গুগলের পর দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভিজিট হয় যে সাইটে সেই সামাজিক যোগাযোগের সাইট ফেসবুকের ৬ষ্ঠ জন্মদিন হয়ে গেল ৪ ফেব্রুয়ারি তারিখে।
২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারিতে ২০ বৎসর বয়সের Mark Zuckerberg হার্ভার্ডে পড়াকালীন সময়ে ফেসবুকের জন্ম দেন। ডরমিটরির নিজস্ব রুম থেকে ফেসবুকের যাত্রা শুরু হয়। প্রথমে এর নাম ছিল The Face Book ঠিকানা ছিল thefacebook.com, কিন্তু পরবর্তিতে নামের আগের The বাদ দিয়ে থেকে যায় শুধু facebook নামটি। ঘনিষ্ঠ বন্ধু Eduardo Saverin, Dustin Moskobitz এবং Chris Hughes কে সাথে নিয়ে Mark Zuckerberg এই নেটওয়ার্কটি তৈরি করেছিলেন।Facebook celebrates 6(six) birthday. Happy birthday facebook.
প্রথমদিকে তাদের উদ্দেশ্য ছিল হার্ভার্ডের বন্ধুদের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ রক্ষা এবং বিভিন্ন তথ্যাবলী বিনিময়। কলেজের বন্ধুরা কাজের চাপে ব্যক্তিগত যোগাযোগ যেন রক্ষা করতে পারে, তার জন্য একটা মজার নেটওয়ার্ক তৈরি করেছিল তারা। কিন্তু ধীরে ধীরে আজ এই ফেসবুক বিশ্বের একনম্বর সামাজিক নেটওয়ার্কে পরিণত হয়েছে। General pupil, business person, actor, actress, political face everybody like facebook.
সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে, ব্যবসায়ী, অভিনেতা, অভিনেত্রী, রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব, মন্ত্রী, প্রেসিডেন্ট সকলের কাজে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে ফেসবুক। সবাই পরিচিতদের সাথে নিয়মিত সম্পর্ক রক্ষা করা, পুরনো বন্ধুদেরকে খুঁজে বের করা ও নতুন নতুন বন্ধুত্ব গড়ে তোলার জন্য, তথা পরিচিতির পরিধি বাড়ানোর জন্য প্রতিদিন ফেসবুকের দ্বারস্থ হন।
এছাড়াও আড্ডা, গল্প, প্রতিদিনের জীবন, মনের নানারকম ভাবনা, রচিত গল্প, কবিতা, উপন্যাস, নতুন পণ্য, উৎপাদিত পণ্য, নতুন ভাবনা, নতুন উদ্ভাবন সবকিছু শেয়ার করার জন্য ফেসবুক তুলনা করা যায় এমন সাইট অনলাইনে আর একটাও নেই।
বর্তমানে ফেসবুকের সদস্যসংখ্যা ৪০০ মিলিয়নেরও বেশি। দিন দিন এই সংখ্যা বেড়েই চলেছে। আর প্রত্যেকদিন বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ফেসবুকে লগইন করে ১৭৫ মিলিয়নেরও বেশি সদস্য। লক্ষ লক্ষ বিশ্ববাসীকে এককাতারে এনেছে যে ফেসবুক, তার জন্মদিনে জানাই শুভেচ্ছা।Happy 6th birthday, facebook.