Showing posts with label Ubuntu. Show all posts
Showing posts with label Ubuntu. Show all posts

উবুন্টু কন্ট্রোল সেন্টার

উবুন্টু কন্ট্রোল সেন্টারউবুন্টুতে ব্যবহৃত বিভিন্ন এ্যপলেটগুলোকে কাজের সময় খুঁজে পেতে একটু সমস্যায় পড়তে হয়। তাই যদি এই টুলগুলোর একটি ম্যানেজার থাকতো তাহলে খুব ভাল হত। এরকম একটি কাজের কাজী হল 'উবুন্টু কন্ট্রোল সেন্টার'। ডিফল্টভাবে উবুন্টুতে কোন কন্ট্রোল সেন্টার থাকে না। কিন্তু আমরা দু'একটি ডেব প্যাকেজ ডাউনলোড করে একটি শক্তিশালী 'কন্ট্রোল সেন্টার' পেতে পারি। উবুন্টুর জন্য এই কন্ট্রোল সেন্টারটির আইডিয়া এসেছে ম্যানড্রিভা থেকে। আর এটা Gnome 2x এ দারুণভাবে কাজ করে।

কি কি আছে?
  • Software Management:
    • Ubuntu Software Center
    • System updater
    • Manage software sources
    • System Cleaner
    • Generate bootable USB Key
  • Hardware:
    • System Information
    • Configure proprietary drivers
    • Display Properties
    • Sound configuration
    • Keyboard Layout
    • Mouse and touchpad
    • joystick Calibration
    আরও আছে
  • Network and Internet
  • System
  • Local Disks
  • Account Preferences
সিস্টেমের বিভিন্ন সেটিংস পরিবর্তন করার জন্য বিভিন্ন জায়গায় টুলগুলোকে না খুঁজে এক জায়গায় পাওয়ার জন্য কন্ট্রোল সেন্টারের বিকল্প আর নেই। এই কন্ট্রোল সেন্টারটি পাবার জন্য সরাসরি নিচের লিংক ভিজিট করুন
http://sites.google.com/site/ubuntucontrolcenter/downloads
এখানে থাকা Ubuntu control center 0.2 32 bit লিংকের ডেব ফাইলটি ডাউনলোড করে নিন।
  • ইনস্টল হওয়ার পর কন্ট্রোল সেন্টারটিকে Applications >System Tools মেনুতে পাওয়া যাবে।
Ubuntu control center ডেব ফাইলটিতে ডাবল ক্লিক করলে ইনস্টল হয়ে যাবে। যদি Jstest-gtk কিংবা Font-Manager ছাড়া ইনস্টল হতে না চায়, তাহলে এই দুটো টুল পাবেন একই ঠিকানায়। এক্ষুনি আপনার উবুন্টু সিস্টেমে 'কন্ট্রোল সেন্টার' ইনস্টল করে ফেলুন। আর যাবতীয় পরিবর্তনগুলো করুন খুব সহজে, একই জায়গা থেকে।

BleachBit দিয়ে উবুন্টু পরিষ্কার রাখুন

অনলাইনে ভিজিট করতে করতে, বিভিন্নরকম কাজ করতে গিয়ে সিস্টেমে নানারকম অপ্রয়োজনীয় ফাইল জমে যায়। বিশেষ করে ব্রাউজার এবং সিস্টেমের টেম্পোরারি ফোল্ডার এই ধরণের ফাইল দিয়ে ভর্তি হয়ে যায়। এইসব ফাইলগুলো সিস্টেমের একটি বড় রকমের জায়গা দখল করে রাখে। তাই নিয়ম করে এই জাতীয় ফাইলগুলো মুছে ফেলা উচিত।
ব্লিচবিট দিয়ে উবুন্টু পরিষ্কার রাখুনউবুন্টুতে এইসব অপ্রয়োজনীয় ফাইলগুলো মোছার জন্য একটা শক্তিশালী সফটওয়ার হল BleachBit, এর মাধ্যমে সিস্টেমে ইনস্টল থাকা একাধিক ব্রাউজারের ক্যাশ, হিস্টোরি, কুকি, পাসওয়ার্ড, সেশন রিস্টোর, ডাউনলোড এবং ফরম হিস্টোরি, ওপেন অফিসের রিসেন্ট ফাইল, টেম্পোরারি ফাইল, জিনোম এর রান এবং হিস্টোরির তালিকাসহ নানারকমের অপ্রয়োজনীয় ফাইল একেবারে মুছে ফেলতে পারবেন।
সিক্লিনারের মতো সফটওয়ার: ব্লিচবিটBleachbit এপ্লিকেশনটিকে পাবার জন্য আপনাকে মোটেও কষ্ট করতে হবে না, কোন রকম কমান্ড টাইপ করতেও হবে না। উবুন্টুর সফটওয়ার সেন্টারেই রয়েছে। সেখানে Bleachbit লিখে সার্চ করুন। পেয়ে যাবেন। এখান থেকে ইনস্টল হলে খুঁজে পাবেন মূল মেনুতেই:
  • Applications> System Tools> BleachBit

উবুন্টুর ইস্টার এগ

ছোট্ট সোনালী মাছটি ভেসে বেড়াচ্ছেবিভিন্ন সফটওয়ারের মধ্যে ডেভেলপাররা মাঝে মধ্যে কিছু অন্যরকম প্রোগ্রাম ঢুকিয়ে দেন। বেশিরভাগ সময় মজা করার জন্যই এটা করা হয়। এরকম মজার সফটওয়ারগুলোর কমন নাম হল 'ইস্টার এগ'। সাধারণতভাবে এই ছোট্ট সফটওয়ারগুলি মূল সফটওয়ারের কোন একটি জায়গায় লুকিয়ে থাকে। একটি বা কয়েকটি কমান্ড দিয়ে তাদেরকে খুঁজে বের করতে হয়। আমাদের প্রিয় উবুন্টু অপারেটিং সিস্টেমের মধ্যেও কয়েকটি মজাদার সফটওয়ার লুকিয়ে আছে। আমরা আজ এই ইস্টার এগ -গুলোকে আর লুকিয়ে থাকতে দেব না। আজ আমরা জানবো উবুন্টুর তিনটি গোপন ইস্টার এগ -এর কথা।

Wanda একটি ছোট্ট সুন্দর সোনালী মাছঃ
ছোট্ট আকারের সোনালী রঙেরএই মাছটিকে আপনার সমস্ত ডেস্কটপ জুড়ে সাঁতরে বেড়াবার সুযোগ দেয়ার জন্য নিচের ছোট্ট কাজটুকু করুন।
Alt+F2
খুলে যাওয়া কমান্ড বক্সে লিখুন
free the fish
এবং এন্টার দিন। একটি ছোট্ট সুন্দর মাছ নিজের মনে আপনার সমস্ত ডেস্কটপ দিয়ে সাঁতরে বেড়াবে। মাছটির উপরে মাউস ক্লিক ভয় দেখাতে যাবেন না। তাহলে অপেক্ষাকৃত কাছের ডেস্কটপ সাইড (ডান অথবা বাম) দিয়ে মাছটি দ্রুত সাঁতরে পালিয়ে যাবে। মাছটিকে নিজের মনের মতো করে সাঁতরে বেড়াতে দিন। দেখবেন কিছুক্ষণ পরপর এসে আপনাকের সুন্দর একটি সঙ্গ দিয়ে যাবে।

এই সুন্দর মাছটিকে টার্মিনালে কমান্ড দিয়েও লুকানো জায়গা থেকে বাইরে নিয়ে আসা যায়।
টার্মিনালে লিখুন
sudo apt-get free the fish
এবং এন্টার চাপুন। মাছটি আর লুকিয়ে থাকবে না। আপনার সামনে এসে খেলা করতে থাকবে।

গরু ডাকে হাম্বাঃ

টার্মিনালে গরুটি হাম্বা রবে ডাকছে
না আপনার উবুন্টু হাম্বা হাম্বা রবে ডাকতে শুরু করে দিবে না। কিন্তু হাম্বাস্বরে ডাকে এমন একটি গরুকে আমরা টার্মিনালে নিয়ে আসতে পারবো। টার্মিনালে লিখুন
apt-get moo
এবং এন্টার দিন। একটি শিংওয়ালা বড় গরু সামনে এসে প্রশ্ন করবে "Have you mooed today?"

গরু আর মাছের মারামারিঃ
Alt+F2 চেপে খুলে যাও কমান্ড বক্সে নিচের কমান্ডটি দিন আর দেখুন বড় বড় শিংওয়ালা গরুগুলো এসে কিভাবে আপনার পোষা ছোট্ট মাছটিকে আক্রমণ করে।
gegls from outer space
আপনি এ্যারো কি দিয়ে ডানে বামে সরিয়ে এবং স্পেস বোতাম চেপে পাল্টা আক্রমণ চালাতে পারবেন।
গরু এবং মাছের লড়াই চলছে পুরোদমেতাড়াতাড়ি ও সাবধানে খেলবেন, না হলে কিন্তু মাছটি মারা যেতে পারে।
মাছটি ধ্বংস হয়ে গেলউবুন্টু যে কতটা মজাদার একটি অপারেটিং সিস্টেম, তা এতক্ষণে নিশ্চয় বুঝতে পেরেছেন।

উবুন্টুর টাইটেল বারের বোতামগুলোকে ডানে সরানোর পদ্ধতি

উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) এ দুটো নতুন থীম যোগ করা হয়েছে। থীম দুটি হলো Ambiance এবং Radiance, আকর্ষণীয় এই থীমগুলোতে উইন্ডোর টাইটেল বারের কন্ট্রোল বাটনগুলো (minimise, maximise, close) রাখা হয়েছে বামপাশে।
ambiance windows control buttonsএম্বিয়েন্স থীমের কন্ট্রোল বোতামubuntu lucid lynx radiance themeব়্যাডিয়েন্স থীমের কন্ট্রোল বোতাম
এই পরিবর্তনটি করা হয়েছে একটি অদূরপ্রসারী পরিকল্পনাকে সামনে রেখে। উবুন্টুর ১০.১০ (ম্যাভেরিক মির্ক্যাট) ভার্সন থেকে উইন্ডোর টাইটেলবারের ডানপাশে নতুন কিছু সুবিধা যোগ করা হবে। আর তাই এখন থেকেই বামপাশে কন্ট্রোল বাটনগুলো রেখে দেয়া হয়েছে। যেন ব্যবহারকারী বামপাশের বোতাম ব্যবহার করতে অভ্যস্ত হয়।

তবে আমরা যারা বামপাশে কন্ট্রোল ব্যবহার করতে অভ্যাস করেছি তারা অতিসহজে কয়েকটা মাত্র ক্লিক করে বাটনগুলোকে ডানপাশে নিয়ে আসতে পারি।

আসুন আজ আমরা জেনে নিই কিভাবে উবুন্টুর উইন্ডোজের টাইটেলবারের কন্ট্রোল বাটনগুলোকে বামপাশ থেকে ডানপাশে নিয়ে যাওয়া যায়।
  • Alt+F2 চাপুন। একটি রান ডায়ালগ খুলে যাবে।Run application in ubuntu lucid lynx
  • এবার এখানে লিখুন gconf-editor এবং Run লেখাতে ক্লিক করুন।
  • এবার Configuration Editor খুলে যাবে। এখানে সাবধানে কাজ করবেন। উল্টাপাল্টা কিছু করতে গেলে সমস্যা হতে পারে।
  • এখানে বামপাশের ফোল্ডার ট্রি থেকে ক্লিক করে করে apps > metacity > general অংশে আসুন।
    Ubuntu configuration editor
  • সিলেক্ট করা অংশে দেখুন লেখা আছে close,minimise,maximise:
  • শেষের : (:) চিহ্নটি আগে এনে দিলেই এই ধারাবাহিকতা রক্ষা করে বাটনগুলো ডানপাশে চলে যাবে। কিন্তু আপনি যদি বাটনগুলোর ক্রম পরিবতর্ন করতে চান, তাহলে নিচের যে কোন একটি পদ্ধতি অনুসরণ করুন।
  • এখানে দুইভাবে ডিফল্ট লেআউট পাল্টাতে পারেন।
    • প্রথম পদ্ধতিঃ সরাসরি লেআউটে পাল্টানোঃButton layout edit directly in configuration editor on Ubuntu close,minimise,maximise: লেখার উপর ডাবল ক্লিক করুন। লেখার উপযোগী টেক্সটবক্সের মধ্যে :minimise,maximise,close লিখে দিন। বাইরে কোথাও একবার ক্লিক করুন। সেভ হয়ে যাবে।
    • আলাদা উইন্ডোতেঃedit button layout key on ubuntuButton Layout লেখার উপরে ডাবল ক্লিক করুন। আলাদা ডায়ালগ বক্স আসবে। এখানে Value লেখা ঘরে লিখুন :minimize,maximize,close এবার OK তে ক্লিক করে পরিবর্তনটুকু সেভ করুন।
  • ব্যাস হয়ে গেল। Configuration Editor উইন্ডোটি বন্ধ করে দিন। এবার যে কোন একটি উইন্ডো খুলে দেখুন তো বাটনগুলো ডানপাশে চলে এসেছে কি না? না আসলে জানাবেন কিন্তু। আমি অপেক্ষায় থাকবো।
* পোস্টটি লিখতে ওয়ার্ডপ্রেসের উবুন্টুবিডি ব্লগের এই পোস্টের সহায়তা নেয়া হয়েছে।

উবুন্টু ১০.০৪ - এ আইবাস দিয়ে বাংলা লিখুন

আমরা এর আগে পুরনো একটি পদ্ধতিতে উবুন্টুতে বাংলা দেখা ও লেখার পদ্ধতি জেনেছিলাম। সেই পদ্ধতিতে বাংলা ফন্ট ইনস্টল করার পদ্ধতি ও বাংলা লেখার নিয়ম নিয়ে দুটো আলোচনা আছে। সময়ের সাথে সাথে পদ্ধতিগুলো আরও উন্নততর হয়ে গেছে। এখন ফন্ট ইনস্টল করার জন্য আলাদাভাবে কোন কষ্ট করতে হবে না। বাংলা ফন্ট সরাসরি উবুন্টুর সফটওয়ার সেন্টার থেকে সিস্টেমে ইনস্টল করা যাবে। এই বিষয়ে একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) ইনস্টল করে যা পেলাম পোস্টটিতে আছে।

বাংলা লেখার জন্য SCIM এর চাইতে অধিক উন্নত প্রোগ্রাম হল iBus । এটা বেশ উন্নত একটি ইনপুট মেথড, আকারে ছোট, আর উবুন্টু ৯.১০ (কারমিক কোয়ালা) থেকে iBus ডিফল্টভাবে দেয়া হচ্ছে। এখানে ডিফল্টভাবে প্রচলিত বাংলা লেআউটগুলো আগে থেকেই রেখে দেয়া হয়েছে। ফলে iBus ব্যবহার করার জন্য কোন সফটওয়ার ডাউনলোড করতে হবে না। উবুন্টু ইনস্টল হবার সাথে সাথে iBus ইনস্টল হয়ে যায়। iBus এর পূর্ণ অর্থ হল IBus - Intelligent Input Bus for Linux / Unix OS, আর এর হোমপেজ http://code.google.com/p/ibus/
about ibus input methodআসুন আজ আমরা জেনে নিই কিভাবে iBusকে বাংলা লেখার জন্য একটু কনফিগার করে নেয়া যায়।

ডেস্কটপের উপরের প্যানেলে থাকা System মেনুতে ক্লিক করলে যে ড্রপডাউন মেনু খুলে যাবে, সেখানে প্রথমে থাকা Preferences মেনুর সাবমেনুতে iBus preferences রয়েছে। এখানে ক্লিক করলে একটি মেসেজ দেখা যাবে।
ibus daemon is not startedসেখানে লেখা আছে:
IBus daemon is not started. Do you want to start it now?
আপনি কি IBus চালু করতে চান? যদি আপনার উত্তর হ্যাঁ-বোধক হয়, তাহলে Yes চাপুন। ibus চালু হয়ে যাবে। এবার দেখুন আর একটি মেসেজ আসবে।
ibus starting settings problemsএখানে বলা আছে যে ibus কে একটু কনফিগার করে নিতে হবে। তাহলে কাজ করতে সুবিধা হবে। এই মেসেজবক্সে OK লেখাতে ক্লিক করুন। এবার কনফিগারেশন প্যানেল খুলে যাবে।

আমাদেরকে এখানে কিছু সামান্য পরিবর্তন আনতে হবে।
প্রথমে আসি General ট্যাবে।
ibus preferences-generalসাধারণত এখানে করার কিছু নেই। কিবোর্ডের কোন বাটন চেপে লেখার ভাষা পরিবর্তন করতে হবে, তা এখানে নির্দিষ্ট করা আছে। সাধারণত কন্ট্রোল এবং স্পেস (Ctrl+Space) বাটনদুটো একসাথে চাপ দিয়ে আইবাসের ইনপুট ভাষা পরিবর্তন করা হয়। আপনি চাইলে এই বাটন পরিবর্তন করতে পারেন এখান থেকে।

এবার আসুন Input Method ট্যাবে। আমাদেরকে এখানেই পছন্দের কীবোর্ড লেআউট নির্বাচন করতে হবে।
ibus preferences input methodএখানে Select an input method লেখাতে ক্লিক করুন। একটি ড্রপ ডাউন মেনু নিচের ছবির মতো বিভিন্ন ভাষার একটি লম্বা তালিকা নিয়ে খুলে যাবে।
ibus bangla input methodsএখানে Bengali ভাষার অন্তর্ভুক্ত চারটি কিবোর্ড লেআউট আছে। probhat, itrans, inscript, unijoy এগুলোর মধ্যে আপনি যে লেআউট ব্যবহার করে লিখতে অভ্যস্ত তা সিলেক্ট করুন। input method ট্যাবের ডানপাশে থাকা Add বাটনে ক্লিক করে লেআউটটিকে যোগ করুন। তালিকায় অন্য কোন ভাষা থাকলে (সাধারণত ইংরেজি থাকে) তা সিলেক্ট করে Remove বাটনে ক্লিক করে মুছে দিন। ব্যাস আপনার প্রাথমিক কাজ হয়ে গেল। এবার আর একটি ছোট্ট কাজ করতে হবে।

টার্মিনাল খুলে সেখানে gedit .bashrc লিখে এন্টার চাপুন। bashrc নামক একটি ফাইল খুলে যাবে। ফাইলটিতে যা কিছু লেকা আছে তার একেবারে শেষে নিচের লাইনগুলো লিখে দিন।
export GTK_IM_MODULE=ibus
export XMODIFIERS=@im=ibus
export QT_IM_MODULE=ibus
configure .bashrc file in ubuntu for ibusছবিতে দেখুন
সেভ করুন। আপনার সিস্টেমে আইবাস কনফিগারেশন সম্পূর্ণ হয়ে গেছে। এবার সরাসরি কোন টেক্সট এডিটরে বাংলা লেখা শুরু করে দিন। কম্পিউটারকে একবার রিস্টার্ট করেও নিতে পারেন। তবে তা বাধ্যতামূলক নয়।

সাধারণত প্রত্যেকবার কম্পিউটার স্টার্ট হবার সাথে সাথে আইবাস চালু হয়না। আমরা ইচ্ছে করলে প্রত্যেকবার কম্পিউটার চালু হবার সাথে সাথে আইবাস চালু করার একটি সুবিধা এবার যোগ করতে পারি।

এ জন্য System > Preference > Startup Application এ যেতে হবে।
startup applications preferencesএকটি নতুন লাঞ্চার তৈরি করার জন্য এই উইন্ডোর ডানপাশে থাকা Add লেখা বাটনে ক্লিক করুন।
নতুন লাঞ্চারটিতে যেসব তথ্য ইনপুট করতে হবে তা নিম্নরূপঃ
Name: IBus daemon
Command: /usr/bin/ibus-daemon -d
Comment: Start IBus daemon when Gnome starts
add ibus on startup application listAdd লেখা বাটনে ক্লিক করে এটাকে স্টার্টআপ এপ্লিকেশন তালিকায় যোগ করুন। এবার থেকে প্রত্যেকবার কম্পিউটার চালু হবার সাথে সাথে ibus রান হয়ে যাবে।

এবার যে কোন জায়গায়, যেমন কোন টেক্সট এডিটর, ওপেন অফিস, ব্লগ, কমেন্টবক্স, সার্চবক্স বাংলা লেখার জন্য মাউস কার্সার রেখে কীবোর্ডের Ctrl+Space চাপুন।
ibus language changed to bengaliযখনই Ctrl+Spacebar চাপবেন, তখনই ডেস্কটপের নিচের প্যানেলের ডানপাশে উপরের ছবির মতো একটি মেসেজ দৃশ্যমান হয়ে আপনাকে জানান দেবে যে বাংলা কীবোর্ড লেআউট একটিভ হয়েছে।

এবার আপনি যে কীবোর্ডে অভ্যস্ত সেই লেআউন অনুযায়ী বাংলা লেখা শুরু করে দিন। পারলেন কি না জানাবেন কিন্তু।

উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) ইনস্টল করে যা পেলাম

উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) প্রকাশিত হয়েছে গত এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখে। ইতিমধ্যে লিনাক্সপ্রেমীরা একে নিজেদের কম্পিউটারে ব্যবহার করা শুরু করে দিয়েছেন। আমি এক দুর্ভাগা, তাই যথাসময়ে লুসিড ব্যবহার করা শুরু করতে পারিনি। আজ ডাউনলোড সম্পন্ন হল। কম্পিউটারে ইনস্টল করলাম। ইনস্টল করতে সময় লেগেছে সিডি ট্রেতে ঢোকানো থেকে শুরু করে রিস্টার্ট অপশন আসা পর্যন্ত মোট ১৭ মিনিট। এত তাড়াতাড়ি আর কখনো কোন অপারেটিং সিস্টেম ইনস্টল করতে পারিনি। রিস্টার্টের পর ডেস্কটপ দেখে মন ভালো হয়ে গেল। দীর্ঘমেয়াদী সাপোর্ট রয়েছে যে অপারেটিং সিস্টেমে তার চেহারা দেখার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলাম। কি কি পরিবর্তন থাকতে পারে, তার খবরাখবর অবশ্য আগে থেকেই জানি। কিন্তু ফাইনাল ভার্সন বের হবার আগে কোনরকম পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে যাইনি। ভেবেছিলাম একবারে ব্যবহার করা শুরু করবো। উবুন্টু ১০.০৪ ইনস্টল করার পর যা কিছু চোখে পড়ল, তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা নিচে একে একে বলছি। উল্লেখ্য যে এই রিভিউটি লুসিড থেকেই লিখছি।

ইনস্টল করার সময় বিভিন্ন স্লাইডঃ
ইনস্টলেশন চলাকালীন উবুন্টুর আগের ভার্সনগুলোতে যে সব এপ্লিকেশন ইনস্টল হচ্ছিল তাদের নাম ও তালিকা দেখাতো, আর থাকতো অল্প একটু বর্ণনা। এবার এই অংশটিকে আরো বেশি তথ্যসমৃদ্ধ করা হয়েছে। উবুন্টু দিয়ে কি কি করা যাবে, কি কি সুবিধা আছে ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত তথ্যমূলক স্লাইড শো দেখানোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। ফলে ইনস্টল করতে গিয়ে বিরক্তিতে ভুগতে হবে না। ইনস্টল সম্পূর্ণ হয়ে ডেস্কটপ আসার আগেই উবুন্টুর খুঁটিনাটি বিভিন্ন দিক সম্পর্কে জানা হয়ে যাবে।

দ্রুততাঃ
কোন অপারেটিং সিস্টেম যে এত দ্রুত লোড হতে পারে, তা আমার ধারণায় ছিল না। দু'এক বৎসর আগে Much Boot নামের একটি লিনাক্সভিত্তিক অপারেটিং সিস্টেম ডাউনলোড করেছিলাম। এর জাপানী ডেভেলপারের সাথে ইন্টারনেট বন্ধুত্বও গড়ে উঠেছিল। এই Much Boot লোড হতেও খুব কম সময় নেয়। কিন্তু এই ওএসটি ততোটা ব্যবহারবান্ধব ছিল না। এছাড়াও সবার ব্যবহারের উপযোগী করেও Much Boot OS তৈরি করা হয়নাই। তাই এটার উদাহরণ উবুন্টুর ক্ষেত্রে খাটে না। উবুন্টু লোড হবার জন্য খুব কম সময় নেবে এমনটা 'মার্ক শাটলওয়ার্থ' আগেই ঘোষণা দিয়েছিলেন। তিনি ১০ সেকেন্ডের একটা মার্জিন সময় নির্ধারণ করেছিলেন। আমি অবাক হয়ে গেলাম যে সত্যিই তাই। গ্রাব লোডার থেকে (যেখানে এক্সপি ও উবুন্টু আলাদাভাবে সিলেক্ট করতে হয়) আমার ডেস্কটপে আসতে ঠিক ঠিক ১৩ সেকেন্ড লাগছে। কয়েকবার রিস্টার্ট করে টেস্ট করলাম। কিন্তু সময়ের তেমন হেরফের হচ্ছে না।

এছাড়াও ফোল্ডার খোলা, ফাইল খোলা, মেনু ব্রাউজ ইত্যাদি এত তাড়াতাড়ি ঘটে যাচ্ছে যে আমাকেই তাড়াহুড়া করে কাজ করতে হচ্ছে। সিস্টেমের স্পিডের সাথে আমি পাল্লা দিতে পারছিলাম না। এক্সপি যতদিন ব্যবহার করতাম, ততদিন আমি অনেকের কাছে গর্ব করে বলতাম যে আমি টাইপ করে যাওয়ার পরে টেক্সট দেখা যায়। আমার সে গর্ব উবুন্টুতে আসার পর ভেঙ্গে গেছে। আর এখন দেখছি আমার অহংকার চূর্ণবিচুর্ণ হয়ে গেল।

থীমঃ
উবুন্টুর এতকালের ডিফল্ট থীম হিউম্যান যে বাদ যাবে সেকথা আপনারা আগেই জেনেছেন। যথারীতি আইকন ও গ্রাফিক্সগুলোতে যে পরিবর্তন এসেছে, তা আপনারা আগেই এই পোস্ট থেকে জেনেছেন। আগের বেগুনী রঙটাকে আমার খারাপ লাগতো না। ভালোই ছিল। তবে নতুন গাঢ় রঙের থীমটা কিন্তু আসলেই অন্যরকম। লাইভ সিডিতে দেখেই ভালো লেগেছিল। ইনস্টল করার জন্য অপেক্ষা করতে মন চাইছিল না।

উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) এর ডিফল্ট থীম হিসেবে আছে Ambiance , এর গাঢ় কাল রঙের বর্ডার এবং উইন্ডোর কন্ট্রোল বাটনগুলোর (মিনিমাইজ, ম্যাক্সমাইজ, ক্লোজ) গোলাকার ডিজাইন আমার ভাল লেগেছে।
ambiance windows control buttonsআর একটি নতুন থীম হল Radiance, এর রঙ ও বাটন ডিজাইনও সুন্দর লেগেছে। হালকা ঘিয়ে রঙের প্রলেপ ও আকর্ষণীয় গোলাকার ইফেক্ট সবখানে দিয়ে দেয়া, ফলে ব্যবহার করতে গিয়ে মনের মধ্যে একটি নরম কোমল অনুভূতির সৃষ্টি হয়।
ubuntu lucid lynx radiance themeপূর্বঘোষণামাফিক উইন্ডোর কন্ট্রোল বাটনগুলো বামপাশে আছে। আমি এগুলোকে ডান পাশে নিয়ে এনেছি। কিভাবে করলাম তা জানাচ্ছি পরের পোস্টে। তবে দু'একদিন ব্যবহার করার পর আবার এই বাটনগুলোকে বামপাশে নিয়ে আসবো। নতুন ফিচার যখন এখানে যোগ করা হবে, তখন যেন অনভ্যস্থ না থাকি, তার জন্য এখন থেকেই প্রাকটিস করা প্রয়োজন। তবে এই দুটো থীম ছাড়া অন্য থীমগুলোতে বাটনগুলো ডানপাশেই রয়ে গেছে।

আইকনঃ লোগো, প্যানেল আইকন, উইন্ডো আইকন, নোটিফিকেশন এরিয়া, ইন্ডিকেটর ইত্যাদি জায়গার আইকনগুলোর ডিজাইন আগের মতো থাকলেও রঙ ও বৈচিত্র সম্পূর্ণরূপে পাল্টে ফেলা হয়েছে। ফলে থীমের সাথে দারুণভাবে মানিয়েও গেছে আর তাই দেখতে আকর্ষণীয় লাগে।
new icons in ubuntu 10.04 licid lynxএছাড়াও নতুন নতুন ওয়ালপেপার তো রয়েছেই। নিচের ছবিটি দেখুন। কোন ছবিটি আপনার পছন্দ হয়?
Appearance preferences in ubuntu 10.04 lucid lynx
বাংলা ফন্ট ইনস্টলঃ
উবুন্টু ইনস্টল করার পর আমার প্রথম কাজ ছিল ফন্ট ইনস্টল। উবুন্টুতে বাংলা দেখা ও লেখার পদ্ধতি পোস্ট মোতাবেক ফন্ট ইনস্টল করলাম। তবে স্কিম দিয়ে লিখিনি। লিখলাম ibus দিয়ে। এরপর সফটওয়ার সেন্টারে গিয়ে দেখি যে বাংলা ফন্ট ইনস্টল করার জন্য এখন আর আলাদাভাবে কোন কাজ করতে হবে না। সফটওয়ার সেন্টার থেকেই ইনস্টল করা যাবে।
bangla fonts in ubuntu software centerউবুন্টু সফটওয়ার সেন্টারের Fonts লেখা তালিকাতে বাংলা ফন্ট রয়েছে। More info সিলেক্ট করলে নিচের ছবির মতো অংশ আসে। Install লেখা বাটনে ক্লিক করে বাংলা ফন্ট ইনস্টল করে নিন।
install ttf bangla fonts in ubuntuকিন্তু কোন কোন ফন্ট ইনস্টল করা যাবে, তা বলতে পারছি না। আমি পছন্দের ফন্টগুলো আগেই ইনস্টল করে ফেলেছি।

গ্রাফিক্স এডিটরঃ
আমরা জানতাম যে এবার 'জিম্প'কে বাদ দেয়া হবে। গ্রাফিক্স মেনুতে মাউস নিয়ে গিয়ে দেখি যে সত্যিই তাই। জিম্প নেই। অবশ্য আমার এতে আফসোস নেই। আমি গ্রাফিক্স ডিজাইন একটুও পারি না। তাই এত বড় ও শক্তিশালী সফটওয়ারের আমার প্রয়োজন নেই। কিন্তু ছোটখাট কাজ তো করতে হয়, ছবি রিসাইজ, রিটাচিং, দুএকটা দাগ বা বর্ডার টানা ইত্যাদি করার জন্য জিম্পকে ব্যবহার করার অর্থ হল ট্রাক্টর দিয়ে বালুমাটিতে হালচাষ করানো। ছোটখাটো কাজ করার জন্য আমার কাছে GNU Paint যথেষ্ট। সফটওয়ার সেন্টার থেকে ডাউনলোড করে নিলাম। ৭৯৫ কিলোবাইট আকারের ছোট্ট কিন্তু কাজের সফটওয়ারটি সা সা করে ডাউনলোড হয়ে গেল।

মিমেনুঃ
আমি অনলাইনে খুব একটা চ্যাটিং করা হয়না। সারা দিনে দু'এক ঘন্টার বেশি ইন্টারনেটে বসিনা। তাই অনলাইন বন্ধুর সংখ্যাও কম। আর সেজন্য মিমেনু (MeMenu) আমার ব্যবহার করা হয়নি। তবে দেখলাম অনেক কয়টি চ্যাটিং সার্ভিস ব্যবহার করার সুবিধা আছে। ফলে আপনি যদি গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি হন, তাহলে অনলাইনে আপনার হারিয়ে যাবার ভয় থাকবে না। ক্লায়েন্টরা আপনাকে কোন না কোন সামাজিক নেটওয়ার্কে খুঁজে পাবেই।
Chat services in memenu in lucid ubuntu আপনার হারানোর ভয় আর নেই। ফেসবুক, গুগলটক, ইয়াহু, এমএসএন কোথাও না কোথাও তো থাকবেনই। তাই না। আর এর সবকটি পাবেন একটিমাত্র মেনুতেই।

সামাজিকতাঃ
উবুন্টুর ডেস্কটপের উপরের প্যানেলের ডানপাশে থাকা মিমেনুতে আপনার সামাজিক অবস্থানের চিহ্ন সব সময় থেকে যাবে তাতো একটু আগেই বললাম। কিন্তু শুধু কি আপনার উপস্থিতি, না তা নয়। ওপেন সোর্স মাইক্রোব্লগিং 'গুইবার' (Gwibber Social Client) এবার থেকে উবুন্টুর সাথে যুক্ত হল।
gwibber open source chat client in lucidআর এটাকে মিমেনুতে ইনট্রিগেট করা হয়েছে। গুইবার দিয়ে ফ্লিকার, টুইটার, ফেসবুক, ডিগ বিভিন্ন সাইটে একসাথে লগইন করতে পারবেন। অর্থাৎ একবার একাউন্ট সেট করার পর আপনাকে বারবার আর সেগুলোতে লগইন করতে হবে না। শুধুমাত্র গুইবারে একবার লগইন করলেই অন্য সাইটগুলোর আপডেট তাৎক্ষণিকভাবে পেতে থাকবেন। আর নিজে যে সেইসাথে একাধিক সাইটে পোস্ট করতে পারবেন সেকথা না বললেও নিশ্চয় বুঝতে পারছেন।

মিমেনুতে আরও যোগ করা হয়েছে উবুন্টু ওয়ান। এর মাধ্যমে আপনার বিভিন্ন ফাইল, ফোল্ডার, কম্পিউটারে নির্দিষ্ট হার্ডডিস্ক বা তার পার্টিশন অনলাইনে স্টোর ও শেয়ারিং এর কাজটি খুব সহজে করতে পারবেন।

অর্থাৎ একটিমাত্র মিমেনু দিয়ে কত রকমের কাজ মাত্র দুইটি ক্লিকেই করা সম্ভব হয়েছে উবুন্টুর লুসিড থেকে। আর এই মিমেন না থাকার কারণে উইন্ডোজ ব্যবহারকারীরা কত সুবিধা থেকে যে বঞ্চিত থেকে যাবেন, তা আর কি বলবো।

হার্ডওয়ার সাপোর্টঃ
আমার কম্পিউটারটা পুরনো। ২০০৮ সালের মডেল। কিন্তু আমার পাশের রুমের বান্ধবীর নতুন কেনা ডুয়েল কোর কম্পিউটারে পরীক্ষা করে দেখলাম। কোনরকম সমস্যা হল না। সবকটি হার্ডওয়ার স্বয়ংক্রিয়ভাবে ডিটেক্ট করতে পেরেছে।

সফটওয়ার সেন্টারঃ
উবুন্টু ৯.১০ থেকে সিনাপ্টিক ম্যানেজারের পাশাপাশি সফটওয়ার সেন্টার দেয়া হয়েছিল। সেবার কিছুটা বাগ থেকে গিয়েছিল। কিন্তু এবার সফটওয়ার সেন্টারকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। Featured Applications নামে একটি নতুন অপশন থাকায় উবুন্টু কমিউনিটি যেসব এপ্লিকেশনকে বিশেষভাবে তালিকাভুক্ত করেছে, সেগুলোকে এক পলকে দেখে নিয়ে ডাউনলোড করে নিতে পারবেন।
powerful software center in lucid lynx এছাড়াও রয়েছে বিভিন্ন ক্যাটাগরী অনুযায়ী সাজানো সফটওয়ারগুলোর তালিকা। ফলে প্রয়োজনীয় সফটওয়ার খোঁজার জন্য মোটেও কষ্ট করতে হবে না। আর সফটওয়ার সেন্টারের স্ট্যাটাস বারে লেখা আছে 32403 Items available, অতএব বুঝতেই পারছেন, আপনার প্রয়োজনের চাইতেও অনেক বেশি সফটওয়ার এখানে আপনার ডাউনলোডের জন্য অপেক্ষা করছে।

# এগুলো ছাড়াও আর যেসব সুবিধা আমার ভালো লেগেছেঃ
  • উইন্ডো ম্যানেজার নটিলাসের Extra Pane সুবিধাটিঃ
    ubuntu licid lynx extra pan in view menu View মেনুতে Extra Pane লেখা লিংকে ক্লিক করলে ভিউ উইন্ডোতে আরেকটি প্যান যুক্ত হয়ে যায়। এতে আপনি একই সাথে দুইটি ফোল্ডারে কাজ করতে পারবেন। কপি পেস্ট করার জন্য এটা খুবই সুবিধাজনক।
  • Pitivi ভিডিও এডিটরঃ জিম্প বাদ দিয়ে Pitivi ভিডিও এডিটর যোগ করা হয়েছে। সহজ ইন্টারফেস, আর জটিলতাবিহীন অপশন থাকায় ব্যবহারবান্ধব এই এপ্লিকেশনটি হোম ইউজারদের পাশাপাশি ছোটখাট বাণিজ্যিক কাজেও ব্যবহার করা যাবে।
  • ভলিউম কন্ট্রোলকে খাড়াখাড়ি না রেখে পাশাপাশি রেখে দেয়া হয়েছে। ফলে ভলিউম বাড়ানো কমানোর সময় অযথা কিছু জায়গা দখল করে রাখে না।লVolume control now horizontal
  • গেমের পরিমাণ কমিয়ে দেয়া হয়েছে। যারা গেম খেলেন না, তাদের জন্য এই মেনুটি অযথা বেশি জায়গা দখল করে রাখতো। তবে উবুন্টুতেও এখন 3D গেম খেলা যায়। গেমারদের হতাশ হবার কিছু নেই।
আরও কিছু প্রয়োজনীয় এপ্লিকেশনঃ
  • আগে থেকে যেসব সফটওয়ার উবুন্টুর সাথে দিয়ে দেয়া হয়ে আসছে, এবার সেগুলোকে আরো বেশি পরিমার্জিত করে নতুন ভার্সন যোগ করা হয়েছে।
  • অফিস সম্পর্কিত সবধরণের কাজ করার জন্য শক্তিশালী ও অসংখ্য সুবিধা সম্বলিত অফিস স্যুট ওপেন অফিস তো আছেই। ওপেন অফিসের সর্বশেষ ভার্সন Open Office 3.2 এবার যোগ করা হয়েছে।
  • স্ক্যান করার জন্য রয়েছে Simple Scan , এর মাধ্যমে সহজে যে কোন ছবি স্ক্যান করতে পারবেন নিমেষেই।
  • টরেন্ট ডাউনলোডার Transmission BitTorrent Client এখন আরও বেশি শক্তিশালী। এটা রান থাকাকালীন ব্যান্ডউইথের সবটুকু সুবিধা জোর করে আদায় করে নেয়। ফলে বড় আকারের ফাইল ডাউনলোড হতে বেশি সময় লাগে না।
  • গান শোনার জন্য রয়েছে সর্বকালের সেরা সফটওয়ার Rhythmbox 0.12.8
  • ভিডিও দেখার জন্য Totem Movie Player 2.30.0
  • সিডি ডিভিডি বার্ণ করার জন্য আছে Brasero Disk Burner 2.30.0
  • হার্ড ডিস্কে থাকা ছবিগুলোকে সাজিয়ে রাখার জন্য আছে F-Spot Photo Manager 0.6.1.5
  • তাৎক্ষণিকভাবে নোট নেবার জন্য আছে Tomboy Note। এর মধ্যে কোন টেক্সট কপি করে পেস্ট করে দিলে সেভ না করলেও সেভ হয়ে থাকবে।
  • স্ক্রীণশটকে যে কত সুবিধাজনকভাবে নেয়া যায় তা Take Screenshots ব্যবহার না করলে বোঝানো যাবে না। সম্পূর্ণ স্ক্রীণ, নির্দিষ্ট সময় পরে স্ক্রীণশট নেয়া, বর্তমান উইন্ডো কিংবা স্ক্রীণের নির্দিষ্ট একটু জায়গা সিলেক্ট করে শট নেয়া- বিভিন্নভাবে একে ব্যবহার করা যায়।
আসলে দিনে দিনে উবুন্টু আরও বেশি শক্তিশালী ও ব্যবহারবান্ধব হচ্ছে। তার প্রমাণ লুসিডে পাওয়া গেল। অপারেটিং সিস্টেমের দৌড়ে উবুন্টু যে আরও অনেক দূর যাবে সে কথা বলাই বাহুল্য।

উবুন্টুতে ব়্যাম এবং ব়্যাব লেখার সমাধান

ram and rab problem solved in bangla languageআমরা জানি ইউনিকোড বাংলায় RAB এবং RAM লিখতে গেলে তা সঠিকভাবে প্রদর্শিত হয়না। লিখতে গেলে শব্দদুটি 'র্যাব' এবং 'র্যাম' এর রূপ ধারণ করে। কিন্তু বাংলা ভাষার নিয়মে এর রূপ হওয়া উচিত 'ব়্যাম' এবং 'ব়্যাব' এরকম।

সাধারণভাবে ইউনিকোড বাংলা লিখতে গিয়ে এই সমস্যার সমাধান হওয়ার কথা নয়। কারণ 'যফলা'র জন্য আলাদা কোন কোড ইউনিকোড তালিকায় নেই। তাই যতদিন না যফলার জন্য আলাদা কোন কোড নির্ধারণ করা হচ্ছে, ততদিন এই সমস্যার সমাধান হবার কথা নয়।

আমাদের প্রযুক্তি ফোরামের নিয়মিত সদস্য সারিম এই সমস্যার একটি দারুণ সমাধান দিয়েছেন। ফোরামের "লিনাক্সে আইবাস ও স্কিমে ব়্যাম লেখার সমাধান" নামক থ্রেডে এই বিষয়ক বিভিন্ন তথ্য তিনি বিস্তারিত আলোচনা করেছেন। এখানে তিনি লিনাক্সের জন্য সমাধান দিয়েছেন। সারিম লিনাক্সে ইউনিজয় এবং প্রভাত লেআউটে বাংলা লেখার জন্য ডিফল্টভাবে দেয়া bn-unijoy.mim এবং bn-probhat.mim নামক ফাইলদুটির কিছু উন্নয়ন ঘটিয়েছেন। এই পরিবর্তিত ফাইলদুটি ব্যবহার করলে আপনি 'ব়্যাম' লিখতে পারবেন। উল্লেখ্য যে 'সোলাইমান লিপি'তে র এর নিচের ফোটাটি সঠিকভাবে দেখা যায় (উপরের নমুনা ছবি দেখুন)। 'বাংলা হ্যাকস' ব্লগের ডিফল্ট ফন্ট 'আদর্শলিপি' তাই র এর নিচের ফোটাটি একটু বেশি নিচে চলে গেছে এরকম দেখা যাবে।

উবুন্টু লিনাক্সে bn-unijoy.mm ফাইলটি ইনস্টলের পদ্ধতিঃ
  • উবুন্টুর টার্মিনালে sudo nautilus লিখে এন্টার চাপুন।
  • এবার নটিলাস (উবুন্টুর উইন্ডো ম্যানেজার) দিয়ে /usr/share/m17n/ ফোল্ডারে যান।
  • সেখানে থাকা bn-unijoy.mm ফাইলটি নতুন ফাইলটি দিয়ে রিপ্লেস করুন।
  • সম্পূর্ণ পথ হল/usr/share/m17n/bn-unijoy.mim
  • উল্লেখ্য যে সারিমের পরিবর্তিত ফাইলটি এখনও বেটা ভার্সনে আছে। তাই নিজ দায়িত্বে ব্যবহার করার জন্য অনুরোধ করা হল।

  • সারিমের দেয়া ফাইলটি ইউনিজয় লেআউটের ফাইলটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে
  • যারা প্রভাত লেআউট ব্যবহার করে বাংলা লিখছেন তারা ডাউনলোড করুন এখান থেকে। bn-probhat.mim ফাইলটি পরিবর্তন করার নিয়ম একই।
  • আমার আপলোড করা ফাইলটি ডাউনলোড করুন এখান থেকে। এই ফাইলটির সম্পূর্ণ নাম beta version-1=bn-unijoy.mim এখানে beta version-1= লেখাটুকু মুছে দিয়ে শুধু bn-unijoy.mm রাখুন।
যাঁরা উবুন্টু ব্যবহার করেন না, তাদের জন্য সমাধান এখনও হাতের মুঠোয় আসেনি। তারা ডেস্কটপে 'ব়্যাম' কিংবা 'ব়্যাব' লিখতে পারবেন না। কিন্তু তাই বলে কি তাদের জন্য কোন সমাধান নেই? চিন্তার কিছু নেই বন্ধু। আপনি অনলাইনে যেন সঠিকভাবে RAM এবং RAM লিখতে পারেন সেরকম একটি টুল আমি আপনাদের জন্য তৈরি করেছি। এটাও সারিমের উন্নয়ন করা জাভাস্ক্রিপ্ট দিয়ে বানানো হয়েছে।

এই টুলটি ব্যবহার করতে পারবেন আমার 'বাংলাপ্যাড' এ। এখানে নতুন একটি টেক্সটবক্স স্থাপন করা হয়েছে। দুইটি টেক্সটবক্সের মধ্যে নিচের ছোটটিতে 'ব়্যাম' সঠিকভাবে লেখা যাবে। আপনারা এটাতে লিখে নিয়ে তা থেকে কপি পেস্ট করতে পারবেন।
ঠিকানা: http://banglapad.blogspot.com/

আপনার যদি নিজস্ব ব্লগ থাকে, তাহলে সেখানেও এই ওয়েবটুলটি স্থাপন করতে পারেন। এজন্য নিচের HTML কোডটুকু আপনার ব্লগস্পট ব্লগের HTML/javascript গেজেটে পেস্ট করুন। আর ইউনিজয় লেআউট দিয়ে লিখতে থাকুন। দেখুন তো 'ব়্যাম' লিখতে পারছেন কি না?
<script src="http://sites.google.com/site/banglahacks/shrd/sarim-unijoy.js"></script>
<form>
<textarea name="bangla" id="bangla" cols="80" rows="10"
style="font-family: vrinda; font-size: 20px; width: 400px; height: 100px;"></textarea>
<br />
<input onclick="switched=!switched;" value="switch keyboard mode"
type="button" />
</form>
<script>
makeUnijoyEditor('bangla'); //pass the textarea Id
</script>
  • Ctrl+Q চেপে ইংরেজি কিংবা বাংলা লেআউটে পরিবর্তন করতে পারবেন।
আপনি কতটুকু সফল হলেন, তা জানাতে ভুলবেন না যেন।

উবুন্টু ১০.০৪ লুসিড লিংক্স RC প্রকাশিত হয়েছে

Ubuntu 10.04 Lucid Lynx RCউবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিঙক্স) রিলিজ ক্যান্ডিডেট প্রকাশিত হয়েছে। নতুন যুগের ক্লাউড কম্পিউটিংকে আরও বেশি কার্যকরী, শক্তিশালী ও অর্থবহ করে তুলতে যে সব উপাদানের প্রয়োজন, তার সবকিছুকে এবার বিল্টইন পাওয়া যাবে উবুন্টুর এই নতুন ভার্সনে। সাধারণত ফাইনাল ভার্সন রিলিজ হওয়ার এক সপ্তাহ আগে রিলিজ ক্যান্ডডেট প্রকাশ করা হয়। এবারও তার ব্যতিক্রম হল না। আগামী ২৯ এপ্রিল তারিখে প্রকাশিত হবে উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) LTS (দীর্ঘমেয়াদী সাপোর্ট)। তার আগে সফটওয়ারে যেসব ত্রুটি ও বাগ দেখা রয়েছে, তার পরীক্ষা নিরীক্ষা চলছে পুরোদমে। উৎসাহী, পরীক্ষক ও সাধারণ ব্যবহারকারীকে এই কর্মযজ্ঞে সামিল করার জন্য ফাইনাল ভার্সন প্রকাশ হওয়ার আগে আলফা, রিলিজ ক্যান্ডডেট ইত্যাদি ভার্শন প্রকাশ করা হয়। ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতা ও মতামতের ভিত্তিতে প্রয়োজনীয় পরিবর্তনের জন্য যথাযথ পদক্ষেপ নেয় ক্যানোনিকাল। এবারে দীর্ঘমেয়াদী সাপোর্ট থাকার কারণে সারা বিশ্বের লিনাক্স তথা মুক্ত সফটওয়ার ব্যবহারকারীরা খুব আগ্রহ নিয়ে উবুন্টু ১০.০৪ লুসিড লিংক্স এর জন্য অপেক্ষা করছে।

পূর্ববর্তী ভার্শনের চেয়ে এবারের উবুন্টু হবে অনেক বেশি দ্রুততর, সামাজিক যোগাযোগের উপায়গুলো বিল্টইন দিয়ে দেয়া থাকবে, গেমিং অভিজ্ঞতাকে নিয়ে যাবে অন্য মাত্রায় এই খবরগুলো আপনারা আগেই জেনেছেন উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) বেটা ২ রিলিজ হবার খবরে। নতুন করে তেমন কোন পরিবর্তন আনা হয়নি। বরং সুক্ষ্ম ত্রুটিগুলো সারিয়ে তোলার কাজ কতটুকু এগলো, তা বোঝার জন্যই রিলিজ ক্যান্ডডেট প্রকাশ করা হয়েছে।
যারা উবুন্টুর পূর্ববর্তী ভার্শন থেকে সরাসরি আপগ্রেড করে নিতে চান তারা টারমিনালে নিচের কমান্ডটি টাইপ করুন।
update-manager -d
নতুন ভার্শনটি সম্পর্কে আরও তথ্য জেনে নেয়ার পাশাপাশি যারা মূল আইএসও ফাইলটি ডাউনলোড করে নিতে চান, তারা এই পাতাটি ভিজিট করুন।

উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিঙক্স) রিলিজ ক্যান্ডিডেট প্রকাশিত হবার খবরটি জানা গেছে এই ঘোষণা থেকে।

উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) বেটা ২ রিলিজ হল

ubuntu 10.04 lucid lynx beta 2 releasedআপনাদেরকে উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) এর বেটা ১ বের হবার খবরটা দিয়েছিলাম মার্চ মাসের ২০ তারিখে। এখন বের হল বেটা ২ ভার্শন। এই রিলিজটিতে নতুন কোন বিশেষ ফিচার যোগ করা হয়নি। আগের পরিবর্তনগুলোই বেশ কিছু বাগ ফিক্স করে, অন্যান্য পরীক্ষা নিরীক্ষা করে কিছুটা পরিবর্ধন ও পরিমার্জন করে প্রকাশ করা হল। তবে এটা তো জানেনই ইতিমধ্যে ক্যানোনিকাল উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) এর ডিফল্ট সার্চইঞ্জিন পরিবর্তন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।

উবুন্টু ৯.১০ এর পর যে সব পরিবর্তন উবুন্টু ১০.০৪তে করা হয়েছে, সেগুলো হলঃ

GNOME
অসংখ্য নতুন নতুন ফিচার দিয়ে সাজানো জিনোম ৩ ডেস্কটপ এনভায়রনমেন্ট যোগ করা হয়েছে।

Mozilla Firefox
মজিলা ফায়ারফক্সের শেষ ভার্সনটি যোগ হবে।

Linux kernel 2.6.32
কার্ণেল 2.6.32.9 এর উপর ভিত্তি করে তৈরি করা কার্ণেল 2.6.32-16.25

কুবুন্টুতে আছে KDE SC 4.4
কুবুন্টু ১০.০৪ বেটা ২ তে আছে নতুন ও আকর্ষণীয় ফিচার সমৃদ্ধ KDE SC 4.4

HAL removal
নতুন রিলিজে সম্পূর্ণরূপে HAL বাদ দেয়া হয়েছে। ফলে রিসিউম ও সাসপেন্ড অবস্থা থেকে বুট হবার গতি অনেক বেড়ে গেছে। আর বুটিং স্পিডও বেড়ে গেছে কয়েকগুণ।

likewise-open
নতুন ভার্সনের likewise-open প্যাকেজ থাকার ফলে উবুন্টু (৪.০) ৮.০৪ (LTS) অথবা উবুন্টু ৯.১০ (৪.১) থেকে আপগ্রেড করার কাজটি আরও বেশি নিচ্ছিদ্র হয়েছে।

nVidia হার্ডওয়ারের জন্য ওপেন সোর্স ড্রাইভার

এনভিডিয়া হার্ডওয়ারের জন্য এখন ডিফল্ট ড্রাইবার হিসেবে রয়েছে Nouveau video driver. আরও বেশি রেজুলুশন দেয়ার সক্ষমতা এর আছে।

nVidia proprietary graphics drivers এর জন্য আরো বেশি সাপোর্ট

এবার তিন রকমের NVIDIA proprietary driver পাওয়া যাবে। সেগুলো হলঃ nvidia-current (190.53), nvidia-173, এবং nvidia-96, অতএব তিনটি ড্রাইভারকে এখন একইসাথে ইনস্টল করা যাবে। আর একই কনফিগারেশন ফাইল তিনটির জন্যই ব্যবহৃত হবে।

Startমেনু থেকে সোশাল নেটওয়ার্কিং
Twitter, identi.ca, Facebook এর আইকন এখন পাওয়া যাবে মূল প্যানেলের MeMenu'তে। এটা সাথে বিল্টইনভাবে Gwibber থাকার ফলে একাধিক কলামে এই সোশাল নেটওয়ার্কগুলোর বিভিন্ন ফীড তাৎক্ষণিকভাবে দেখা যাবে।

নতুন বুট অভিজ্ঞতা
এই ফিচারটি আগেও ছিল। Ubuntu 10.04 LTS beta রিলিজের পূর্ববর্তী খবরে এর বিস্তারিত ছবিও আছে।

নতুন ইন্ডিকেটর
নোটিফিকেশন এরিয়াতে নতুন কিছু ইন্ডিকেটর যোগ করা হয়েছে। ফলে ব্যবহারকারী যে এক নতুন অভিজ্ঞতা অনুভব করবেন, তা আর বোধহয় আলাদা করে বলতে হবে না।

নতুন থীম
Ambiance এবং Radiance নামক নতুন থীম থাকছে। সাথে থাকছে নতুন ওয়ালপেপার এবং নতুন আইকন সেট।

Ubuntu One File Syncing
টেবিলে রাখা কম্পিউটারের কোন একটি ফোল্ডারকে সিলেক্ট করুন। আর তা আগের উবুন্টু ওয়ান একাউন্টের সাথে সিনক্রোনাইজ করুন। ফলে ফাইল বা ফোল্ডার শেয়ারিং এর কাজটি এত সহজ হয়তো ইতিহাসে আর কখনও ঘটেনি। উবুন্টু ওয়ানের এই সুবিধাতে আরও বেশি ফিচার নতুন রিলিজে যোগ করা হয়েছে।

Ubuntu One Music Store
এর মাধ্যমে উবুন্টু কর্তৃপক্ষ মিউজিক ব্যবসাতে অংশীদারীত্ব অর্জন করছে। বাড়িতে বসে থেকেই বৈধ পথে মিউজিক ক্রয় করুন। আর উবুন্টু ওয়ান স্টোরেজে তা সংরক্ষণ করুন।
তথ্যগুলো নেয়া হয়েছে http://www.ubuntu.com/testing/lucid/beta2 পাতা থেকে।

বর্তমানে যে ভার্শন ব্যবহার করছেন, তা থেকে আপগ্রেড করতে চান? তাহলে টার্মিনালে লিখুন
update-manager -d
আর পরবর্তী নির্দেশনাগুলো অনুসরণ করুন।

যদি ISO ফাইল ডাউনলোড করতে চান, তাহলে নিচের লিংকগুলো ব্যবহার করুন।
দুটোই লাইভ সিডি। অতএব ইনস্টল করার আগে একবার নিরাপদে পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন।

উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) এর অফিসিয়াল ওয়েববাটন

আমরা এর আগে একটি পোস্ট প্রকাশ করেছিলম, ব্লগার ব্লগে উবুন্টুর কাউন্টডাউন বোতাম লাগানোর পদ্ধতি। কিন্তু তখন পর্যন্ত উবুন্টু'র কোন অফিসিয়াল ওয়েববাটন উবুন্টু ওয়েবসাইটে ছিল না। আমি শুধু পদ্ধতি ও কোথায় পাওয়া যাবে, তার ঠিকানা জানিয়েছিলাম। আজ আপনাদের জানাই যে উবুন্টুর ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) এর জন্য অফিসিয়াল ওয়েববাটন প্রকাশিত হয়েছে। ব্যাপক প্রতিযোগিতা শেষে, অন্য অনেক সুন্দর ও আকর্ষণীয় বাটনের মধ্য থেকে অবশেষে চারটি ডিজাইন বাছাই করা হলো। পছন্দের ছবির নিচে বর্ণিত কোড ব্লগের যে কোন একটি HTML/ Javascript গেজেটে স্থাপন করুন। আর ওপেন সোর্সের ধারণাকে সমর্থন করুন। রুদ্ধ দুয়ারের বন্দীশালা থেকে মুক্তির আনন্দকে উপভোগ করুন।
Ubuntu contdown webbanner
<script type="text/javascript" src="http://www.ubuntu.com/files/countdown/display.js"></script>
Ubuntu contdown webbanner
<script type="text/javascript" src="http://www.ubuntu.com/files/countdown/display1.js"></script>
Ubuntu contdown webbanner
<script type="text/javascript" src="http://www.ubuntu.com/files/countdown/display2.js"></script>
ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারী কিংবা যাদের ব্লগে/ ওয়েবসাইটে জাভাস্ক্রিপ্ট প্রদর্শনে বাধা বা নিষেধাজ্ঞা আছে তারা নিচের ছবিটি ব্যবহার করুন।
Ubuntu contdown webbanner
<a href="http://www.ubuntu.com/"><img src="http://www.ubuntu.com/files/countdown/static.png" width="180" height="150" alt="Ubuntu: For Desktops, Servers, Netbooks and in the cloud" border="0" /></a>
উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) এর জন্য এই নতুন ওয়েববাটনের খবরটা প্রকাশিত হয়েছে Help spread the word about Ubuntu এই পাতাটিতে।
উবুন্টু লিনাক্স ব্যবহার করুন। ভাইরাস মুক্ত থাকুন। সফটওয়ারের স্বাধীনতাকে সমর্থন করুন। একটি জ্ঞানভিত্তিক মুক্ত বিশ্বের ধারণাকে জোরালো করে গড়ে তুলুন।

# লিনাক্স বিষয়ক আরও কয়েকটি ওয়েববাটন পাবেন উবুন্টু আর মিন্ট লিনাক্সকে প্রচার করুন পোস্টে।

উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) এর ডিফল্ট সার্চইঞ্জিন পরিবর্তন করা হলো

উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) এর ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে Yahoo সার্চকে গ্রহণ করার কথা ছিল। আর এ নিয়ে বিতর্ক কম ছিল না। বিশ্বের বেশিরভাগ মানুষ অনলাইনে কোন কিছু খোঁজার জন্য গুগলকে প্রথম পছন্দ হিসেবে রেখে দেয়। কিন্তু উবুন্টু কর্তৃপক্ষ নতুন কিছু দেয়ার কথা বলে ইয়াহু সার্চকে তাদের ডিফল্ট সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে পছন্দ করে। সঙ্গে সঙ্গে সারা বিশ্বের গুগলপ্রেমীদের প্রতিবাদ শুরু হয়। উবুন্টু কর্তৃপক্ষ তাদের সিদ্ধান্তে অনড় ছিল। কিন্তু সম্প্রতি এই সিদ্ধান্ত পরিবর্তিত হয়েছে। একটি ঘোষণায় বলা হয়েছে যে,
Each release we determine the best default web browser and the best default search engine for Ubuntu. When choosing the best default search provider, we consider factors such as user experience, user preferences, and costs and benefits for Ubuntu and the browsers and other projects that make up Ubuntu. Up until Ubuntu 9.10 these defaults have always been Firefox and Google. Earlier in the 10.04 cycle I announced that we would be changing the default search provider to Yahoo!, and we implemented that change for several milestones.

However, for the final release, we will use Google as the default provider. I have asked the Ubuntu Desktop team to change the default back to Google as soon as reasonably possible, but certainly by final freeze on April 15th.

It was not our intention to "flap" between providers, but the underlying circumstances can change unpredictably. In this case, choosing Google will be familiar to everybody upgrading from 9.10 to 10.04 and the change will only be visible to those who have been part of the development cycle for 10.04.

ঘোষণাটি প্রকাশিত হয়েছে এখানে

ব্লগার ব্লগে উবুন্টুর কাউন্টডাউন বোতাম লাগানোর পদ্ধতি

উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিঙক্স) এই এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখে প্রকাশ হতে যাচ্ছে। ইতিমধ্যে সারা পৃথিবীর ওপেন সোর্স প্রেমীদের মধ্যে এই নিয়ে সাড়া পড়ে গেছে। সবাই অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে উবুন্টু'র এই নতুন রিলিজটির জন্য।

আশা করি আপনিও নতুন উবুন্টু'র রূপ দেখার জন্য বেশ উত্তেজনা বোধ করছেন। অন্যান্য রিলিজের চাইতে এই রিলিজটি নিয়ে আলোচনা, সমালোচনার ঝড় একটু বেশি দেখা যাচ্ছে। এর কারণ শুধু যে উবুন্টু ১০.০৪তে দীর্ঘ মেয়াদী সাপোর্ট রয়েছে সে জন্য নয়। এটা ছাড়াও এবার বেশ কিছু নতুন পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে। কি কি পরিবর্তন আসতে যাচ্ছে, তার সংক্ষিপ্তাসার জানতে "বাংলা হ্যাকস" ব্লগের উবুন্টু লেবেলটিতে একবার চোখ বুলিয়ে দেখতে পারেন।

আগামী ২৯ তারিখে উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) প্রকাশিত হবে এটা পুরনো খবর। কিন্তু ঠিক কখন এটা ডাউনলোডের জন্য অনলাইনে ছাড়া হবে, তার নির্দিষ্ট কোন সময় নেই। তাই হয়তো যখন আপনি খবরটা জানলেন, তখন হয়তো ইতিমধ্যে অনেকের হাতে পৌঁছে যাবে। আপনি পিছনে পড়ে যাবেন। তাছাড়াও নির্দিষ্ট সময়ক্ষণটি হয়তো আপনি আপনার ব্লগের পাঠকদেরকে জানাতে চান। কিন্তু কিভাবে? সেই উপায়টিই আজ আমি আপনাদের জানাবো।

উল্লেখ্য যে এখনও উবুন্টু ১০.০৪ এর জন্য কোন কাউন্টডাউন ব্যানার/ ওয়েববাটন প্রকাশ করা হয়নি। আগামী দু'একদিনের মধ্যেই প্রকাশ করা হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। আপনারা ইচ্ছে করলে নিচের কোডটিই বসিয়ে দিতে পারেন। একই কোড দিয়ে ১০.০৪ এর ওয়েববাটন কাজ করবে।

ব্লগের HTML/ Javascript গেজেটে নিচের ডিজাইন তিনটির মধ্যে যেটা পছন্দ হয়, সেটার সংশ্লিষ্ট কোড কপি করে পেস্ট করে দিন। একটি ওয়েব বাটন দিনক্ষণ ও সময় প্রতিদিন পরিবর্তন হয়ে ঠিক ঠিক ভাবে জানিয়ে দেবে। আপনি ও আপনার ব্লগ পাঠক সঠিক সময়টি তাৎক্ষণিকভাবে জেনে নিতে পারবেন।

উবুন্টুর মূল সাইট থেকে তিনপ্রকার ডিজাইনের বাটন পাওয়া যাচ্ছে। আপনার যেটা পছন্দ হয়, তার ঠিক নিচের কোডটি ব্লগের HTML/ Javascript Gadget এর মধ্যে স্থাপন করুন।

ডিজাইন ০১:
Ubuntu countdown banner
<script type="text/javascript" src="http://www.ubuntu.com/files/countdown/display.js"></script>
ডিজাইন ০২:
Ubuntu countdown button
<script type="text/javascript" src="http://www.ubuntu.com/files/countdown/display2.js"></script>
ডিজাইন ০৩:
Ubuntu countdown static button
<a href="http://www.ubuntu.com/"><img src="http://www.ubuntu.com/files/countdown/static.png" width="180" height="150" alt="Ubuntu: For Desktops, Servers, Netbooks and in the cloud" border="0" /></a>
যাদের ব্লগ বা সাইটে জাভাস্ক্রিপ্ট ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা আছে, (বিশেষতঃ ফ্রি ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহারকারী ব্লগারদের জন্য এই বাটনটি) তারা এই কোডটি ব্যবহার করুন।

আপনি ইচ্ছে করলে উবুন্টু ১০.০৪ (লুসিড লিংক্স) এর জন্য আনফিসিয়াল বাটন ব্যবহার করতে পারেন। এর জন্য ভিজিট করুন এই লিংক। এখানে জার্মান ও ইংরেজি দুইভাষার বাটন রয়েছে। বাটনটি দেখতে নিচের ছবির মতোঃ
Ubuntu 10.04 Lucid Lynx countdown webbuttonএই সাইটে থাকা তিনরকম বাটনের কোড নিচে দেয়া হল।
205x135 আকারের, ভাষা: ইংরেজি:

<img alt="Ubuntu 10.04 Countdown" src="http://countdown.immanuel-peratoner.de/index.php" />
205x135 আকারের, ভাষা: জার্মান:

<img alt="Ubuntu 10.04 Countdown" src="http://countdown.immanuel-peratoner.de/index.php?lang=de" />

180x150 আকারের, ভাষা: ইংরেজি:
<img alt="Ubuntu 10.04 Countdown" src="http://countdown.immanuel-peratoner.de/index.php?type=smallrect" />

আপনার পছন্দ ও ব্লগের সাইডবারের আকার অনুযায়ী যে কোন একটা ব্যবহার করুন।

# বাটনগুলি নেয়া হয়েছে উবুন্টু সাইটের এই পাতা থেকে।
# যেসব বাটন প্রস্তাব করা হয়েছে, সেগুলো দেখতে ভিজিট করুন এই পাতাটি

প্রথম থেকে উবুন্টুর কোডনাম ও মাসকটগুলোর ছবি

উবুন্টু লিনাক্স তার প্রথম রিলিজ থেকে দুইটি শব্দের নামকে কোডনাম হিসেবে প্রকাশ করে আসছে। প্রত্যেকবার কোন না কোন একটি প্রাণীকে উবুন্টুর মাসকট হিসেবে গ্রহণ করেছে। দুইটি শব্দের মধ্যে প্রথমটি থাকছে একটি বিশেষণ এবং পরেরটি বিশেষ্য; সেই রিলিজের জন্য গৃহিত প্রাণীর নাম। এভাবে নামকরণ করার মাধ্যমে উবুন্টু আসলে একটি স্বতন্ত্র দৃষ্টিভঙ্গী ও নিজস্ব বৈশিষ্ট্য অন্যদের সামনে তুলে ধরতে চায়। প্রথম দুইবার বাদ দিয়ে পরেরগুলো থেকে ইংরেজি বর্ণের ক্রম অনুসারে নাম নেয়া হচ্ছে। সেই হিসেবে তৃতীয় রিলিজ শুরু হয়েছে B বর্ণটি দিয়ে বর্তমানের উবুন্টু ৯.১০ রিলিজটির নাম K দিয়ে Karmic Koala আর আগামী ১০.০৪ রিলিজটির নাম হতে যাচ্ছে M দিয়ে। সে খবর আপনারা আগেই জেনেছেন। আপনারা জানেন উবুন্টু ১০.১০ এর কোডনাম "ম্যাভেরিক মিরক্যাট" হিসেবে ফাইনাল করা হয়ে গেছে।

আজকের পোস্টে আমি আপনাদের সামনে উবুন্টুর প্রথম রিলিজ থেকে আজ এবং আগামী পর্যন্ত যে কটি কোডনাম এবং মাসকট হিসেবে যে প্রাণীগুলোকে ব্যবহার করেছে, তার সবকটির ছবি উপহার দেব। উল্লেখ্য যে উবুন্টুর প্রত্যেকটি রিলিজ ছয় মাস পরপর নিয়মিতভাবে প্রকাশ করা হয়। এবং তার সময়ক্ষণ নির্দিষ্ট আছে। বৎসরের এপ্রিল ও অক্টোবার মাসকে উবুন্টুর নতুন ভার্সনের প্রকাশের মাস বলে ঠিক করে রাখা আছে।

Ubuntu warty warthog 4.10Ubuntu 4.10 Warty Warthog

Ubuntu 5.04 Hoary HedgehogUbuntu 5.04 Hoary Hedgehog
ubuntu 5.10 Breezy BadgerUbuntu 5.10 Breezy Badger
Ubuntu 6.06 Dapper DrakeUbuntu 6.06 Dapper Drake
এই রিলিজটি দুইমাস পরে প্রকাশ হয়েছে। কিন্তু এটাতে ৫ বৎসরের সাপোর্ট ছিল।

Ubuntu 6.10 Edgy EftUbuntu 6.10 Edgy Eft
 Ubuntu Feisty FAWN 7.04Ubuntu 7.04 Feisty Fawn
Ubuntu 7.10 Gutsy GibbonUbuntu 7.10 Gutsy Gibbon
Ubuntu 8.04 Hardy HeronUbuntu 8.04 Hardy Heron
Ubuntu 8.10 Intrepid IbexUbuntu 8.10 Intrepid Ibex
Ubuntu 9.04 Jaunty JacalopeUbuntu 9.04 Jaunty Jackalope
Ubuntu 9.10 Karmic KoalaUbuntu 9.10 Karmic Koala

এই এপ্রিল মাসের ২৯ তারিখে উবুন্টুর লং টার্ম সাপোর্টযুক্ত রিলিজ প্রকাশিত হতে যাচ্ছে। এর কোড নাম Lucid Lynx (লুসিড লিংক্স)
Ubuntu 10.04 Lucid LynxUbuntu 10.04 Lucid Lynx

সময়ের ধারাবাহিকতা মেনে এই বৎসরের অক্টোবর মাসে প্রকাশিত হবে উবুন্টু ১০.১০ রিলিজ। এর কোড নাম নির্বাচন করা হয়েছে Maverick Meerkat
Ubuntu 10.04 Maverik Meerkatআপনারা উবুন্টুর কোডনামগুলোর সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ও আগামীর উবুন্টু রিলিজগুলোর কোডনামের বিস্তারিত খবরাখবর পাবেন উবুন্টু উইকি থেকে।
আপনি কি আগামী রিলিজগুলোর ( ১১.০৪, ১১.১০, ১২.০৪, ১২.১০) জন্য কোন নাম প্রস্তাব করতে চান? তাহলে তাও করতে পারেন। বিস্তারিত দেখুন উবুন্টু উইকির পাতাটিতে।
পোস্টটি লিখতে এই লেখাটির সাহায্য নেয়া হয়েছে।
 

পাঠকের প্রতিক্রিয়া

কিছু কথা

সফটওয়ার ও ওয়েবওয়ারের বিভিন্ন টিপ্‌স, টিউটোরিয়াল, হ্যাক্‌স, টেমপ্লেট বা থিম্‌স ইত্যাদি নিয়েই আমি ব্লগ লিখছি। আমার প্রধান আগ্রহ ব্লগিং টিপস। এছাড়াও প্রযুক্তির বিচিত্র বিষয় নিয়ে মত বিনিময়, সমস্যা ও তার সমাধান এবং আলোচনা করার জন্য এই ব্লগ খুলেছি। আশা করি আপনি নিরাশ হবেন না। এই ব্লগের সব লেখাগুলো যেকোন মিডিয়ায় এই লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশ করতে পারবেন। বিস্তারিত পড়ুন....

Search This Blog

© 2009-2014 Bangla Hacks | Design by: Bangla Hacks. Powered by: Blogger