ব্যাপারটা অবশ্যই ব্যাবহারকারীদেরকে অত্যন্ত অস্বস্তির মধ্যে ফেলে দিয়েছে। কারন, একাধিক জিমেইল একাউন্ট প্রয়োজন হতেই পারে। যেমন আমার নিজস্ব ৪০'টির বেশি জিমেইল একাউন্ট আছে যা বিভিন্ন কাজে ব্যাবহৃত হয়। আমি এই নালিশ পেয়েই অনেকগুলি জিমেইল একাউন্ট বানাতে বসেছিলাম, এবং আমাকেও একাউন্ট ভেরিফাই করতে বলেছে গুগল। গুগলের এই নিয়ম বদলের পরে অস্বস্তিকর ঘটনাটি সব দেশের ব্যাবহারকারীদের ক্ষেত্রে হচ্ছেনা। এশিয়া মহাদেশের নির্দিষ্ট কিছু দেশে এই সমস্যার দেখা মিলেছে বেশি করে। গুগল কবে যে নিয়ম বদলেছে এবং কেন, কোন কোন দেশের জন্য সেটা জানা যায়নি। আমি এইটুকু জানতে পেরেছি যে প্রচুর জিমেইল একাউন্ট দিয়ে অপরাধমূলক কর্মকান্ড হয়েছে এবং সেইসব ঠেকাতেই এই নতুন ব্যাবস্থা নিয়েছে গুগল। আপনারা এই ধরনের সমস্যার সমাধান করবেন কিভাবে? আপাতত খুব সহজ পদ্ধতি জানাচ্ছি।
আমেরিকায় এই সমস্যা নেই। তাই, আমেরিকাবাসী বন্ধুদেরকে অনুরোধ জানাতে পারেন তারা একটি জিমেইল একাউন্ট খুলে দেবে আপনাকে। কিম্বা, যদি আপনি নিজে প্রক্সি ব্যাবহার করতে পারেন, তাহলে নিজেও অনায়াসে নতুন জিমেইল একাউন্ট খুলে নিতে পারবেন - এতে করে একেবারেই মোবাইল ফোনে ভেরিফাই করতে হবেনা। অন্যান্য যেসব দেশের IP Address ব্যাবহার করলে সমস্যা হবেনা সেগুলি হচ্ছে ফ্রান্স, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, গ্রেট ব্রিটেন ইত্যাদি। এইসব দেশগুলির IP Address ব্যাবহার করলে একাউন্ট ভেরিফাই করতে হবেনা, কিন্তু সেক্ষেত্রে গুগল পরে জেনে যাবে ব্যাবহারকারী কোন দেশে বসে ব্যাবহার করছেন, সেক্ষেত্রে তারা একাউন্ট বাতিল করছেন কিনা সেটা এখনও জানা নেই আমার। ধীরে ধীরে জানা যাবে সব। আপাতত, ইচ্ছেমতো একাউন্ট বানিয়ে রাখুন (কবে কোন কারনে প্রয়োজনে লাগবে তা আমরা কেউ বলতে পারিনা)।