যথারীতি পর দিন শনিবার ওর বৌ বেশ পরিমান খাবার এবং নানা রকমের পানীয় নিয়ে প্রস্তুত হলো। আমরা দুই ভাই আমাদের ক্যেমেরা চার্জ করে অতিরিক্ত ব্যাটারি নিয়ে পথে নেমে গেলাম। রাতে ওর দুই বন্ধুকেও জানাল দাদা এসেছে চল সবাই মিলে ফরেস্ট অফ ডীন থেকে ঘুরে আস, ওরাও বেশ আগ্রহ নিয়ে সকালে এসেই হাজির। ওর আবার গাড়ি নেই, যেতে হবে বাসে। গ্লস্টার বাস স্ট্যান্ডের কাছেই বাসা। একটু পায়ে হেটে স্ট্যান্ডে এসে ৩০ নম্বর বাসে চেপে বসলাম।
প্রায় ৩০০ একরের এই বনে অনেক হরিণ আছে কিন্তু দুর্ভাগ্য ক্রমে আমাদের ক্যামেরায় ধরা দেয়ার জন্য তাদের কেউ এগিয়ে আসেনি। আরো আছে প্রায় তিন একর জমিতে ড্যাফোডিলের বাগান কিন্তু সারা দিন ঘুরে আমরা সেখানে পৌছাতে পারিনি। তবুও প্রকৃতির এই অকৃত্রিম সৌন্দর্য দেখে অবাক হয়েছি। কি ভাবে যে এমন যত্ন করে রেখেছে তা না দেখলে বিশ্বাস করা কঠিন। এর ভিতরে যা কিছু স্থাপনা যেমন, বিশ্রামাগার, টয়লেট, খাবার দোকান, বাঁদরের পাঠশালা (ছোটদের খেলার জায়গা), অফিস এগুলি সব কাঠের তৈরী।
তা এই বন ভোজনে সঙ্গি না করতে পারলে কি হবে যা দেখেছি তার কিছু নমুনা সবাইকে না দেখালে শান্তি পাচ্ছিলাম না। দেখে কেমন লেগেছে জানাতে ভুলবেন না কিন্তু। ৫ মিনিট ৩৫ সেকেন্ডের স্থির চিত্রে নির্মিত এই মুভিতে ৫৫টি ছবি রয়েছে। মুভিটা সম্পূর্ণ স্ক্রীনেও দেখতে পাবেন