আজ এখানে এমন একটা সংবাদ তুলে ধরছি এতে আমার যতদুর বিশ্বাস গর্বে সবার বুক ভরে যাবে। সংবাদটির শিরোনাম এমনঃ “নিউইয়র্ক ট্যেক্সি ড্রাইভার ২১,০০০ মার্কিন ডলার ফেরত দিয়েছে যা তার ট্যেক্সিতে ফেলে গেছে”।
বিবরন এমনঃ একজন ট্যেক্সি ড্রাইভার গত ক্রিস্টমাস সন্ধ্যা কাটিয়েছে প্রায় ৫০ মাইল গাড়ি চালিয়ে একজন বয়স্কা মহিলাকে খুজে বেড়িয়ে যিনি তার ট্যেক্সিতে হাজার ডলার ফেলে গেছেন, এর বিনিময়ে সেধে দেয়া পুরস্কার নিতেও অসম্মতি জানিয়েছে।
মোঃ মুকুল বা আসাদুজ্জামান প্রায় ৫০ মাইল গাড়ি চালিয়েছে এক ভুলোমনের যাত্রী ইতালিয়ান দিদিমাকে তার $২১,০০০ ফেরত দেয়ার জন্য যা সে তার ট্যেক্সিতে ফেলে গিয়েছিল।
৭২ বতসর বয়স্কা ইটালিয়ান ফেলিসিয়া লিটেরি নিউইয়র্ক গিয়েছিলেন তার আত্মিয় স্বজনের সাথে ক্রিস্টমাস উদযাপনের উদ্দেশ্যে। নগরীর বাইরে পেন স্টেশনে ট্যেক্সিতে এই ডলার ফেলে নেমে যায়।
পুলিশ জানিয়েছে মিসেস ফেলিসিয়া তার ৬ জন আত্মিয়ের সাথে দেখা করার খরচ বাবদ এই অর্থ ফেরত পাবার আশা ছেরে দিয়েছিল, এর সাথে তার পাসপোর্ট এবং কিছু অলংকারও ছিল।
কুইনসে বসবাস রত প্রি-মেডিকেল অধ্যায়নরত বাংলাদেশি আসাদুজ্জামান যখন এতো খুজেও তার হারিয়ে যাওয়া যাত্রীকে আর খুজে পাচ্ছিলোনা তখন সে নিরূপায় হয়ে যাত্রীর ফেলে যাওয়া ব্যাগ খুজে পার্সের ভিতর ফোন নম্বর পেয়ে ফোন করে তার এই টাকা ফেরত দেবার ব্যবস্থা নিতে সক্ষম হয়।
এ ব্যাপারে মিসেস লিটেরির মন্তব্য হচ্ছে এটা অত্যান্ত মুগ্ধ হবার মত ঘটনা এবং এতে তার মহত্বের পরিচয় স্পস্ট।
আসাদুজ্জামান নিউইয়র্ক পোস্ট পত্রিকাকে তার দর্শন সম্পর্কে বলে যে ‘আমার বয়স যখন মাত্র পাচ বতসর তখন আমার মা বলেছিল সৎ পথে চললে এবং কঠিন পরিশ্রম করলে তুমি তোমার গন্তব্যে পৌছতে পারবে’।
আশা করি সংবাদটির প্রেক্ষিতে বাংলাদেশিদের সম্পর্কে আপনাদের মতামত জানাবেন।