বেটা ব্লগার ও ক্লাসিক ব্লগার

বিশ্বের সর্বশ্রেষ্ঠ সার্চ ইঞ্জিন (Search Engine) গুগলের (Google) আর একটি গ্রাহক সেবা হলো ব্লগার.কম (Blogger.com)। এই সুবিধাটির মাধ্যমে একটি গুগল একাউন্টধারী (Google Account) একসাথে অনেকগুলো সুযোগ ভোগ করে থাকেন। ব্যক্তিগত মতামত, সামাজিক মতামত প্রকাশ, কোন সামাজিক কার্যক্রমে সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ, পারস্পরিক সহযোগিতার হাত উন্মুক্ত করা ইত্যাদি বিষয় অনলাইনে (Online) সারতে পারেন। প্রথমদিকে ব্লগারের যে ভার্সনটি গ্রাহক সাধারণের জন্য উন্মুক্ত ছিল তা হল ক্লাসিক ব্লগার। পরবর্তীতে এর বিভিন্ন রকম কারিগরী উন্নয়ন ঘটিয়ে একে বর্তমান কাঠামোয় আনা হয়েছে। বর্তমান ব্লগারের সফটওয়ারটি এইচটিএমএল কোডের (HTML Code) পাশাপাশি বেশ কিছু নিজস্ব কোড ব্যবহার করে। কিন্তু পুরোনো ক্লাসিক ব্লগার ছিল সম্পূর্ণভাবে এইচটিএমএল কোডের মাধ্যমে গড়ে তোলা।

আপনি যদি এই মুহূর্তে একটি ব্লগ (Blog) তৈরি করেন, তাহলে তা তৈরি হবে নতুন ব্লগার কাঠামোর উপর। এর নাম বেটা ব্লগার (Beta Blogger)। এই ব্লগারটিই আধুনিক, অধিক কার্যকরী ও অসংখ্য সুবিধাসম্পন্ন। তারপরও যদি আপনি ক্লাসিক ব্লগার (Classic Blogger) ব্যবহার করতে চান, তাহলে কোন সমস্যা নেই। মাউসের মাত্র কয়েকটি ক্লিকে আপনি নতুন বেটা ব্লগার থেকে পুরনো ক্লাসিক ব্লগারে পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারেন। আপনার যদি কিছু এইচটিএমএল বিষয়ে নুন্যতম কোন ধারণা থাকে, তাহলে এই ক্লাসিক ব্লগারের থিমকে (Theme) মনের মতো করে ইচ্ছামতো সাজিয়ে নিতে পারেন।

বেটা ব্লগারের মতো ক্লাসিক ব্লগারের সাধারণ সুবিধাগুলো সব একই রকম। বাহ্যিকভাবে অর্থাৎ দেখতে কিছু পরিবর্তন ছাড়া আর প্রায় সব বিষয়ে আপনি এই ক্লাসিক ব্লগার থেকে সুবিধাগুলো আদায় করে নিতে পারবেন। পার্থক্য শুধুমাত্র তার গড়নে। অর্থাৎ বেটা ব্লগার তৈরি হয়েছে নতুন সফটওয়ার দিয়ে আর ক্লাসিক ব্লগার তৈরি হয়েছে পুরনো সফটওয়ার (Software) দিয়ে।


ছবি: ০১
আগ্রহীরা ব্লগারের এইচটিএমএল এডিট (Html Edit) করার পাতায় গিয়ে একেবারে নিচের দিকে তাকালে উপরের ছবির মতো (ছবি: ০১) একটি জায়গা দেখবেন। লেখা রয়েছে Revert to Classic template, এখানে ক্লিক করলে একটি সতর্কবার্তা আসবে। Ok করুন। আপনার ব্লগারের টেমপ্লেট সঙ্গে সঙ্গে ক্লাসিক টেমপ্লেটের রূপান্তর হয়ে যাবে।



ছবি: ০২। বেটা ব্লগারের লেআউট

ছবি: ০৩। ক্লাসিক ব্লগারের লেআউট/ টেমপ্লেট



উপরের ছবিদুটো মধ্যে একটি প্রধান পার্থক্য লাল রঙের গোলাকার চিহ্ন (Red Oval Sign) দিয়ে দেখানো হয়েছে। ০২ নং ছবিতে পোস্টিং (Posting) ও সেটিংস (Settings) ট্যাবের পাশে লেআউট ট্যাব (Layout Tab) রয়েছে। কিন্তু ০৩ নং ছবিতে লেআউট এর পরিবর্তে রয়েছে টেমপ্লেট ট্যাব (Template Tab)। এর পাশাপাশি এইচটিএমএল এডিট (HTML Edit) করার জায়গাটির ডিজাইনেও রয়েছে ব্যাপক পার্থক্য। প্রোগ্রামিংয়ে অভিজ্ঞরা এইচটিএমএল সম্পাদনা করার জায়গাটিতে ইচ্ছেমতো কোডিং (Coding) করে নিজেদের ব্লগটির সৌন্দর্য ও কাঠামো পরিবর্তন করতে পারবেন।

 

পাঠকের প্রতিক্রিয়া

কিছু কথা

সফটওয়ার ও ওয়েবওয়ারের বিভিন্ন টিপ্‌স, টিউটোরিয়াল, হ্যাক্‌স, টেমপ্লেট বা থিম্‌স ইত্যাদি নিয়েই আমি ব্লগ লিখছি। আমার প্রধান আগ্রহ ব্লগিং টিপস। এছাড়াও প্রযুক্তির বিচিত্র বিষয় নিয়ে মত বিনিময়, সমস্যা ও তার সমাধান এবং আলোচনা করার জন্য এই ব্লগ খুলেছি। আশা করি আপনি নিরাশ হবেন না। এই ব্লগের সব লেখাগুলো যেকোন মিডিয়ায় এই লাইসেন্সের আওতায় প্রকাশ করতে পারবেন। বিস্তারিত পড়ুন....

Search This Blog

© 2009-2014 Bangla Hacks | Design by: Bangla Hacks. Powered by: Blogger