গুগল ক্রোম ওপেন সোর্স হবে। হালকা আকারের এই OSটি netbookকে টার্গেট করে তৈরি করা হবে। এই বৎসরের শেষের দিকে এই অপারেটিং সিস্টেমের সোর্সকোড উন্মুক্ত করে দেয়া হবে। আর নোটবুক কম্পিউটারেরর সাথে ইনস্টল অবস্থায় বাজারে আসবে আগামী বছরের (২০১০ সালের) মাঝামাঝি সময়ে।
গুগল ক্রোম অপারেটিং সিস্টেমে দ্রুততা, সহজবোধ্যতা এবং নিরাপত্তার দিকটি বিশেষভাবে বিবেচনা করা হবে। এটাকে এত হালকাভাবে তৈরি করা হবে যে কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে ওয়েব জগতে প্রবেশ করতে সক্ষম হবে। ডেস্কটপ বা অপারেটিং সিস্টেমটির বিভিন্ন দিক এত মিনিমাল হবে যে ব্যবহারকারী তৃপ্ত না হয়ে পারবে না। গুগল এই OS এর সমস্ত ডিজাইন/ স্ট্রাকচার লিনাক্স কার্নেল এর উপর ভিত্তি করে এমনভাবে তৈরি করবে যাতে ভাইরাস, ম্যালওয়ার, স্প্যাম ইত্যাদি নিয়ে কোনরকম ভোগান্তি পোহাতে না হয়।
এই অপারেটিং সিস্টেমটির সাথে গুগলের অন্য অপারেটিং সিস্টেম অ্যানড্রয়েড (Android)এর কোন সম্পর্ক নাই। অ্যানড্রয়েড তৈরি করা হয়েছ বিভিন্ন রকমের মোবাইল ফোন ও সীমিত সংখ্যক কয়েকটি ডিজাইনের নোটবুকের জন্য।
গুগল তাদের অফিসিয়াল ব্লগে লিখেছে যে,
We hear a lot from our users and their message is clear — computers need to get better. People want to get to their email instantly, without wasting time waiting for their computers to boot and browsers to start up. They want their computers to always run as fast as when they first bought them. They want their data to be accessible to them wherever they are and not have to worry about losing their computer or forgetting to back up files. Even more importantly, they don't want to spend hours configuring their computers to work with every new piece of hardware, or have to worry about constant software updates. And any time our users have a better computing experience, Google benefits as well by having happier users who are more likely to spend time on the Internet.আগামী বৎসরের মাঝামাঝি সময়েই বোঝা যাবে গুগলের এত অঙ্গীকার কতটুকু প্রত্যাশা পূরণ করতে পারে।
এ বিষয়ে মূল ঘোষণাটি রয়েছে গুগলব্লগে ।
গুগল তাদের অপারেটিং সিস্টেমটিকে সম্পূর্ণ বিনে পয়সায় দেবার অঙ্গীকার করেছে। তাদের সাথ পার্টনার হিসেবে নিয়েছে Acer, Adobe, ASUS, Freescale, Hewlett-Packard, Lenovo, Qualcomm, Texas Instruments এবং Toshiba'র মত বড় বড় বিখ্যাত কোম্পানিকে। এ বৎসরের শেষের দিকে যখন সম্পূর্ণ অপারেটিং সিস্টেমের সোর্সকোড উন্মুক্ত করে দেয়া হবে, তখন আগ্রহীরা নানারকম পরীক্ষা নিরীক্ষা চালাতে পারবেন। এ বিষয়ে আরও পড়ুন এখানে।