ব্লগারের ড্যাশবোর্ডে (Dashboard) সেটিংশ (Settings) অপশনটি হলো এর প্রধান চাবিকাঠি। এইখাতে থাকা বিভিন্ন বাটনের সঠিক প্রয়োগের মাধ্যমে আমরা নিজেদের ব্লগটিকে সঠিকভাবে সকলের নিকট উপস্থাপন করতে পারবো। ব্লগারের নাম (Blog Header/ Name/ Title), উপনাম বা বর্ণনা (Sub Header/ Description), প্রকাশের ঠিকানা (Blog URL), মন্তব্য করার অধিকার (Comment), আর্কাইভ (Archive) করা, ব্লগ দেখার অধিকার নিয়ন্ত্রণ (Blog Viewer), ই- মেইলের (Email) মাধ্যমে ব্লগে পোস্ট করা ইত্যাদি বিষয় এই সেটিংস অংশ থেকে নিয়ন্ত্রণ (Control) ও প্রয়োগ (Active) করতে পারবো। সেটিংশ অংশটিকে সঠিকভাবে বুঝতে পারলে আপনার ব্লগ হয়ে উঠবে অনেক বেশি পাঠক সহায়ক (User Freindly), ব্রাউজার (Browser) উপযোগী, সার্চ ইঞ্জিনের (Search Engine) নিকট সহজলভ্য ও সাবলীল।
এখানে প্রধান সাবমেনুগুলো (Submenu) হল:
- Basic
- Publishing
- Formatting
- Comments
- Archiving
- Site Feed
- OpenID
- Permissions
(*) Basic: ব্লগের কিছু সাধারণ প্রাথমিক সেটিংস পরিবর্তন করতে পারবেন এখান থেকে। Basic অপশনটির অন্তর্গত সুবিধাগুলো হল:
Title: এখানে আপনার ব্লগের জন্য একটি সুন্দর, উপযোগী নাম লিখুন।
Description: ব্লগটির সামান্য কিছু বর্ণনা এখানে লিখে দিতে পারেন। এই বর্ণনাটুকু পড়ে পাঠকসমাজ আপনার ব্লগ সম্পর্কে একটি প্রাথমিক ধারণা পেতে পারবেন।
Add your blog to our listings?: ব্লগার কোম্পানী আপনার কাছে জানতে চাইছে যে তাদের তালিকায় আপনার ব্লগটিকে রাখতে চান কি না। সাধারণভাবে এর উত্তর হ্যাঁ হবে। এর ফলে আপনার ব্লগটি ব্লগারের তালিকাবদ্ধ হয়ে যাবে। ফলে ব্লগটিকে সার্চ ইঞ্জিনের মাধ্যমে সহজে ও দ্রুত খুঁজে পাওয়া যাবে।
Let search engines find your blog?: গুগল আপনাকে এই প্রশ্নটি করেছে। গুগল কোম্পানী ব্লগার প্লাটফরমটি পরিচালনা করে। গুগলের প্রধানতম চেষ্টা হল তাদের সার্চ ইঞ্জিনটিকে শক্তিশালী করা। আর এই লক্ষ্যে যত বেশি ওয়েব সাইট বা ব্লগ এই সার্চ ইঞ্জিনের পাঠের আওতায় আসবে, ততবেশি তথ্য সহজলভ্য হবে। আপনার ব্লগটি যদি সার্চ ইঞ্জিন পড়তে না পারে, বা আপনি যদি এই প্রশ্নটির উত্তর 'না' দিয়ে দেন, তাহলে আপনার ব্লগকে গুগল দ্বারা সার্চ করে খুঁজে পাওয়া যাবে না। তাই অনলাইনে আপনার ব্লগটিকে সহজে খুঁজে পাওয়ার জন্য এই প্রশ্নের উত্তর 'হ্যাঁ' দিয়ে দিন।
Show Quick Editing on your Blog?: এটার উত্তরও হবে হ্যাঁ। এর ফলে আপনি ড্যাশবোর্ডে না ঢুকেও ব্লগের ফ্রন্টপেজ থেকে লগইন করে কোন পোস্টকে সম্পাদনা করতে পারবেন।
Show Email Post links?: যদি আপনি এখানে হ্যাঁ সিলেক্ট করেন, তাহলে আপনার ব্লগ পোস্টের ঠিক নিচে একটি ইমেইল করার বাটন থাকবে। এর মাধ্যমে কোন একটি পোস্টকে ব্লগপাঠকরা সরাসরি তাদের বন্ধুকে ই-মেইল করে পাঠাতে পারবে।
Adult Content?: আপনার ব্লগটিতে কি কোন প্রাপ্তবয়স্কদের উপযোগী বস্তু আছে? আপনি কি এমন কোন লেখা লিখেছেন বা এমন কোন ছবি পোস্ট করেছেন, যা অপ্রাপ্তবয়স্কদের উপযোগী নয়। আপনার ব্লগ কি শুধুমাত্র প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য তৈরি করা হয়েছে? এই ব্লগ কি শিশু-কিশোরদের জন্য নয়? যদি এর উত্তর হ্যাঁবাচক হয় তাহলে Adult Contet লেখার পাশে ড্রপডাউন মেনু থেকে হ্যাঁ নির্বাচন করুন। সাধারণভাবে এটা না থাকে।
নিচের দিকের অংশে Global Settings (Applies to all of your blogs.) নামে একটি অংশ আছে। এই অংশের অপশনগুলো আপনার সব ব্লগের জন্য প্রযোজ্য হবে।
Show Compose Mode for all your blogs?: এখানে হ্যাঁ চিহ্নিত করে দিন। এর মাধ্যমে আপনি যেমন দেখছেন ঠিক তেমনভাবেই লেখাগুলো প্রকাশিত হবে। একে সংক্ষেপে wysiwyg editor বলে।
Enable transliteration?: পোস্ট লেখার সময় আপনি যদি ইংরেজিতে লেখেন তাহলে তা স্বয়ংক্রিয়ভাবে অন্য ভাষায় পরিবর্তন করার জন্য এই অংশটিকে ব্যবহার করতে হবে। এখনও বাংলা ভাষার জন্য এই সুবিধাটি প্রযোজ্য হয় নি। তাই এখানে আপনার সেট করার মতো কিছু নেই।
Save Settings: সবশেষে Save Settings বাটনে ক্লিক করে আপনার পরিবর্তনগুলো সেভ করে নিন।
আপনি কি কোন কারণে ব্লগটিকে মুছে ফেলতে চান? তাহলে Basic অংশের সর্বনিচের অংশটিকে আপনার ব্যবহার করতে হবে।
Delete This Blog: এই বাটনে ক্লিক করুন। ব্লগারের প্রশ্নের উত্তরে হ্যাঁ বলে ব্লগটিকে মুছে দিন। ব্লগটি মুছে যাওয়ার সাথে সাথে আপনার ড্যাশবোর্ডের তালিকা থেকেও উধাও হয়ে যাবে।
আজ আমরা Settings অংশের শুধুমাত্র Basic অপশনগুলো নিয়ে আলোচনা করলাম। পোস্টের আকার বড় হবার জন্য বাকীগুলো আলোচনা করা সম্ভব হলো না। পারবর্তিতে একে একে বাকি মেনুগুলো নিয়েও আলোচনা করা হবে।