browser:

http://en.gravatar.com/accounts/activate/youremailid@gmail.com/abcd******
# নিচের লিংকটিতে আপনার ইমেইল ও একটি বিশেষ নাম্বার লেখা থাকবে। এই লিংকে ক্লিক করুন।
finish creating account at gravatar# এবার যে পাতাটি ওপেন হবে, সেখানে সাবধানতার সাথে ফরমটি পূরণ করুন। যে নামটি নিতে চান, তা অাপনার আগে অন্য কেউ নিয়ে নিয়েছে কি না তা Check লেখা বোতামে ক্লিক করে জেনে নিতে পারবেন। ইউজার নাম, পাসওয়ার্ড দিয়ে signup লেখাতে ক্লিক করে পরবর্তী ধাপে চলে যান।
Gravatar account# গ্রাভাটারে আপনার রেজিস্ট্রেশন সম্পন্ন হয়েছে। মনে রাখুন যে, আপনার দেয়া ইউজার আইডি (User ID) ও পাসওয়ার্ডটি (Password) ওয়ার্ডপ্রেস একাউন্ট হিসেবেও ব্যবহার করতে পারবেন।
You can use gravatar id and password as a wordpress account.
এমতাবস্থায় আপনার একাউন্টের সাথে কোন ইমেজকে সংযুক্ত করা হয়নি। এখন যদি আপনি এই ইমেইল দিয়ে কোন ওয়েবসাইটে মন্তব্য করেন, তাহলে নিচের ছবিটি আপনার অবতার হিসেবে প্রদর্শিত হবে।
No Gravatar Imageএটা নিশ্চয় আপনি আশা করেন না। তাই এবার একটি পছন্দের ছবি অবতার হিসেবে নির্বাচন করার পালা।

পূর্বের ধাপে
Add one by clicking here লেখাতে ক্লিক করে এগিয়ে যান।
আপনি যে কোন জায়গায় থাকা যে কোন ইমেজ ফাইলকে (Image file) অবতার (Avatar) হিসেবে নির্বাচন করতে পারবেন। নিচের ছবি দেখুনঃ
Choose image from any sourceমোট চারটি অপশন রয়েছে।
  • কম্পিউটারের হার্ডডিস্কে থাকা কোন ছবির ফাইল।
  • ইন্টারনেটে কোথাও হোস্ট (Hosted online) করা ইমেজ ফাইল। এটার ডাইরেক্ট লিংক (Direct link) ব্যবহার করতে হবে।
  • নিজের কম্পিউটারে থাকা ওয়েবক্যাম (Webcam) দিয়ে এক্ষুনি একটা ছবি তুলে নিতে পারবেন।
  • অন্যরা আগেই অবতার হিসেবে ব্যবহার করেছে এমন কোন ছবি।
আমি এই পোস্টের প্রয়োজনে "My computer's hard drive" অপশনটি ব্যবহার করেছি। যে কোন সাইজের ছবি আপলোড (Upload) করে নিতে পারবেন। আপলোডের পর মাপমতো কেটে (Crop) নেয়ার অপশন আসবে। তাই আগেভাগেই ছবিটি নির্বাচন করে নিন।
crop gravatar image# ছবির উপরে/ নীচে বামপাশে Crop and Finish লেখাতে ক্লিক করুন।
আরও একটি বিশেষ কাজ বাকী রয়ে গেছে।
Rate your gravatarআগের ধাপে Crop and Finish বোতামে ক্লিক করলে উপরের ছবির মতো আর একটি পেজ আসবে। আপনার ছবিটি নীতি নৈতিকতার দিক থেকে কোন মানের তা নির্বাচন (Rating) করতে হবে। এজন্য G, PG, R, X এই চারটির মধ্যে যে কোন একটিকে বেছে নিন। আমি G বেছে নিয়েছি। এর অর্থ হল আমার ছবিটি সবধরণের সাইটে প্রদর্শনের জন্য উপযুক্ত। কোনরকম হিংস্রতা, অশ্লীলতা, নগ্নতা বা আক্রমণাত্মক ভঙ্গি ছবিটিতে নেই।
Final Gravatarপছন্দের রেটিং করার পর এই পাতাটি এসে জানিয়ে দেবে যে আপনার Gravatar একাউন্টে একটি অবতার নির্বাচন করা সম্পন্ন হয়েছে। এখন থেকে যে কোন ওয়েবসাইটে মন্তব্য করার সময় এই ইমেইলটি ব্যবহার করলে (নাম যাই দিন না কেন) এই ছবিটি অবতার হিসেবে প্রদর্শিত হবে।
  • ইচ্ছে করলে আপনি আরও ইমেইল এই একই একাউন্টে যোগ করতে পারবেন।
  • যে কোন সময় ছবিটি পাল্টাতে পারবেন।

ব্লগার.কম এর ব্লগে RSS Feedburner যোগ করুন

RSS (Rich Site Summery) কি কেন এবং কি ভাবে এর সাথে নিজের ব্লগ সংযুক্ত করতে হয় তাই নিয়েই লিখছি। আপনার লক্ষ্য করেছেন বিভিন্ন ব্লগ বা ওয়েব সাইটে এই আরএসএস কথাটা লেখা থাকে। তার সাথে subscribe শব্দটাও থাকে। প্রশ্ন হচ্ছে এটা কি? এটা আসলে এমন এক ব্যবস্থা যাতে করে প্রতিনিয়ত বিভিন্ন ওয়েব সাইটে যেসব সংবাদ, প্রবন্ধ, নিবন্ধ বা নানা তথ্য প্রকাশিত হচ্ছে সে গুলি যথা স্থানে পৌছে দেয়া। যারা নিয়মিত বিভিন্ন ওয়েব সাইটে ভ্রমন করে থাকে তাদের বেশ কিছু সময় এবং পরিশ্রম কমে যায়। তারা কোন সাইট বা ব্লগে সাবস্ক্রাইব করলে সে সাইট বা ব্লগ যাই প্রকাশ করুক না কেন তা সঙ্গে সঙ্গে চাহিদা অনুযায়ী প্রাপকের মেইলে পৌছে যায়। তখন ওই ব্যক্তিকে ভিন্নভাবে প্রতিটা সাইট ভ্রমনের কোন দরকার হয় না, সে যেখানে সাবস্ক্রাইব করেছে সেখান থেকে এই আরএসএস সে প্রকাশনাগুলি তার মেইলে পৌছে দিচ্ছে। এমনকি কত জন পাঠক আপনার ফীড গ্রহন করছে তাও দেখা যায়।

এটা বিশেষ একটা গুরুত্ব পূর্ণ বিষয়। আপনার ব্লগের লিঙ্ক যেখানে বা যার কাছে রয়েছে সে সঙ্গে সঙ্গে আপনার হালনাগাদ অবস্থা জেনে নিতে পারবে। ব্লগ এবং বিভিন্ন প্ল্যাট ফর্মের জন্য বিভিন্ন আরএসএস পাঠ পদ্ধতি রয়েছে। যেমন মাই ইয়াহু, গুগল রিডার, ব্লগলাইন এরকম আরো অনেক আছে। যেখানে RSS, XML কিংবা RDF লেখা বা চিহ্ন দেখা যাবে সেখানে এই ব্যবস্থা রয়েছে।

যাই হোক এ নিয়ে অনেক কিছু লেখা যায়, তবে মোটামুটি একটা ধারনা পাওয়া গেল। এবারে আমরা দেখি আমাদের ব্লগ কি ভাবে RSS এর সাথে যুক্ত করা যায়ঃ কাজটা কঠিন না হলেও বেশ সময় নিয়ে বসবেন, অন্তত ১ ঘন্টা।

১। নিজের ব্লগে সাইন ইন করে সেটিং অংশে আসুন
feed configuration on blogger blog২। এখানে site feed সিলেক্ট করুন, নিচে দেখুন আপনার ফীড URL লেখার একটা বক্স রয়েছে, এখনি এখানে কিছু লিখবেন না। তার নিচেই Feed Burner লেখার নিচে (১ নং ছবিতে লাল দাগ দেয়া) ক্লিক করে সরাসরি ফীড বার্নার পেজ খুলে এখানে আবার সাইন ইন করুন। আপনার যে একাউন্ট সেই একাউণ্ট/পাসওয়ার্ড দিয়ে।
feed configuration on blogger blog৩। উপরে ২ নং ছবিতে দেখুন ভিন্ন উইন্ডোতে একটা My feeds লেখা পেজ ওপেন হয়েছে। এখানে আপনি কোন সাইটের ফীড বার্ন করতে চাইছেন তার URL লিখে (নমুনা দেয়া আছে) নেক্সট> ক্লিক করুন।
identify feed source৪। এখানেও একটা নতুন পেজ এসেছে (৩ নং ছবি) Identify feed source লেখা। RSS বোতাম চিহ্নিত করে নেক্সট> ক্লিক করুন।
let us burn a feed for you৫। (৪ নং ছবি) Welcome! Let us burn feed for you লেখা নতুন পেজ ওপেন হয়েছে, এখানে দেখবেন আপনার ব্লগের ফীড URL এসেছে, এটা কপি করে ওই যে সেটিং অংশে সাইট ফীড পেজে যেখানে ফীড ইউআরএল দেখেছেন যেটা ফাকা রেখে এসেছেন ওখানে পেস্ট করে দিন। আবার নেক্সট> ক্লিক করুন।
congratulation your feedburner feed is now live৬।(৫ নং ছবি)। Congrates! Your FeedBurner Feed is now live. Want to dress it up a little? আবার নেক্সটে> ক্লিক করুন।
get more gusto from your feed traffic statistics৭। (৬ নং ছবি) Get more gusto from your feed traffic statistics. এখানে নিচের Click through এবং I want more!Have feed burner stats also track এই বোতাম দুটিতে টিক দিয়ে আবার নেক্সট> ক্লিক করুন
start analyzing৮। (ছবি নং ৭) You have successfully updated the feed পেজ খুলবে। এখানে You have লেখার পাশে টিক চিহ্নের নিচে এবং লাল কালিতে লেখা “এবার এনালাইজিং শুরু করুন” এর উপরে analyze এ ক্লিক করুন।
feed stats dashboard৯। (ছবি নং ৮) Analyze এর নিচে যে কয়টি অপশন আছে subcribers থেকে Configure stats পর্যন্ত সেগুলির ডানে টিক দিয়ে একটিভেট করুন। যদি আপনার সাইট বা ব্লগ নতুন হয় তাহলে এগুলি এখন করতে দিবে না, ৪/৫টা পোস্টিং দেয়ার পর করে নিবেন। সেক্ষেত্রে Analyze এর ডান পাশে Optimize এ ক্লিক করে পেজ এগিয়ে যান।
optimize your feed১০। (ছবি নং ৯) পাতার বাম পাশে Your feed থেকে Summery burner পর্যন্ত সব গুলিতে ক্লিক করে পাতার নিচে মাঝামাঝি যায়গার বক্সে activate করে দিন। এই পেজ এর কাজ শেষ, এবার Optimize এর ডানে Publicize লেখায় ক্লিক করে পরের পাতায় চলে যান।
Publicize your feed১১। (ছবি নং ১০) এখানে আবার ওই বাম পাশের মার্জিনে Headline Animator থেকে শুরু করে Nolndex পর্যন্ত সব গুলি ঘরে ক্লিক করে আপনার পছন্দের চিকলেট, রঙ, মাপ ইত্যাদি বেছে নিন। এখানে কিছু কোড দিবে সেগুলি আপনার ব্লগে আপনার পছন্দের বারে Layout অংশে html/java script গেজেটে যুক্ত করে নিন।

নিচ থেকে দ্বিতীয় Password Protector যার পাশে লাল X দেয়া আছে ওতে কিছু করবেন না। তাহলে কেবল মাত্র যাদের পাসওয়ার্ড দিবেন কেবল তারা ছাড়া আপনার সাইট অন্যকেও ওপেন করতে পারবে না। Geotag your feed এর জায়গায় যদি আপনার অবস্থানের অক্ষাংশ দ্রাঘিমাংশ জানা থাকে তাহলে পুরন করবেন নতুবা ফাকা রেখে দিন।
configure google ads১২। (ছবি নং ১১) এবার মনিটাইজ, এটা ইচ্ছা হলে আপনি এখন করতে পারেন বা পরে এডসেন্স একাউন্টে সাইন ইন করে করে নিলেই হবে।
troubleshooting geed burner১৩। (ছবি নং ১২)এখানে এলেই যা বলবে তা দেখতেই পাচ্ছেন। এইত নতুন ব্লগ এখনই আবার কি হলো?
১৪। এবার আপনি এখান থেকে সাইন আউট হয়ে ব্লগে সব কিছু ঠিকঠাক মত হয়েছে কিনা দেখে নিন।

বিঃদ্রঃ যাদের ব্লগে অনেক পোস্টিং দেয়া হয়েছে সেগুলিতে এভাবে করা যাবে না।

যদি কারো অসুবিধা হয় তাহলে কোথায় কি ভাবে কি করেছেন বিস্তারিত লিখে জানালে যথাসাধ্য চেষ্টা করব সমাধান দেয়ার।

ফেসবুক ৬ষ্ঠ জন্মদিন পালন করছে

গুগলের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভিজিট হয় যে সাইটে সেই সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকের ৬ষ্ঠ জন্মদিন হয়ে গেল ৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে।

২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারিতে ২০ বৎসর বয়সের Mark Zuckerberg হার্ভার্ডে পড়াকালীন সময়ে ফেসবুকের জন্ম দেন। ডরমিটরির নিজস্ব রুম থেকে ফেসবুকের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে এর নাম ছিল The Face Book ঠিকানা ছিল thefacebook.com, কিন্তু পরবর্তিতে নামের আগের The বাদ দিয়ে থেকে যায় শুধু facebook নামটি। ঘনিষ্ঠ বন্ধু Eduardo Saverin, Dustin Moskobitz এবং Chris Hughes কে সাথে নিয়ে Mark Zuckerberg এই নেটওয়ার্কটি তৈরি করেছিলেন।Facebook celebrates 6(six) birthday. Happy birthday facebook.
প্রথমদিকে তাদের উদ্দেশ্য ছিল হার্ভার্ডের বন্ধুদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা এবং বিভিন্ন তথ্যাবলী বিনিময়। কলেজের বন্ধুরা কাজের চাপে ব্যক্তিগত যোগাযোগ যেন রক্ষা করতে পারে, তার জন্য একটা মজার নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু ধীরে ধীরে আজ এই ফেসবুক বিশ্বের একনম্বর সামাজিক নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। General pupil, business person, actor, actress, political face everybody like facebook.

সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে, ব্যবসায়ী, অভিনেতা, অভিনেত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট সকলের কাজে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফেসবুক। সবাই পরিচিতদের সাথে নিয়মিত সম্পর্ক রক্ষা করা, পুরনো বন্ধুদেরকে খুঁজে বের করা ও নতুন নতুন বন্ধুত্ব গড়ে তোলার জন্য, তথা পরিচিতির পরিধি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ফেসবুকের দ্বারস্থ হন।

এছাড়াও আড্ডা, গল্প, প্রতিদিনের জীবন, মনের নানারকম ভাবনা, রচিত গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নতুন পণ্য, উৎপাদিত পণ্য, নতুন ভাবনা, নতুন উদ্ভাবন সবকিছু শেয়ার করার জন্য ফেসবুক তুলনা করা যায় এমন সাইট অনলাইনে আর একটাও নেই।

বর্তমানে ফেসবুকের সদস্যসংখ্যা ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি। দিন দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর প্রত্যেকদিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফেসবুকে লগইন করে ১৭৫ মিলিয়নেরও বেশি সদস্য। লক্ষ লক্ষ বিশ্ববাসীকে এককাতারে এনেছে যে ফেসবুক, তার জন্মদিনে জানাই শুভেচ্ছা।Happy 6th birthday, facebook.

জাবি'র ভর্তি পরীক্ষার ফল ২৫ জানুয়ারি অনলাইনে প্রকাশ হবে

আগামী ২৫ জানুয়ারি ২০০৯, সোমবার তারিখ বেলা ১১টার সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০০৯-২০১০ শিক্ষাবর্ষের ১ম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। ভর্তি পরীক্ষার এই ফল একই সাথে পাঁচটি ওয়েবসাইটে প্রকাশ করা হবে। তাৎক্ষণিকভাবে ফল পেতে ওয়েবসাইটগুলো থেকে নিজের রোল ও কলেজ কোড ব্যবহার করতে হবে। ওয়েবসাইট ছাড়া যে কোন মোবাইল ফোন (বাংলাদেশের অভ্যন্তরে) থেকে মেসেজের মাধ্যমে এই ফল সংগ্রহ করা যাবে। এছাড়াও ওই একই দিনে সংশ্লিষ্ট কলেজগুলির প্রতিনিধির নিকট এই ফল বিতরণ করা হবে।
National University honours admission result will publish 25 January 2009.

সম্মান শ্রেণীতে ভর্তিচ্ছু ছাত্ররা নিম্নোক্ত ওয়েবসাইটগুলি থেকে নিজেদের ভর্তি পরীক্ষার রেজাল্ট সংগ্রহ করে নিতে পারবে।
সাধারণত পরীক্ষার ফলাফল যেদিন প্রকাশ হয়, সেদিন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটগুলোতে অতিরিক্ত চাপ পড়ে। BTCL এর যারা গ্রাহক তাদের জন্য এই সাইটগুলো খোলা খুব কঠিন হয়ে পড়ে। রীতিমতো ধৈর্যের পরীক্ষা দিয়ে ফল সংগ্রহ করতে হয়। অনেক সময় তাও সম্ভব হয়ে পড়ে না। সেক্ষেত্রে হাতে থাকা মোবাইল ফোন (Mobile Phone) দিয়েই ভর্তি পরীক্ষার ফল সংগ্রহ করা সম্ভব। এজন্য মোবাইল ফোনের মেসেজ অপশনে (Message option) গিয়ে নিচের মতো একটি মেসেজ টাইপ করুন এবং তা পাঠিয়ে দিন 4636 নাম্বারে।Get national University honours admission result from website and mobile phone.
  • nu at (College code)(Roll NO)
উল্লেখ্য যে প্রথম ব্রাকেটগুলো টাইপ করবেন না।

ব্লগারের ব্লগে এনিমেটেড ছবি সঠিকভাবে দেখানোর পদ্ধতি

Bangladesh 1971
কিভাবে ব্লগার.কম এ খোলা কোন ব্লগে ছবি আপলোড করাতে হয়, তা আমরা ইতিমধ্যে জেনে ফেলেছি। ব্লগারের পোস্ট এডিটারের উপরে থাকা বিভিন্ন বাটনগুলোর মধ্যেই Add Image বোতামটি ব্যবহার করতে হয়। কিন্তু এভাবে ছবি আপলোড করাতে গিয়ে একটি ভিন্নরকম সমস্যার মধ্যে আমাদের অনেককেই পড়তে হয়। আমরা সাধারণত যে ছবিগুলো ব্লগের পোস্টসংশ্লিষ্ট হিসেবে প্রদর্শন করি, সেগুলো স্থির ছবি হয়। কিন্তু যদি এমন হয় যে ছবিগুলো নড়াচড়া করছে অর্থাৎ এনিমেশন জাতীয় ছবি হয়, তাহলে পড়তে হয় সমস্যায়। কারণ ব্লগার.কম তাদের সাইটের ব্যান্ডওয়াইথ নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখার জন্য ব্লগপোস্টে কোনরকমের এনিমেটেড ছবি আপলোড করা সাপোর্ট করেনা। তাই কোন এনিমেশন ছবি পোস্টে যুক্ত করলেও তা আর এনিমেট করে না। অর্থাৎ নড়াচড়া না করে স্থির হয়ে থাকে। এনিমেট করা ছবিগুলোর এক্সটেনশন সাধারণত gif হয়। এই gif ফাইলগুলো যদি ব্লগারের ডিফল্ট ইমেজ আপলোডার ব্যবহার করে ব্লগপোস্টে সংযুক্ত করেন, তাহলে তা jpeg, png ইত্যাদি ফাইলের মতো স্থির হয়ে থাকে, কোনরকম নড়াচড়া করে না। এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা দুটো পদ্ধতি গ্রহণ করবো।How to show a animated image on blogger blog? I wrote two easy solution to show gif image.
# যে নড়াচড়া করা জিফ ফাইলটিকে আমরা ব্লগপোস্টে দেখাতে চাই, তা নির্দিষ্ট করি। এবার প্রথমেই আমরা ফাইলকে ওয়েবসাইটের কোথাও আপলোড করে বা হোস্ট করে নিব। এবং সেই ছবিফাইলটির ডাইরেক্ট লিংক সংগ্রহ করবো। লিংকটি কোথাও লিখে রাখি। এবার নিচের দুইটি পদ্ধতির যে কোন একটি প্রয়োগ করি। ছবি আপলোড করা বা হোস্ট করা বিষয়ে লেখা এই পাতাটি একবার পড়ে দেখতে পারেন।Here is number one method to show animated image on blogger blog. Follow the instruction.
পদ্ধতি একঃ
ডিফল্ট আপলোডার ব্যবহার করে
ব্লগারের পোস্ট পেজের ঠিক উপরের মেনুতে থাকা Add Image বাটনে ক্লিক করুন। নিচের ছবির মতো একটি ডায়ালগ বক্স ওপেন হবে।
এখানে লাল দাগ দিয়ে চিহ্নিত করে দেয়া URL বক্সে জিফ ফাইলটির ডাইরেক্ট লিংক স্থাপন করি। যে ডান/ বাম/ বা মাঝখানে বা কোনটিই নয় এবং আকার নির্বাচন করে Upload Image বাটনে ক্লিক করি। নড়াচড়া করা এনিমেটেড জিফ ফাইলটি আপলোড হয়ে যাবে। এবার পোস্ট পাবলিশ করলে ফাইলটি এনিমেশন চক্র সম্পূর্ণ করবে। অর্থাৎ ফাইলটিতে যে ছবি বা টেক্সটগুলো নড়াচড়া করার কথা তা কাজ করবে। Now I am telling the second method to show animated image on blogger blog post.
দ্বিতীয় পদ্ধতিঃ
পোস্টের মধ্যে কোড স্থাপন করে
নিচে লেখা কোডের মাঝের জায়গায় আপলোড করা ইমেজ ফাইলটির ডাইরেক্ট লিংক লিখে দিন। পোস্ট পাবলিশ করুন।
<img src="http://i37.tinypic.com/6h6xhz.jpg" />
এই কোড অনুযায়ী স্থাপন করার কারণে নিচের পতাকার ছবিটি নড়াচড়া করছে।

স্কুলপাঠ্য বইয়ের ডিজিটাল ই-বই ডাউনলোড করার জন্য উন্মুক্ত রাখা হয়েছে

আমার বই, প্রথম শ্রেণীবাংলা ভাষায় ই বুক এর প্রচলন ধীরে ধীরে জনপ্রিয় হচ্ছে। কয়েকটি লিনাক্স সহায়িকা ও কয়েকজন উদীয়মান সাহিত্যিকের বই অনলাইন থেকে ই-বই হিসেবে আমরা ইতিমধ্যেই ডাউনলোড করার সুযোগ পেরেছি। আর অবৈধভাবে শেয়ার করা জনপ্রিয় উপন্যাসগুলোর কথা না হয় বাদই দিলাম। অর্থাৎ আমি যা বলতে চাচ্ছি তা হলো যে ইন্টারনেট ব্যবহারকারী বাংলা ভাষাভাষীদের কাছে ডিজিটাল বই এখন আর তেমন অপরিচিত কিছু নয়। তারা জানেন যে বই এখন আর শুধু হার্ডকপি নয়, ডিজিটাল কপিতেও পাওয়া যায়।
Download bangla digital academic ebooks from government nctb website.
বর্তমান সরকার ডিজিটাল বইয়ের ধারণাটিকে অনুধাবন করতে পেরেছেন। আর তাদের এই সচেতনতার প্রভাব পড়েছে পাঠ্যবইয়ের সহজলভ্যতাতে। সম্প্রতি বাংলাদেশ সরকার প্রাথমিক ও মাধ্যমিক শ্রেণীর সকল বইয়ের ডিজিটাল কপি (ই বই) ওয়েবসাইটে সবার জন্য উন্মুক্ত করেছেন। বিশ্বের যে কোন স্থান থেকে ঘরে বসে ইন্টারনেট থেকে এই বইগুলো ডাউনলোড করা যাবে। বর্তমান সরকারের এই পদক্ষেপ দেশের জনগণের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তি ব্যবহারে নতুন উৎসাহের যোগান দেবে সন্দেহ নেই। জাতীয় শিক্ষাক্রম ও পাঠ্যপুস্তক বোর্ডের (NCTB) ওয়েবসাইটে রাখা বইগুলো পিডিএফ ফাইল হিসেবে রাখা হয়েছে। বইগুলো ডাউনলোড ও ব্যবহার করার জন্য কোন মূল্য পরিশোধ করতে হবে না। সম্পূর্ণ বিনেপয়সায় বইগুলো যে কেউ ডাউনলোড ও ব্যবহার করতে পারবে।All books are free to download and share and print. copy them and pass to other.
মূল ওয়েবসাইট লোড হতে বেশ সময় নেয়। তাই সবকটি বইয়ের লিংক পাঠকসাধারণের সুবিধার্থে এখানে পুনঃপ্রকাশ করলাম।
These books are primary school. class one (1) to class five (5)
প্রাথমিক স্তর (প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণী পর্যন্ত)
মূল পাতার লিংক (নিচে দেয়া লিংকগুলো থেকে ডাউনলোড করতে গিয়ে কোন সমস্যায় পড়লে মূল পাতায় ভ্রমণ করুন)

Class I English for Today, class 2
Class II

Class III

Class IV

Class V
Social Science, Class seven
মাধ্যমিক স্তর (ষষ্ঠ শ্রেণী থেকে দশম শ্রেণী পর্যন্ত)
মূল পাতার লিংক (নিচে দেয়া লিংকগুলো থেকে ডাউনলোড করতে গিয়ে কোন সমস্যায় পড়লে মূল পাতায় ভ্রমণ করুন)

Class VI
Ananda path, class 7
Class VII

Class VIII

Class IX-X
 

পাঠকের প্রতিক্রিয়া

কিছু কথা

সফটওয়ার ও ওয়েবওয়ারের বিভিন্ন টিপ্‌স, টিউটোরিয়াল, হ্যাক্‌স, টেমপ্লেট বা থিম্‌স ইত্যাদি নিয়েই আমি ব্লগ লিখছি। আমার প্রধান আগ্রহ ব্লগিং টিপস। এছাড়াও প্রযুক্তির বিচিত্র বিষয় নিয়ে মত বিনিময়, সমস্যা ও তার সমাধান এবং আলোচনা করার জন্য এই ব্লগ খুলেছি। আশা করি আপনি নিরাশ হবেন না। এই ব্লগের সব লেখাগুলো যেকোন মিডিয়ায় এই লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশ করতে পারবেন। বিস্তারিত পড়ুন....

Search This Blog

© 2009-2014 Bangla Hacks | Design by: Bangla Hacks. Powered by: Blogger